শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২, ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

দক্ষিণাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

আষাঢ়ের পূর্ণিমার ভরা কোটালে ফুঁসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে এই অঞ্চলের বিশাল এলাকাসহ বিপুল আমন বীজতলা প্লাবনের আশঙ্কায় কৃষকদের দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইড্রোলজি উপবিভাগের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলের মেঘনা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী ও কঁচাসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি গত তিন দিন ধরে বিপৎসীমার উপরে বইছে। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে বইছে। ভোলা খেয়াঘাটে তেঁতুলিয়ার পানি ৫ সেন্টিমিটার, দৌলতখানে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার উপরে এবং তজুমদ্দিনে একই নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানিও বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার এবং একই জেলার বিষখালী নদী পাথরঘাটায় ৬৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর এবং উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি যথাক্রমে ২ সেন্টিমিটার ও ৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঝালকাঠীতে বিষখালী নদী এখনও বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও পানি ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের সবগুলো গেজ স্টেশন থেকে নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। পূর্ণিমার ভরা কাটালে ভর করে সাগর কিছুটা ফুঁসে ওঠার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্বের বাতাসে দক্ষিণ উপকূলসহ অভ্যন্তরভাগের নদ-নদীর বাড়ছে বলে বোর্ডের দায়ত্বিশীল সূত্রে বলা হয়েছে। তবে উত্তর ও পূর্ব উত্তরের বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি খুব স্থায়ী না হলেও এই অঞ্চলের আমন বীজতলার জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এবার দক্ষিণাঞ্চলে ৭ লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাঠে মাঠে বীজতলা তৈরী প্রায় শেষ হলেও আষাঢ়ের পূর্ণিমার এ প্লাবন যথেষ্ট ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দিন তিনেক বাদেই সাগর শান্ত হলে দক্ষিণ উপকূলের অভ্যন্তরের পানি গ্রহন শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলেও জানানো হয়েছে।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ , ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

আষাঢ়ের পূর্ণিমায় সাগর উত্তাল

দক্ষিণাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

আষাঢ়ের পূর্ণিমার ভরা কোটালে ফুঁসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে এই অঞ্চলের বিশাল এলাকাসহ বিপুল আমন বীজতলা প্লাবনের আশঙ্কায় কৃষকদের দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইড্রোলজি উপবিভাগের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলের মেঘনা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী ও কঁচাসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি গত তিন দিন ধরে বিপৎসীমার উপরে বইছে। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে বইছে। ভোলা খেয়াঘাটে তেঁতুলিয়ার পানি ৫ সেন্টিমিটার, দৌলতখানে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার উপরে এবং তজুমদ্দিনে একই নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানিও বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার এবং একই জেলার বিষখালী নদী পাথরঘাটায় ৬৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর এবং উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি যথাক্রমে ২ সেন্টিমিটার ও ৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঝালকাঠীতে বিষখালী নদী এখনও বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও পানি ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের সবগুলো গেজ স্টেশন থেকে নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। পূর্ণিমার ভরা কাটালে ভর করে সাগর কিছুটা ফুঁসে ওঠার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্বের বাতাসে দক্ষিণ উপকূলসহ অভ্যন্তরভাগের নদ-নদীর বাড়ছে বলে বোর্ডের দায়ত্বিশীল সূত্রে বলা হয়েছে। তবে উত্তর ও পূর্ব উত্তরের বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি খুব স্থায়ী না হলেও এই অঞ্চলের আমন বীজতলার জন্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এবার দক্ষিণাঞ্চলে ৭ লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাঠে মাঠে বীজতলা তৈরী প্রায় শেষ হলেও আষাঢ়ের পূর্ণিমার এ প্লাবন যথেষ্ট ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দিন তিনেক বাদেই সাগর শান্ত হলে দক্ষিণ উপকূলের অভ্যন্তরের পানি গ্রহন শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলেও জানানো হয়েছে।