বর্ষকালে স্বাভাবিক যে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। জুলাই মাসে তা হয়নি। স্বাভাবিক থেকে তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি। আষাঢ় মাস প্রায় শেষ। শনিবার থেকে শুরু হবে শ্রাবণ মাস। কিন্তু তারপরও দেশের কোথাও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। তাপপ্রবাহে প্রচন্ড গরমে জনজীবনেও হাঁসফাঁস অবস্থা।
এ সময় সারাদেশে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সারাদেশের মধ্যে শুধু শ্রীমঙ্গলে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবার ভারী বর্ষণে কখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। গত জুন মাসে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া অসময়ে শিলা বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। চলতি বছরের শুরুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে বোরোসহ বিভিন্ন ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ওই সময়ে এমন ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার কথা না।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া এ রকম অস্বাভাবিক আচারণ করছে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এখনই পুরোপুরি তা বলা যাবে না বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে আবহওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ সংবাদকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবত স্বাভাবিক যে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। এছাড়া স্বাভাবিক যে তাপমাত্রা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি হচ্ছে। এটা জয়বায়ু পরিবর্তনে হচ্ছে তা পুরোপুরি বলা যাবে না। কারণ ৩০ বছরের গড় আবহাওয়া বিশ্লেষণ করেই আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়টি বলা হয়।’
আবার জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব উড়িয়েও দেয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ৫-১০ বছরের আবহওয়ার তথ্য থেকেই বোঝা যাবে বাংলাদেশের আবহওয়া কী পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে।’ কিন্তু এর জন্য আরও কিছু গবেষণা প্রয়োজন আছে বলে জানান তিনি।
বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া এ রকম অস্বাভাবিক আচারণ করছে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও অতিমাত্রায় খরার সৃষ্টি হচ্ছে। কখনো আবার গরমের সময় বয়ে যাচ্ছে শীতল হাওয়া। এর প্রভাবে দেশের কৃষি খাত ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর প্রভার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব ও দেশে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডকে দায়ী করছে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এ থেকে কিছুটা রক্ষার জন্য পরিকল্পিত নগরায়ন ও সবুজায়নের পরামর্শ তাদের।
এ বিষয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার সংবাদকে বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব ও দেশীয় অপরিকল্পিত কর্মকান্ডের কারণে দেশের আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাই স্বাভাবিক থেকে দেশে বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। অথবা অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে অতিমাত্রায় খরা সৃষ্টি হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আবার অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টির হচ্ছে। সমুদ্রের পানি স্তর বৃদ্ধির কারণে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে দেশের কৃষি ক্ষেত্র ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৩০ বছর যাবত আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তা ষ্পষ্ট। গত ৬০ বছর যাবত বাংলাদেশে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। গত ৬০ বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় ১ থেকে দেড় ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে বৃষ্টিপাতও অনিয়মিত হয়ে গেছে। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। বার্ষিক বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে অনেক কমে গেছে।’ তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিলা বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায় বলে জানান তিনি।
তীব্র তাপমাত্রার প্রভাব
অতি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে খরা এবং দাবানলের সম্ভাবনা বাড়তে থাকায় মানুষের পারিপার্শ্বিক পরিবেশও পরিবর্তন হচ্ছে এবং জীবনযাপন কঠিন করে তুলেছে। এই ধরনের ঘটনার পেছনে অন্য কারণের ভূমিকা থাকলেও মরুকরণের অন্যতম প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।
আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচারণের কারণে জীববৈচিত্র্য ও কৃষি ক্ষেত্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দীন সংবাদকে বলেন, ‘বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এর সঙ্গে উদ্ভিদ জগতের ফুল, ফল ও পাতা ধারণ নির্ভর করে। আবহাওয়া যদি স্বাভাবিক আচারণ না করে তাহলে পুরো জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু ফুলের পরাগায়ন হয়। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না হলে তা ব্যাহত হবে। এছাড়া এ সময় আউস ধানের জমি প্রস্তুত করার সময়। বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে অতিমাত্রায় খরার তা শুকিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আমন ধানের একটি বীজ বপন করা হয়। বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে তাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
এছাড়া বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালীন সবজি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টির নতুন পানির মাধ্যমে অনেক মাছ তাদের বংশ বিস্তার। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি মাপমাত্রা বেড়ে গেলে অতিরিক্ত গরম ও খরার কারণে মানুষের শরীরে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যেমন কলেরা ও ডায়েরিয়াসহ নানা ধরনের রোগ বিস্তার লাভ করে। তাই আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচারণের কারণে পুরো জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ , ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩
ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ
বর্ষকালে স্বাভাবিক যে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। জুলাই মাসে তা হয়নি। স্বাভাবিক থেকে তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি। আষাঢ় মাস প্রায় শেষ। শনিবার থেকে শুরু হবে শ্রাবণ মাস। কিন্তু তারপরও দেশের কোথাও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। তাপপ্রবাহে প্রচন্ড গরমে জনজীবনেও হাঁসফাঁস অবস্থা।
এ সময় সারাদেশে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সারাদেশের মধ্যে শুধু শ্রীমঙ্গলে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবার ভারী বর্ষণে কখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। গত জুন মাসে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া অসময়ে শিলা বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। চলতি বছরের শুরুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে বোরোসহ বিভিন্ন ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ওই সময়ে এমন ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার কথা না।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া এ রকম অস্বাভাবিক আচারণ করছে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এখনই পুরোপুরি তা বলা যাবে না বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে আবহওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ সংবাদকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবত স্বাভাবিক যে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। এছাড়া স্বাভাবিক যে তাপমাত্রা থাকার কথা তার চেয়ে বেশি হচ্ছে। এটা জয়বায়ু পরিবর্তনে হচ্ছে তা পুরোপুরি বলা যাবে না। কারণ ৩০ বছরের গড় আবহাওয়া বিশ্লেষণ করেই আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়টি বলা হয়।’
আবার জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব উড়িয়েও দেয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ৫-১০ বছরের আবহওয়ার তথ্য থেকেই বোঝা যাবে বাংলাদেশের আবহওয়া কী পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে।’ কিন্তু এর জন্য আরও কিছু গবেষণা প্রয়োজন আছে বলে জানান তিনি।
বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া এ রকম অস্বাভাবিক আচারণ করছে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও অতিমাত্রায় খরার সৃষ্টি হচ্ছে। কখনো আবার গরমের সময় বয়ে যাচ্ছে শীতল হাওয়া। এর প্রভাবে দেশের কৃষি খাত ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর প্রভার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর জন্য বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব ও দেশে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ডকে দায়ী করছে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এ থেকে কিছুটা রক্ষার জন্য পরিকল্পিত নগরায়ন ও সবুজায়নের পরামর্শ তাদের।
এ বিষয়ে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার সংবাদকে বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব ও দেশীয় অপরিকল্পিত কর্মকান্ডের কারণে দেশের আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাই স্বাভাবিক থেকে দেশে বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। অথবা অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে অতিমাত্রায় খরা সৃষ্টি হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আবার অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টির হচ্ছে। সমুদ্রের পানি স্তর বৃদ্ধির কারণে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে দেশের কৃষি ক্ষেত্র ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৩০ বছর যাবত আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তা ষ্পষ্ট। গত ৬০ বছর যাবত বাংলাদেশে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। গত ৬০ বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় ১ থেকে দেড় ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে বৃষ্টিপাতও অনিয়মিত হয়ে গেছে। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। বার্ষিক বৃষ্টিপাত দেখা যাচ্ছে অনেক কমে গেছে।’ তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিলা বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায় বলে জানান তিনি।
তীব্র তাপমাত্রার প্রভাব
অতি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে খরা এবং দাবানলের সম্ভাবনা বাড়তে থাকায় মানুষের পারিপার্শ্বিক পরিবেশও পরিবর্তন হচ্ছে এবং জীবনযাপন কঠিন করে তুলেছে। এই ধরনের ঘটনার পেছনে অন্য কারণের ভূমিকা থাকলেও মরুকরণের অন্যতম প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।
আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচারণের কারণে জীববৈচিত্র্য ও কৃষি ক্ষেত্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিভাগের অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দীন সংবাদকে বলেন, ‘বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এর সঙ্গে উদ্ভিদ জগতের ফুল, ফল ও পাতা ধারণ নির্ভর করে। আবহাওয়া যদি স্বাভাবিক আচারণ না করে তাহলে পুরো জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু ফুলের পরাগায়ন হয়। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না হলে তা ব্যাহত হবে। এছাড়া এ সময় আউস ধানের জমি প্রস্তুত করার সময়। বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে অতিমাত্রায় খরার তা শুকিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আমন ধানের একটি বীজ বপন করা হয়। বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে তাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
এছাড়া বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালীন সবজি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টির নতুন পানির মাধ্যমে অনেক মাছ তাদের বংশ বিস্তার। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি মাপমাত্রা বেড়ে গেলে অতিরিক্ত গরম ও খরার কারণে মানুষের শরীরে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যেমন কলেরা ও ডায়েরিয়াসহ নানা ধরনের রোগ বিস্তার লাভ করে। তাই আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচারণের কারণে পুরো জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে জানান তিনি।