ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

ঈদ শেষে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। তবে বিভিন্ন টার্মিনালে ঢাকা ফেরত মানুষের চাপ ছিল কিছুটা কম। ঈদের তিনদিন পরও গতকাল ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে অনেককেই। বিভিন্ন ব্যস্ততায় যারা ঈদের আগে যেতে পারেনি ঈদের পর আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেতে দেখা গেছে তাদের। তাই এখনও ঢাকা অনেকটা ফাঁকা মনে হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মব্যস্ত মানুষ। কেউ ফিরছেন বাসে, কেউ ট্রেনে আবার কেউ লঞ্চে। ট্রেনে যাত্রীদের নানা দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে বাড়ি যেতে হলেও ফিরছেন অনেকটা আরামেই। যাত্রীরা বলছেন, ফেরার পথে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছেড়েছে। পথেও কোন ভোগান্তি হয়নি।

নীলসাগর এক্সপ্রেসে সৈয়দপুর থেকে ঢাকায় আসা কামাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছিল না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই মনে হয়েছে আজ (বুধবার)। ঈদের আগে যেমন যাত্রীর চাপ ছিল তেমনটা দেখিনি। তখন বগিতে পা ফেলার জায়গা ছিল না। কিন্তু ফেরার পথে এক বগিতে ৫-৬ জনকে দাঁড়িয়ে আসতে দেখেছি।’

জামালপুর থেকে আসা নয়ন নামের যমুনা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ‘ছুটি শেষে আবার ঢাকায় ফিরে এসেছি। ট্রেনে কোন বাড়তি ভিড় নেই। নির্বিঘেœই ঢাকায় পৌঁছেছি। আজ বা কাল থেকে যাত্রীর চাপ অনেক বাড়বে।’

এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন মাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা ছাড়ার যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক। কিন্তু আসার সময় যাত্রী বেশি। আগামী শুক্র ও শনিবার আসার যাত্রী সবচেয়ে বেশি হবে। এখন ট্রেন চলাচলে কোন বিপর্যয় নেই। গতকাল মোট ৪১ জোড়া ট্রেন আসা-যাওয়া করেছে।’ তবে ঢাকা ফেরত লঞ্চের যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেশি ছিল। প্রতিটি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। গতকাল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বরিশাল থেকে জসিম উদ্দীন নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাবে কথাটা ঠিক নয়। ঈদের আগেও প্রতিটি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে ঢাকা ছেড়েছে। ঈদের পরে একই অবস্থা। আজ (বুধবার) এম ভি মর্নিংসান-৫ নামের একটি লঞ্চে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসলাম। ওই লঞ্চের ৫৫টি কেবিনে সব যাত্রী বোঝাই ছিল। ডেকের যাত্রী কিছুটা কম ছিল।’ দুই-একদিন পর লঞ্চের যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

ঈদের পরে ঢাকা ছাড়ছে অনেকে

ঈদের চতুর্থ দিনেও রাজধানী ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে অনেককেই। মূলত, ঈদে যারা কর্মস্থলে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন তারাই গতকাল ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। এর বাইরেও অনেকেই আছেন যারা স্বস্তিতে যাত্রার জন্য ঈদে না গিয়ে পরে যাচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান।

গতকাল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, কমলাপুর বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রেল ও সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথেও ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। কমলাপুরে ঢাকা থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ মোটামুটি হলেও সায়েদাবাদ টার্মিনালে বেশ ভিড় দেখা গেছে যাত্রীদের। গতকাল কমলাপুরে সোহরাব আলম নামের রংপুরের এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদে ছুটি ছিল না। আজ (বুধবার) থেকে ছুটি পেলাম চার দিনের। পরিবারের সঙ্গে এই সময়টা আনন্দে কাটাতে চাই। আর ঈদ তো সাত দিন থাকে।’

