সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

কলকাতার সড়কে চবির ছাত্রী নিহত

দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের সাতমাইল বাঁক এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় গুরতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গত ১২ জুলাই গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের সাতমাইল বাঁকে (জয় সিল্ক মোড়) এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেনÑ দিনাজপুর শহরের সুইহারী এলাকার কপিল বসাকের ছেলে বর্ন বসাক (২২)। মুন্সীপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আমিন সিদ্দিকীর ছেলে ঢাকা সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ইমন (২৩) এবং কসবা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দপুর বাউস্টের ছাত্র শাহরিয়ার শাওন (২৪)।

আহতরা হলেনÑ মুন্সীপাড়া এলাকার মাহবুবের ছেলে তামজিদ (১৯) ও বাহাদুর বাজার এলাকার ডিস লাইন ব্যবসায়ী পিএমএন ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধীকারী মাহমুদুন্নবী পলাশের ছেলে রওনাক নবী প্রিয় (২৩)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ এস আই সৌরভ জানান, রাতে দশমাইল হতে প্রাইভেটকারযোগে তারা শহরে ফিরছিলেন। গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলার কারণে বাঁক ঘুরতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে গিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বর্ণ বাসাকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন বাকিদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমন ও শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত না করেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটি রাতেই দশমাইল হাইওয়ে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গুরুতর আহত দুইজন তামজিদ ও রওনাক নবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কলকাতায় সড়ক চবির ছাত্রী নিহত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শাজমিলা জিসমাম মুন (২২) কলকাতায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। গত রোববার কলকাতার বিড়লা তারাম-লের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন আরা চৌধুরী ডলি চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন ছেলে সাফওয়ান জাসির চৌধুরী ও মেয়ে শাজমিলা জিসমাম মুনকে নিয়ে।

গত রোববার ঈদুল আজহার দিন দুপুরে কলকাতার ক্যাথিড্রাল রোডে জেব্রা ক্রসিং হয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি বাস মা-মেয়েকে ধাক্কা দিলে দুজনই গুরুতর আহত হন। এর দুইদিন পর গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন মারা যান।

মুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার মা ড. শিরিন আরা চৌধুরী ডলি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মুনের মা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। তার জ্ঞান ফিরলেও এখনো তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। গতকালই মুনের মরদেহ দেশে নিয়ে আসে বড় ভাই সাফওয়ান জাসির চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৯ ১৫ জিলহজ ১৪৪৩

দিনাজপুর-মানিকগঞ্জ-চাটখিল

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

কলকাতার সড়কে চবির ছাত্রী নিহত

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের সাতমাইল বাঁক এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় গুরতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গত ১২ জুলাই গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের সাতমাইল বাঁকে (জয় সিল্ক মোড়) এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেনÑ দিনাজপুর শহরের সুইহারী এলাকার কপিল বসাকের ছেলে বর্ন বসাক (২২)। মুন্সীপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আমিন সিদ্দিকীর ছেলে ঢাকা সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ইমন (২৩) এবং কসবা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দপুর বাউস্টের ছাত্র শাহরিয়ার শাওন (২৪)।

আহতরা হলেনÑ মুন্সীপাড়া এলাকার মাহবুবের ছেলে তামজিদ (১৯) ও বাহাদুর বাজার এলাকার ডিস লাইন ব্যবসায়ী পিএমএন ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধীকারী মাহমুদুন্নবী পলাশের ছেলে রওনাক নবী প্রিয় (২৩)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ এস আই সৌরভ জানান, রাতে দশমাইল হতে প্রাইভেটকারযোগে তারা শহরে ফিরছিলেন। গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলার কারণে বাঁক ঘুরতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে গিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বর্ণ বাসাকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন বাকিদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমন ও শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত না করেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটি রাতেই দশমাইল হাইওয়ে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গুরুতর আহত দুইজন তামজিদ ও রওনাক নবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কলকাতায় সড়ক চবির ছাত্রী নিহত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শাজমিলা জিসমাম মুন (২২) কলকাতায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। গত রোববার কলকাতার বিড়লা তারাম-লের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন আরা চৌধুরী ডলি চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন ছেলে সাফওয়ান জাসির চৌধুরী ও মেয়ে শাজমিলা জিসমাম মুনকে নিয়ে।

গত রোববার ঈদুল আজহার দিন দুপুরে কলকাতার ক্যাথিড্রাল রোডে জেব্রা ক্রসিং হয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি বাস মা-মেয়েকে ধাক্কা দিলে দুজনই গুরুতর আহত হন। এর দুইদিন পর গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন মারা যান।

মুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার মা ড. শিরিন আরা চৌধুরী ডলি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মুনের মা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন। তার জ্ঞান ফিরলেও এখনো তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। গতকালই মুনের মরদেহ দেশে নিয়ে আসে বড় ভাই সাফওয়ান জাসির চৌধুরী।