শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২, ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

মানুষ ফিরছে, তবে ঢাকা এখনও ফাঁকা

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মজীবীরা আবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঢাকা এখনও অনেকটাই ফাঁকা। গত ১০ মে দেশে পালিত হয় ঈদুল আজহা। ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছেড়ে যায় লাখ লাখ মানুষ। ছুটি শেষে মঙ্গলবার সরকারি অফিস আদালত খুললেও গতকাল সচিবালয় ঘুরে ছুটির আমেজ দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার অফিসপাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।

এদিকে গতকাল গুলিস্তান, মালিবাগ, রামপুরা, কুড়িল, মহাখালী, মগবাজার, বাংলামটর, ফার্মগেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাজপথের দোকানপাট, বিপণিবিতান, রেস্টুরেন্ট বন্ধ দেখা গেছে। মহল্লার দোকানপাট খুললেও ক্রেতার চাপ নেই।

লোকজন কম থাকায় গণপরিবহনের সংখ্যাও কম। রাস্তাঘাটও ফাঁকা। গতকাল ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল। রাস্তায় অফিসগামী মানুষের চলাচল বেড়েছে। তবে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চঘাট এবং মহাখালী, গাবতলী ও সায়দাবাদ বাসটার্মিনালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা দূরপাল্লার গাড়িতে যাত্রীর চাপ লক্ষ করা গেছে। এদিন সকাল থেকে ভরপুর যাত্রী নিয়ে ট্রেন, বাস ও লঞ্চ ঢাকায় ফিরেছে। উপচেপড়া চাপ না থাকলেও যাত্রীদের কমতি নেই। তবে বাসের চেয়ে ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বেশি।

শুক্র ও শনিবার রেল ও নৌপথে যাত্রীর চাপ বেশি থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই দুই দিনে বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ রাজধানীতে ফিরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে আগামী সপ্তহে ঢাকা তার স্বরূপে ফিরবে।

এদিকে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। গতকাল সকাল থেকে সড়কে ছিল না কোন দুর্ভোগ। ভোগান্তির চিরচেনা রূপ পাল্টে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।

শরীয়তপুর থেকে ঢাকাগামী রোবায়েত নামে এক যাত্রী বলেন, ‘সময় এবং অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ফেরিঘাটের ঝক্কি-ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা দারুণ খুশি।’ শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস বাসের এক সহকারী বলেন, ‘ঢাকা থেকে শরীয়তপুর এখন সহজেই যাওয়া যায়। তবে রাস্তা সরু হওয়ায় মাঝে মাঝে একটু জ্যামে আটকে থাকতে হয়। এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পরে আর কোন সমস্যা হয় না। দ্রুত ঢাকা পৌঁছে যাই। তবে ঢাকায় ঢুকতে সমস্যা হয়, প্রচন্ড গাড়ির চাপ থাকে।’

খুলনা থেকে আসা দোলা পরিবহনের যাত্রী সোবহান বলেন, ‘দ্রুত পদ্মা সেতুর কাছে এসেছি, এখন উঠবো। আশা করি অল্প সময়ে সেতু পার হয়ে ঢাকায় চলে যাবো। একসময় খুবই ভোগান্তি ছিল ঘাটে। সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এতে আমরা খুব খুশি।’

শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ , ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

মানুষ ফিরছে, তবে ঢাকা এখনও ফাঁকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

মানুষ ফিরছে, তবে ঢাকা এখনও ফাঁকা। রাজধানীর গতকালের চিত্র -সংবাদ

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মজীবীরা আবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঢাকা এখনও অনেকটাই ফাঁকা। গত ১০ মে দেশে পালিত হয় ঈদুল আজহা। ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছেড়ে যায় লাখ লাখ মানুষ। ছুটি শেষে মঙ্গলবার সরকারি অফিস আদালত খুললেও গতকাল সচিবালয় ঘুরে ছুটির আমেজ দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার অফিসপাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।

এদিকে গতকাল গুলিস্তান, মালিবাগ, রামপুরা, কুড়িল, মহাখালী, মগবাজার, বাংলামটর, ফার্মগেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাজপথের দোকানপাট, বিপণিবিতান, রেস্টুরেন্ট বন্ধ দেখা গেছে। মহল্লার দোকানপাট খুললেও ক্রেতার চাপ নেই।

লোকজন কম থাকায় গণপরিবহনের সংখ্যাও কম। রাস্তাঘাটও ফাঁকা। গতকাল ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল। রাস্তায় অফিসগামী মানুষের চলাচল বেড়েছে। তবে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চঘাট এবং মহাখালী, গাবতলী ও সায়দাবাদ বাসটার্মিনালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা দূরপাল্লার গাড়িতে যাত্রীর চাপ লক্ষ করা গেছে। এদিন সকাল থেকে ভরপুর যাত্রী নিয়ে ট্রেন, বাস ও লঞ্চ ঢাকায় ফিরেছে। উপচেপড়া চাপ না থাকলেও যাত্রীদের কমতি নেই। তবে বাসের চেয়ে ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বেশি।

শুক্র ও শনিবার রেল ও নৌপথে যাত্রীর চাপ বেশি থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই দুই দিনে বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ রাজধানীতে ফিরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে আগামী সপ্তহে ঢাকা তার স্বরূপে ফিরবে।

এদিকে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। গতকাল সকাল থেকে সড়কে ছিল না কোন দুর্ভোগ। ভোগান্তির চিরচেনা রূপ পাল্টে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।

শরীয়তপুর থেকে ঢাকাগামী রোবায়েত নামে এক যাত্রী বলেন, ‘সময় এবং অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ফেরিঘাটের ঝক্কি-ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা দারুণ খুশি।’ শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস বাসের এক সহকারী বলেন, ‘ঢাকা থেকে শরীয়তপুর এখন সহজেই যাওয়া যায়। তবে রাস্তা সরু হওয়ায় মাঝে মাঝে একটু জ্যামে আটকে থাকতে হয়। এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পরে আর কোন সমস্যা হয় না। দ্রুত ঢাকা পৌঁছে যাই। তবে ঢাকায় ঢুকতে সমস্যা হয়, প্রচন্ড গাড়ির চাপ থাকে।’

খুলনা থেকে আসা দোলা পরিবহনের যাত্রী সোবহান বলেন, ‘দ্রুত পদ্মা সেতুর কাছে এসেছি, এখন উঠবো। আশা করি অল্প সময়ে সেতু পার হয়ে ঢাকায় চলে যাবো। একসময় খুবই ভোগান্তি ছিল ঘাটে। সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এতে আমরা খুব খুশি।’