শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২, ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত সর্বোত্তম অনুশীলন এবং উদ্ভাবনী ডিজিটাল এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (এইচএলপিএফ) ২০২২-এর একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তারা সম্প্রতি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অনলাইনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে তৈরি একটি টেকসই এগ্রিকালচারাল ইকোসিস্টেম খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতের জন্য আরও অনেক সুবিধা বয়ে আনবে। তারা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্রাউডসোর্সিং, স্যাটেলাইট ডাটা এবং এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট’সহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডাটা সিস্টেম ব্যবহার করে একটি সার্বজনীন ফুড ডাটা সিস্টেম উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সরকার, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন এবং তাদের উদ্ভাবিত সর্বোত্তম প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং অনুশীলন নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহজ নীতিমালা তৈরি ও তা কার্যকর করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে ক্রস-সেক্টরাল কোঅর্ডিনেশন এবং কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য একটি টেকসই লজিস্টিক সলিউশন ফ্রেমওয়ার্ক তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তাঁরা। ব্লকচেইনের মতো সর্বাধুনিক ফোরআইআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনাকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্রযুক্তিগত সমাধানগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বৃহৎ পরিসরের জন্য টেকসই এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে রূপান্তর করা যেতে পারে বলে মত দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই আমাদের অনেক দেশে কৃষিই হলো প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। তবে, মহামারির সময়টাতে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন অব্যাহত রাখতে অনেকগুলো ডিজিটাল উদ্ভাবনকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে কাজে লাগাতে হয়েছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা মোকাবিলায় আমরা এই উদ্ভাবনগুলোকে কাজে লাগাতে পারি। সে সঙ্গে গ্রামীণ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা কৃষিতে জড়িত সংস্থাগুলোকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন দরকার হবে। মহামারি পরবর্তী সময়ে আমরা কৃষক, কৃষিপণ্যের ক্রেতা, সরবরাহকারী এবং সমগ্র সাপ্লাই চেইন এর উন্নয়ন প্রক্রিয়ার এইসব নতুন ধারণা ও সেবাকে টেকসই করার লক্ষ্যে কাজ করছি। বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের এই প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাগুলো শেয়ার করতে পারি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। তিনি বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্রাউডসোর্সিং, স্যাটেলাইট ডাটা এবং এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল ডাটা ব্যবহার করে একটি ফুড ডাটা সিস্টেম তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অব এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট টু এনশিউর ফুড সিকিউরিটি ইন দ্য নিউ নরমাল’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এর উপস্থাপনায় উক্ত প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগ) ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম; উগান্ডার এগ্রো সাপ্লাই লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জোসেফ ওগোয়াল; বেয়ার্স ক্রপসায়েন্স লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি, সাউথ এশিয়া-এর পরিচালক রাজবীর রাঠি; গ্লোবাল ইনোভেশন ফান্ড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবিনাশ মিশ্রা; জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট কৃষি ও মৎস্য বাণিজ্য নীতির উপদেষ্টা ড. বেঞ্জামিন কোয়াসি অ্যাডোম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী বক্তব্যে সেনেগালে নিযুক্ত জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি চ্যাখ নিয়াং এবং ইউনাইটেড নেশন্স অফিস ফর সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন (ইউএনিএসএসসি) এর ডেপুটি ডিরেক্টর ফর প্রোগ্রাম অ্যান্ড অপারেশনস জিয়াওজুন গ্রেস ওয়াং মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এর লক্ষ্যে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের উপর জোর দেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ , ৩১ আষাঢ ১৪২৯ ১৬ জিলহজ ১৪৪৩

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

image

করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত সর্বোত্তম অনুশীলন এবং উদ্ভাবনী ডিজিটাল এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (এইচএলপিএফ) ২০২২-এর একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তারা সম্প্রতি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অনলাইনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে তৈরি একটি টেকসই এগ্রিকালচারাল ইকোসিস্টেম খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতের জন্য আরও অনেক সুবিধা বয়ে আনবে। তারা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্রাউডসোর্সিং, স্যাটেলাইট ডাটা এবং এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট’সহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডাটা সিস্টেম ব্যবহার করে একটি সার্বজনীন ফুড ডাটা সিস্টেম উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সরকার, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন এবং তাদের উদ্ভাবিত সর্বোত্তম প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং অনুশীলন নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহজ নীতিমালা তৈরি ও তা কার্যকর করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে ক্রস-সেক্টরাল কোঅর্ডিনেশন এবং কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য একটি টেকসই লজিস্টিক সলিউশন ফ্রেমওয়ার্ক তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তাঁরা। ব্লকচেইনের মতো সর্বাধুনিক ফোরআইআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনাকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্রযুক্তিগত সমাধানগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বৃহৎ পরিসরের জন্য টেকসই এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে রূপান্তর করা যেতে পারে বলে মত দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই আমাদের অনেক দেশে কৃষিই হলো প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। তবে, মহামারির সময়টাতে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন অব্যাহত রাখতে অনেকগুলো ডিজিটাল উদ্ভাবনকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে কাজে লাগাতে হয়েছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা মোকাবিলায় আমরা এই উদ্ভাবনগুলোকে কাজে লাগাতে পারি। সে সঙ্গে গ্রামীণ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা কৃষিতে জড়িত সংস্থাগুলোকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন দরকার হবে। মহামারি পরবর্তী সময়ে আমরা কৃষক, কৃষিপণ্যের ক্রেতা, সরবরাহকারী এবং সমগ্র সাপ্লাই চেইন এর উন্নয়ন প্রক্রিয়ার এইসব নতুন ধারণা ও সেবাকে টেকসই করার লক্ষ্যে কাজ করছি। বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের এই প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাগুলো শেয়ার করতে পারি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। তিনি বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্রাউডসোর্সিং, স্যাটেলাইট ডাটা এবং এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল ডাটা ব্যবহার করে একটি ফুড ডাটা সিস্টেম তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অব এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট টু এনশিউর ফুড সিকিউরিটি ইন দ্য নিউ নরমাল’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এর উপস্থাপনায় উক্ত প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগ) ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম; উগান্ডার এগ্রো সাপ্লাই লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জোসেফ ওগোয়াল; বেয়ার্স ক্রপসায়েন্স লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি, সাউথ এশিয়া-এর পরিচালক রাজবীর রাঠি; গ্লোবাল ইনোভেশন ফান্ড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবিনাশ মিশ্রা; জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট কৃষি ও মৎস্য বাণিজ্য নীতির উপদেষ্টা ড. বেঞ্জামিন কোয়াসি অ্যাডোম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী বক্তব্যে সেনেগালে নিযুক্ত জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি চ্যাখ নিয়াং এবং ইউনাইটেড নেশন্স অফিস ফর সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন (ইউএনিএসএসসি) এর ডেপুটি ডিরেক্টর ফর প্রোগ্রাম অ্যান্ড অপারেশনস জিয়াওজুন গ্রেস ওয়াং মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এগ্রিকালচার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এর লক্ষ্যে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের উপর জোর দেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।