সাঈদ আহেমদ নামের কুমিল্লার এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদে ছুটি পাইনি। বিশেষ ডিউটি ছিল। গত মঙ্গলবার থেকে অফিসের কর্মচারীরা ফিরতে শুরু করেছেন। আজ (বুধবার) থেকে আমার ছুটি। তাই বাড়ি যাচ্ছি। ঈদে না যেতে পারায় সবাই মন খারাপ করে আছে। বাড়িতে জানাইনি। আজ গিয়ে সারপ্রাইজ দিব।’

রাজধানীর সায়েদাবাদে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সাদমান ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পরও মোটামুটি যাত্রী আছে। তবে তুলনামূলক ভাড়া বেশি হওয়ায় পদ্মা সেতু হয়ে না গিয়ে যাত্রীরা নৌপথেই বেশি চলাচল করছেন।’ ইমরান নামের খুলনার এক যাত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার পর এই প্রথম বাসযোগে বাড়ি যাচ্ছি। ভাড়া একটু বেশি। কিন্তু সেতুটাও দেখলাম, কম সময়েও যেতে পারলাম। তাই বাসে যাচ্ছি। ঈদে ছুটি পাইনি, তাই ঈদে যেতে পারিনি।’

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

ঈদ শেষে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে মানিকগঞ্জে পাঁচটি গণপরিবহনকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসব গণপরিবহনের কাছ থেকে মোট সাত হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার মুলজান এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অভিযান চালায় অধিদপ্তর। এতে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। অভিযানে বিআরটিএর মানিকগঞ্জ কার্যালয়, জেলা ক্যাব ও সদর থানা-পুলিশ সহযোগিতা করে।

এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে যাত্রীসেবা পরিবহনের বাসের চালক আবু রায়হানকে ৫০০ ও অন্য বাসের চালক আরিফ হোসেনকে ২ হাজার টাকা, পদ্মা দ্রতগতি পরিবহনের বাসের চালক মো. রুবেলকে ৩ হাজার, শুভযাত্রা পরিবহনের চালক তুহিন হোসেনকে ৫০০ এবং লেগুনার (ম্যাক্সি) চালক সাব্বির মিয়াকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘গণপরিবহনগুলো বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৯ ১৫ জিলহজ ১৪৪৩

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

রাজধানীতে ফিরছে মানুষ, গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশনের চিত্র -সংবাদ

ঈদ শেষে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। তবে বিভিন্ন টার্মিনালে ঢাকা ফেরত মানুষের চাপ ছিল কিছুটা কম। ঈদের তিনদিন পরও গতকাল ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে অনেককেই। বিভিন্ন ব্যস্ততায় যারা ঈদের আগে যেতে পারেনি ঈদের পর আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেতে দেখা গেছে তাদের। তাই এখনও ঢাকা অনেকটা ফাঁকা মনে হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মব্যস্ত মানুষ। কেউ ফিরছেন বাসে, কেউ ট্রেনে আবার কেউ লঞ্চে। ট্রেনে যাত্রীদের নানা দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে বাড়ি যেতে হলেও ফিরছেন অনেকটা আরামেই। যাত্রীরা বলছেন, ফেরার পথে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছেড়েছে। পথেও কোন ভোগান্তি হয়নি।

নীলসাগর এক্সপ্রেসে সৈয়দপুর থেকে ঢাকায় আসা কামাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছিল না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই মনে হয়েছে আজ (বুধবার)। ঈদের আগে যেমন যাত্রীর চাপ ছিল তেমনটা দেখিনি। তখন বগিতে পা ফেলার জায়গা ছিল না। কিন্তু ফেরার পথে এক বগিতে ৫-৬ জনকে দাঁড়িয়ে আসতে দেখেছি।’

জামালপুর থেকে আসা নয়ন নামের যমুনা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ‘ছুটি শেষে আবার ঢাকায় ফিরে এসেছি। ট্রেনে কোন বাড়তি ভিড় নেই। নির্বিঘেœই ঢাকায় পৌঁছেছি। আজ বা কাল থেকে যাত্রীর চাপ অনেক বাড়বে।’

এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন মাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা ছাড়ার যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক। কিন্তু আসার সময় যাত্রী বেশি। আগামী শুক্র ও শনিবার আসার যাত্রী সবচেয়ে বেশি হবে। এখন ট্রেন চলাচলে কোন বিপর্যয় নেই। গতকাল মোট ৪১ জোড়া ট্রেন আসা-যাওয়া করেছে।’ তবে ঢাকা ফেরত লঞ্চের যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেশি ছিল। প্রতিটি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। গতকাল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বরিশাল থেকে জসিম উদ্দীন নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাবে কথাটা ঠিক নয়। ঈদের আগেও প্রতিটি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে ঢাকা ছেড়েছে। ঈদের পরে একই অবস্থা। আজ (বুধবার) এম ভি মর্নিংসান-৫ নামের একটি লঞ্চে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসলাম। ওই লঞ্চের ৫৫টি কেবিনে সব যাত্রী বোঝাই ছিল। ডেকের যাত্রী কিছুটা কম ছিল।’ দুই-একদিন পর লঞ্চের যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।

ঈদের পরে ঢাকা ছাড়ছে অনেকে

ঈদের চতুর্থ দিনেও রাজধানী ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে অনেককেই। মূলত, ঈদে যারা কর্মস্থলে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন তারাই গতকাল ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। এর বাইরেও অনেকেই আছেন যারা স্বস্তিতে যাত্রার জন্য ঈদে না গিয়ে পরে যাচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান।

গতকাল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, কমলাপুর বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রেল ও সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথেও ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। কমলাপুরে ঢাকা থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ মোটামুটি হলেও সায়েদাবাদ টার্মিনালে বেশ ভিড় দেখা গেছে যাত্রীদের। গতকাল কমলাপুরে সোহরাব আলম নামের রংপুরের এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদে ছুটি ছিল না। আজ (বুধবার) থেকে ছুটি পেলাম চার দিনের। পরিবারের সঙ্গে এই সময়টা আনন্দে কাটাতে চাই। আর ঈদ তো সাত দিন থাকে।’

সাঈদ আহেমদ নামের কুমিল্লার এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদে ছুটি পাইনি। বিশেষ ডিউটি ছিল। গত মঙ্গলবার থেকে অফিসের কর্মচারীরা ফিরতে শুরু করেছেন। আজ (বুধবার) থেকে আমার ছুটি। তাই বাড়ি যাচ্ছি। ঈদে না যেতে পারায় সবাই মন খারাপ করে আছে। বাড়িতে জানাইনি। আজ গিয়ে সারপ্রাইজ দিব।’

রাজধানীর সায়েদাবাদে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সাদমান ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পরও মোটামুটি যাত্রী আছে। তবে তুলনামূলক ভাড়া বেশি হওয়ায় পদ্মা সেতু হয়ে না গিয়ে যাত্রীরা নৌপথেই বেশি চলাচল করছেন।’ ইমরান নামের খুলনার এক যাত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার পর এই প্রথম বাসযোগে বাড়ি যাচ্ছি। ভাড়া একটু বেশি। কিন্তু সেতুটাও দেখলাম, কম সময়েও যেতে পারলাম। তাই বাসে যাচ্ছি। ঈদে ছুটি পাইনি, তাই ঈদে যেতে পারিনি।’

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

ঈদ শেষে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে মানিকগঞ্জে পাঁচটি গণপরিবহনকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসব গণপরিবহনের কাছ থেকে মোট সাত হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার মুলজান এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অভিযান চালায় অধিদপ্তর। এতে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। অভিযানে বিআরটিএর মানিকগঞ্জ কার্যালয়, জেলা ক্যাব ও সদর থানা-পুলিশ সহযোগিতা করে।

এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে যাত্রীসেবা পরিবহনের বাসের চালক আবু রায়হানকে ৫০০ ও অন্য বাসের চালক আরিফ হোসেনকে ২ হাজার টাকা, পদ্মা দ্রতগতি পরিবহনের বাসের চালক মো. রুবেলকে ৩ হাজার, শুভযাত্রা পরিবহনের চালক তুহিন হোসেনকে ৫০০ এবং লেগুনার (ম্যাক্সি) চালক সাব্বির মিয়াকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘গণপরিবহনগুলো বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’