শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২, ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি হালিম হত্যার মূল আসামি

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত হয় হালিম ফকির(২৭)। ঘটনাটি ঘটেছিলো খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী বাজার সংলগ্ন স’মিল এর সামনে রাস্তার উপর।

গত ৬ মে ২০২২ শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাবুল ফকির, দরবেশ ফকির, ইকবাল গাজী ও নুরজাহান বেগম মিলে আকবর ফকিরের পুত্র হালিম ফকির (২৭) এর উপর অতর্কিত হামলা করে। বাবুল ফকির লাঠি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হালিমকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। নিহত হালিমের পরিবার জানায়, রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা এসে আহত অবস্থায় হালিম ফকিরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

হাসপাতালে হালিম ফকির মারা যায়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসির সহায়তায় পাইকগাছা ও দাকোপ থানা এলাকা থেকে হালিম হত্যার আসামী বাবুল ফকির ও তার জামাই ইকবাল হোসেন কে আটক করে।হত্যাকান্ডের হুকুম দাতা মামলার ২ নং আসামী নিহতের বড় চাচা দরবেশ ফকির রয়েছে পলাতক।

মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মামলার বাদীসহ তার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দি”েছ বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নিহত হালিমের বড় ভাই,মামলার বাদী সেলিম ফকির বলেন,আমার চোখের সামনে আমার ভাই কে আসামীরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার দুই আসামিকে পুলিশ এখন আটক করতে পারিনি। হত্যার মুল নায়ক আমার বড় চাচা দরবেশ ফকির এবং ছোট ফুফু নুরজাহান বেগম এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি দ্রুত তাদের গ্রেফতার পুর্বক শাস্তির দাবি জানাই।নিহত হালিমের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম জানান, আমার স্বামী ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমার একটি ৫ বছরের মেয়ে রয়েছে।

আমার সামনে ওরা আমার স্বামী কে হত্যা করেছে। দরবেশ ফকিরের নির্দেশে তারা আমার স্বামী হালিম কে এলোপাথাড়ি পারপিট করে হত্যা করে। বতর্মান একটি মহল মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করা চেষ্টা করছে। নিহত হালিমের পরিবার জানান আসামীদের অব্যাহত হুমকির ভয়ে রাতে বাড়িতে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহা জালাল বলেন, আসামি দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ , ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি হালিম হত্যার মূল আসামি

প্রতিনিধি, বটিয়াঘাটা (খুলনা)

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত হয় হালিম ফকির(২৭)। ঘটনাটি ঘটেছিলো খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী বাজার সংলগ্ন স’মিল এর সামনে রাস্তার উপর।

গত ৬ মে ২০২২ শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাবুল ফকির, দরবেশ ফকির, ইকবাল গাজী ও নুরজাহান বেগম মিলে আকবর ফকিরের পুত্র হালিম ফকির (২৭) এর উপর অতর্কিত হামলা করে। বাবুল ফকির লাঠি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হালিমকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। নিহত হালিমের পরিবার জানায়, রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা এসে আহত অবস্থায় হালিম ফকিরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

হাসপাতালে হালিম ফকির মারা যায়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসির সহায়তায় পাইকগাছা ও দাকোপ থানা এলাকা থেকে হালিম হত্যার আসামী বাবুল ফকির ও তার জামাই ইকবাল হোসেন কে আটক করে।হত্যাকান্ডের হুকুম দাতা মামলার ২ নং আসামী নিহতের বড় চাচা দরবেশ ফকির রয়েছে পলাতক।

মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মামলার বাদীসহ তার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দি”েছ বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নিহত হালিমের বড় ভাই,মামলার বাদী সেলিম ফকির বলেন,আমার চোখের সামনে আমার ভাই কে আসামীরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার দুই আসামিকে পুলিশ এখন আটক করতে পারিনি। হত্যার মুল নায়ক আমার বড় চাচা দরবেশ ফকির এবং ছোট ফুফু নুরজাহান বেগম এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি দ্রুত তাদের গ্রেফতার পুর্বক শাস্তির দাবি জানাই।নিহত হালিমের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম জানান, আমার স্বামী ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমার একটি ৫ বছরের মেয়ে রয়েছে।

আমার সামনে ওরা আমার স্বামী কে হত্যা করেছে। দরবেশ ফকিরের নির্দেশে তারা আমার স্বামী হালিম কে এলোপাথাড়ি পারপিট করে হত্যা করে। বতর্মান একটি মহল মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করা চেষ্টা করছে। নিহত হালিমের পরিবার জানান আসামীদের অব্যাহত হুমকির ভয়ে রাতে বাড়িতে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহা জালাল বলেন, আসামি দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।