প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। এতে চিরচেনা রূপ ফিরেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাট।
ঈদের চতুর্থ দিন গতকাল সকাল থেকে কর্মস্থলগামী মানুষের স্রোত সৃষ্টি হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ। পাশাপাশি যাত্রীদের চাপও বাড়ছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় আটক পড়ে শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকার পরও সীমিত সংখ্যক ফেরি যানবাহন পারাপার করায় যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের ফেরিঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে স্বল্প সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় মাঝে মধ্যেই দৌলতদিয়া ঘাটের বিভিন্ন পন্টুন ফেরিবিহীন ফাঁকা থাকতে দেখা যায়। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই ঘাট এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়। এছাড়া পদ্মার প্রবল স্রোতেও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ বেশি দৌলতদিয়া ঘাটে।
যাত্রীরা বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবার দৌলতদিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে না। তারপরও ফেরি কম থাকায় অনেক সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আগে ৭-৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। তবে তীব্র গরমে এখন এক- দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাস চালকরা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে আগের মতো আর ভোগান্তি না থাকলেও এখনও কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ভোগান্তি রয়েই গেছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় এখন দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৯ ১৫ জিলহজ ১৪৪৩
শেখ রাজীব, প্রতিনিধি গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। এতে চিরচেনা রূপ ফিরেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাট।
ঈদের চতুর্থ দিন গতকাল সকাল থেকে কর্মস্থলগামী মানুষের স্রোত সৃষ্টি হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ। পাশাপাশি যাত্রীদের চাপও বাড়ছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় আটক পড়ে শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকার পরও সীমিত সংখ্যক ফেরি যানবাহন পারাপার করায় যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের ফেরিঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে স্বল্প সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় মাঝে মধ্যেই দৌলতদিয়া ঘাটের বিভিন্ন পন্টুন ফেরিবিহীন ফাঁকা থাকতে দেখা যায়। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই ঘাট এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি সৃষ্টি হয়। এছাড়া পদ্মার প্রবল স্রোতেও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ বেশি দৌলতদিয়া ঘাটে।
যাত্রীরা বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবার দৌলতদিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে না। তারপরও ফেরি কম থাকায় অনেক সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আগে ৭-৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। তবে তীব্র গরমে এখন এক- দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাস চালকরা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে আগের মতো আর ভোগান্তি না থাকলেও এখনও কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ভোগান্তি রয়েই গেছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় এখন দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছে।