শিবালয়ে ঈদের ছুটিতে দর্শনীয় স্থানে এখনও প্রচণ্ড ভিড়

ঈদুল আজহার ছুটিতে গতকালও শিবালয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রচণ্ড ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। এরমধ্যে শিবালয় তেওতা জমিদার বাড়ি, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের শ^শুরবাড়ি, নজরুল মঞ্চ, তিন রাস্তার মোড়, জাফরগঞ্জ বেড়িবাঁধ, বোয়ালী ব্রিজ, পাটুরিয়া ফেরিঘাট, আরিচা ঘাট ও নদী বন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় জমায়। শিবালয় ছাড়াও বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, নাহার গার্ডেন, বেউথা ব্রিজ, শহীদ রফিক জাদুঘর, ধল্লা ব্রিজ, ঝিটকা লোকমানিয়া দরবার শরিফ, মাইলাগী বটতলা মাচাইন দরবার শরিফসহ আশপাশের অন্য দর্শনীয় স্থানে ছোট-বড় সব শ্রেণীর মানুষজন ভিড় করছেন।

জানা গেছে, এ বছর ঈদের আগে-পরে পাঁচ দিন ছুটি থাকায় চাকরিজীবীসহ অন্যরা নাঁড়ির টানে বাড়ি আসেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই ঈদের কেনাকাটার এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান বা ঘুরতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তার পত্নী প্রমীলার স্মৃতি বিজড়িত তেওতা জমিদার বাড়ি এলাকায় ঈদের দিন থেকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।

জমিদার বাড়ির বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বসেছে নাগড় দোলা, নৈাকাদোলা, ঘূর্ণি এবং নানান রঙ্গের খেলনা ও চুড়ি-মালার দোকান। এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালী ব্রিজের আশপাশ, আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এমন দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এসব স্থানে রঙিন বেলুন, খেলনাসহ নানা ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এছাড়া চটপটি, ফুসকা, ফাস্টফুডসহ রকমারী খাবার দোকান বসেছে এসব স্থানে।

গার্মেন্টস কর্মী আকাশ চৌধুরী জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে খোলামেলা ও দর্শনীয় স্থানে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুরতে এসে ভালোই লাগছে। তবে, এ সব দর্শনীয় স্থানে পর্যাপ্ত রাইড, সৌচাগার, বসার স্থান ইত্যাদি না থাকায় আমিসহ অনেকেই অসুবিধায় পড়ছেন।

গৃহিনী আম্বিয়া খাতুন জানান, করোনার কারণে গত দুই বছর এমন ঘুরাফেরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল বিধায় ঈদের আনন্দে সবাইকে নিয়ে বেড়াতে পারিনি। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘুরেফিরে আনন্দ উপভোগ করছি।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৯ ১৫ জিলহজ ১৪৪৩

শিবালয়ে ঈদের ছুটিতে দর্শনীয় স্থানে এখনও প্রচণ্ড ভিড়

প্রতিনিধি, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)

ঈদুল আজহার ছুটিতে গতকালও শিবালয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রচণ্ড ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। এরমধ্যে শিবালয় তেওতা জমিদার বাড়ি, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের শ^শুরবাড়ি, নজরুল মঞ্চ, তিন রাস্তার মোড়, জাফরগঞ্জ বেড়িবাঁধ, বোয়ালী ব্রিজ, পাটুরিয়া ফেরিঘাট, আরিচা ঘাট ও নদী বন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় জমায়। শিবালয় ছাড়াও বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, নাহার গার্ডেন, বেউথা ব্রিজ, শহীদ রফিক জাদুঘর, ধল্লা ব্রিজ, ঝিটকা লোকমানিয়া দরবার শরিফ, মাইলাগী বটতলা মাচাইন দরবার শরিফসহ আশপাশের অন্য দর্শনীয় স্থানে ছোট-বড় সব শ্রেণীর মানুষজন ভিড় করছেন।

জানা গেছে, এ বছর ঈদের আগে-পরে পাঁচ দিন ছুটি থাকায় চাকরিজীবীসহ অন্যরা নাঁড়ির টানে বাড়ি আসেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই ঈদের কেনাকাটার এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান বা ঘুরতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তার পত্নী প্রমীলার স্মৃতি বিজড়িত তেওতা জমিদার বাড়ি এলাকায় ঈদের দিন থেকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।

জমিদার বাড়ির বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বসেছে নাগড় দোলা, নৈাকাদোলা, ঘূর্ণি এবং নানান রঙ্গের খেলনা ও চুড়ি-মালার দোকান। এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালী ব্রিজের আশপাশ, আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এমন দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এসব স্থানে রঙিন বেলুন, খেলনাসহ নানা ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এছাড়া চটপটি, ফুসকা, ফাস্টফুডসহ রকমারী খাবার দোকান বসেছে এসব স্থানে।

গার্মেন্টস কর্মী আকাশ চৌধুরী জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে খোলামেলা ও দর্শনীয় স্থানে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুরতে এসে ভালোই লাগছে। তবে, এ সব দর্শনীয় স্থানে পর্যাপ্ত রাইড, সৌচাগার, বসার স্থান ইত্যাদি না থাকায় আমিসহ অনেকেই অসুবিধায় পড়ছেন।

গৃহিনী আম্বিয়া খাতুন জানান, করোনার কারণে গত দুই বছর এমন ঘুরাফেরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল বিধায় ঈদের আনন্দে সবাইকে নিয়ে বেড়াতে পারিনি। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘুরেফিরে আনন্দ উপভোগ করছি।