শত বছরের ঐতিহ্য নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠে গ্রামবাসীদের কোরবানি

এবারও এক সঙ্গে কোরবানি দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার গোসাইবাগ গ্রামের মানুষ। গত রোববার (১০ জুলাই) নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠে শতাধিক পশু কোরবানি দেওয়া হয়। কাটাকাটি ও মাংস বণ্টনও হয় একসঙ্গে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় শত বছর ধরে এ গ্রামের মানুষ একসঙ্গে পশু কোরবানি দিয়ে আসছেন। সে আলোকে গত রোববার ঈদের নামাজ শেষে গ্রামের কোরবানির সব পশু মাঠে আনা হয়। জবাই শেষে একসঙ্গে মাংস কাটাকাটিতে অংশ নেয় সব বয়সী মানুষ।

সুমন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, পূর্বপুরুষদের আমল থেকে এভাবেই চলছে। সব পশুর মাংসের একটি ভাগ সমাজের সবার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। আর অপর দুইভাগ ধর্মীয় রীতি মেনে আত্মীয়-স্বজন ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, একসময় এখানে ৩-৪টা কোরবানি হতো। এখন শতাধিক হয়। ধনী-গরীব সবাই এখান থেকে মাংস পায়। কেউ বাদ যায় না। আমরা খুব মজা করি।

গোসাইবাগ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বাপ-দাদারা এ নিয়ম চালু করে গেছে। ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা একত্রে কোরবানির পশু জবাই করি। সেইসঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।

গোসাইবাগ মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মুন্সী বলেন, একসঙ্গে গরু কোরবানি দেয়ায় ময়লা অবর্জনা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে না। এতে পরিবেশও দূষণ হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা সবাই একসঙ্গে কোরবানি দিতেন। সে ঐতিহ্য ধরে রেখে আমরাও দিচ্ছি। আমাদের পরে যারা আসবে আশা করি তারাও সমাজে একসঙ্গ কোরবানি দেবে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৯ ১৫ জিলহজ ১৪৪৩

শত বছরের ঐতিহ্য নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠে গ্রামবাসীদের কোরবানি

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

এবারও এক সঙ্গে কোরবানি দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার গোসাইবাগ গ্রামের মানুষ। গত রোববার (১০ জুলাই) নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠে শতাধিক পশু কোরবানি দেওয়া হয়। কাটাকাটি ও মাংস বণ্টনও হয় একসঙ্গে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় শত বছর ধরে এ গ্রামের মানুষ একসঙ্গে পশু কোরবানি দিয়ে আসছেন। সে আলোকে গত রোববার ঈদের নামাজ শেষে গ্রামের কোরবানির সব পশু মাঠে আনা হয়। জবাই শেষে একসঙ্গে মাংস কাটাকাটিতে অংশ নেয় সব বয়সী মানুষ।

সুমন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, পূর্বপুরুষদের আমল থেকে এভাবেই চলছে। সব পশুর মাংসের একটি ভাগ সমাজের সবার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। আর অপর দুইভাগ ধর্মীয় রীতি মেনে আত্মীয়-স্বজন ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, একসময় এখানে ৩-৪টা কোরবানি হতো। এখন শতাধিক হয়। ধনী-গরীব সবাই এখান থেকে মাংস পায়। কেউ বাদ যায় না। আমরা খুব মজা করি।

গোসাইবাগ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বাপ-দাদারা এ নিয়ম চালু করে গেছে। ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা একত্রে কোরবানির পশু জবাই করি। সেইসঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।

গোসাইবাগ মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মুন্সী বলেন, একসঙ্গে গরু কোরবানি দেয়ায় ময়লা অবর্জনা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে না। এতে পরিবেশও দূষণ হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা সবাই একসঙ্গে কোরবানি দিতেন। সে ঐতিহ্য ধরে রেখে আমরাও দিচ্ছি। আমাদের পরে যারা আসবে আশা করি তারাও সমাজে একসঙ্গ কোরবানি দেবে।