শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২, ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

ইসির ‘আস্থা অর্জনের’ সংলাপে বিএনপি ও মিত্রদের ‘অনাস্থা’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের ‘আস্থা অর্জনের’ যে লক্ষ্য নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) মাঠে নেমেছে, বিএনপি ও তার মিত্রদের ‘অনাস্থা ও অসহযোগিতায়’ তা একের পর এক ব্যর্থ হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ হবে বর্তমান কমিশন এ বিষয়টি সব দলের কাছে নিশ্চিত করতে আগামী ১৭ জুলাই থেকে সংলাপের আয়োজন করেছে। তবে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো এ সংলাপে অংশ নেবে না বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলোকে নিয়েই ইসিকে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে, যা আসলে অপ্রয়োজনী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও নির্বাচনী বিশ্লেষকরা। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) এ বিষয়ে গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘সংলাপ করে আস্থা অর্জন কীভাবে হবে, আস্থা অর্জন করতে হবে কাজের মধ্য দিয়ে।’ বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো অংশ না নিলে এই সংলাপ সফল হবে না বলেও মনে করেন ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন (২০০৭-১২) ইসিতে কমিশনারের দায়িত্বে থাকা এই নির্বাচনী বিশ্লেষক। সাখাওয়াত হোসেনের মতে, বার বার এক পক্ষের (ক্ষমতাসীন) দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলে এ নিয়ে বরং প্রশ্নই উঠবে। আগামী বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় (দ্বাদশ সংসদ) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ইসি। সেখানেও অংশ নেয়নি মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো। নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মধ্যে কয়েকটি বামদলসহ মোট ১১টি দল ওই সভা বর্জন করে। বিএনপির দপ্তর সূত্র বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারের বাইরে এই মুহূর্তে বিএনপি অন্য কোন আলোচনায় অংশ নেবে না। দলের নীতিনির্ধরণী ফোরাম ইসির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২০ জুলাই সংলাপে অংশ নিতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মূল দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন একটি ‘নিরপেক্ষ’ সরকার। সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনের এ ইসির পক্ষে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। বর্তমান কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাই সংলাপে বসার প্রশ্নই ওঠে না।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর’ করতে এর আগে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক ধাপে সংলাপ করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সংঙ্গে সংলাপ শুরু হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আগামী ১৭ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে এই সংলাপ শুরু হবে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। শেষ দিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সব দলের সঙ্গে সংলাপের সময় এক ঘণ্টা হলেও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ হবে দুই ঘণ্টা। নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই সব ধরনের সংলাপ বর্জন করে আসছে বিএনপি। ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আনুষ্ঠানিক সংলাপেও দলটি অংশ নেয়নি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা, দুপুর ১২টা থেকে ১টা, বিকেল আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা ও বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ৪টি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। সংলাপের আমন্ত্রিত দলগুলোকে ধারাবাহিকভাবে ৭ জুলাই থেকে চিঠি দেয়া শুরু হয়েছে।’ প্রতিটি দল থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ নিতে পারবেন বলে জানান অশোক কুমার।

কোন দলের সঙ্গে কবে সংলাপ

১৭ জুলাই জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু হবে। ওইদিন অন্য তিনটি দলের মধ্যে থাকছে- বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।

১৮ জুলাই বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ হবে। ১৯ জুলাই হবে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম.এল) সঙ্গে। ২০ জুলাই গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (আমিনা) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

২১ জুলাই বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মুকিত), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও গণফ্রন্ট; ২৪ জুলাই বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ; ২৫ জুলাই বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি; ২৬ জুলাই জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে সংলাপ হবে।

২৭ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), জাকের পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ; ২৮ জুলাই গণফোরাম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাণি) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং ৩১ জুলাই সকালে জাতীয় পার্টি ও বিকেলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ , ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

ইসির ‘আস্থা অর্জনের’ সংলাপে বিএনপি ও মিত্রদের ‘অনাস্থা’

ফয়েজ আহমেদ তুষার

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের ‘আস্থা অর্জনের’ যে লক্ষ্য নিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) মাঠে নেমেছে, বিএনপি ও তার মিত্রদের ‘অনাস্থা ও অসহযোগিতায়’ তা একের পর এক ব্যর্থ হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ হবে বর্তমান কমিশন এ বিষয়টি সব দলের কাছে নিশ্চিত করতে আগামী ১৭ জুলাই থেকে সংলাপের আয়োজন করেছে। তবে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো এ সংলাপে অংশ নেবে না বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলোকে নিয়েই ইসিকে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে, যা আসলে অপ্রয়োজনী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও নির্বাচনী বিশ্লেষকরা। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) এ বিষয়ে গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘সংলাপ করে আস্থা অর্জন কীভাবে হবে, আস্থা অর্জন করতে হবে কাজের মধ্য দিয়ে।’ বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো অংশ না নিলে এই সংলাপ সফল হবে না বলেও মনে করেন ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন (২০০৭-১২) ইসিতে কমিশনারের দায়িত্বে থাকা এই নির্বাচনী বিশ্লেষক। সাখাওয়াত হোসেনের মতে, বার বার এক পক্ষের (ক্ষমতাসীন) দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলে এ নিয়ে বরং প্রশ্নই উঠবে। আগামী বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় (দ্বাদশ সংসদ) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ইসি। সেখানেও অংশ নেয়নি মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো। নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মধ্যে কয়েকটি বামদলসহ মোট ১১টি দল ওই সভা বর্জন করে। বিএনপির দপ্তর সূত্র বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারের বাইরে এই মুহূর্তে বিএনপি অন্য কোন আলোচনায় অংশ নেবে না। দলের নীতিনির্ধরণী ফোরাম ইসির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২০ জুলাই সংলাপে অংশ নিতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মূল দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন একটি ‘নিরপেক্ষ’ সরকার। সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনের এ ইসির পক্ষে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। বর্তমান কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাই সংলাপে বসার প্রশ্নই ওঠে না।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর’ করতে এর আগে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েক ধাপে সংলাপ করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সংঙ্গে সংলাপ শুরু হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আগামী ১৭ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে এই সংলাপ শুরু হবে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। শেষ দিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সব দলের সঙ্গে সংলাপের সময় এক ঘণ্টা হলেও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ হবে দুই ঘণ্টা। নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই সব ধরনের সংলাপ বর্জন করে আসছে বিএনপি। ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আনুষ্ঠানিক সংলাপেও দলটি অংশ নেয়নি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা, দুপুর ১২টা থেকে ১টা, বিকেল আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা ও বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ৪টি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। সংলাপের আমন্ত্রিত দলগুলোকে ধারাবাহিকভাবে ৭ জুলাই থেকে চিঠি দেয়া শুরু হয়েছে।’ প্রতিটি দল থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ নিতে পারবেন বলে জানান অশোক কুমার।

কোন দলের সঙ্গে কবে সংলাপ

১৭ জুলাই জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু হবে। ওইদিন অন্য তিনটি দলের মধ্যে থাকছে- বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।

১৮ জুলাই বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ হবে। ১৯ জুলাই হবে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম.এল) সঙ্গে। ২০ জুলাই গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (আমিনা) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

২১ জুলাই বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মুকিত), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও গণফ্রন্ট; ২৪ জুলাই বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ; ২৫ জুলাই বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি; ২৬ জুলাই জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে সংলাপ হবে।

২৭ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), জাকের পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ; ২৮ জুলাই গণফোরাম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাণি) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং ৩১ জুলাই সকালে জাতীয় পার্টি ও বিকেলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন।