শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২, ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

সিরাজগঞ্জে ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বর : বেশি আক্রান্ত শিশুরা

সিরাজগঞ্জে তীব্র গরমে ঘরে ঘরে ঠান্ডা-জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি নারী ও পুরুষদের মধ্যেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু দিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবস্থা চলছে ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আউট ডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এদের অধিকাংশই ঠান্ডা জ্বর জনিত রোগী। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতেও এ সংক্রান্ত রোগীই বেশি ।

জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যেও সর্দি-জ্বর, মাথা ব্যথা, বমিসহ ডায়রিয়াজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এই জ্বরে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা ও বমি হয় । সিরাজগঞ্জ শহরের মিরপুর এলাকাল পল্লী চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান গত কিছু দিন ধরে এই জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে । প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । এখানে চিকিৎসা নিতে আসা হাসনা বেগম জানান গত ৩-৪ দিন ধরে তার শিশুর জ্বর হয়েছে তাই ডাক্তারের কাছে ওষুধ নিতে এসেছি । তিনি আরো জানান তাদের আশপাশের অনেকেরই জ্বর দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হালিমা বেগম জানান আমার গত ২ দিন যাবত জ্বর ও ঠান্ডা লেগেছে তাই হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান সিরাজগঞ্জেও স্বর্দি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে । প্রতিদিনই এই সব রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।

নিত্যদিনই স্বর্দি জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া জনিত কারণে এখন সর্দি-কাশি জ্বর হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার এই জ্বরের প্রকোপ অনেক বেশি।

জ্বরের উত্তাপ বেশি হলে রোগীর মাথায় প্রচুর পানি ঢালতে হবে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ মাত্রা মতো খেলে ৩-৪ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। সর্দিজ্বর প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ , ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

সিরাজগঞ্জে ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বর : বেশি আক্রান্ত শিশুরা

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে তীব্র গরমে ঘরে ঘরে ঠান্ডা-জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি নারী ও পুরুষদের মধ্যেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু দিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবস্থা চলছে ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আউট ডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এদের অধিকাংশই ঠান্ডা জ্বর জনিত রোগী। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতেও এ সংক্রান্ত রোগীই বেশি ।

জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বয়সীদের মধ্যেও সর্দি-জ্বর, মাথা ব্যথা, বমিসহ ডায়রিয়াজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এই জ্বরে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা ও বমি হয় । সিরাজগঞ্জ শহরের মিরপুর এলাকাল পল্লী চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান গত কিছু দিন ধরে এই জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে । প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । এখানে চিকিৎসা নিতে আসা হাসনা বেগম জানান গত ৩-৪ দিন ধরে তার শিশুর জ্বর হয়েছে তাই ডাক্তারের কাছে ওষুধ নিতে এসেছি । তিনি আরো জানান তাদের আশপাশের অনেকেরই জ্বর দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হালিমা বেগম জানান আমার গত ২ দিন যাবত জ্বর ও ঠান্ডা লেগেছে তাই হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান সিরাজগঞ্জেও স্বর্দি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে । প্রতিদিনই এই সব রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।

নিত্যদিনই স্বর্দি জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া জনিত কারণে এখন সর্দি-কাশি জ্বর হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার এই জ্বরের প্রকোপ অনেক বেশি।

জ্বরের উত্তাপ বেশি হলে রোগীর মাথায় প্রচুর পানি ঢালতে হবে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ মাত্রা মতো খেলে ৩-৪ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। সর্দিজ্বর প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।