যশোরে যুবদল নেতা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ জন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা।

গতকাল জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলো যশোর শহরের রেল রোড টিবি ক্লিনিকের রায়হান (২৫), শঙ্করপুরের ইছা মীর (২০) ও টিবি ক্লিনিক পাড়ার আল আমিন (২৫)। তাদের মধ্যে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা।

পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জানান, ?গত ১২ জুলাই সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন বদিউজ্জামান ধনি। গত বুধবার রাতে তার ভাই মনিরুজ্জামান ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক পাড়া থেকে প্রধান আসামি রায়হানকে এবং খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রাম থেকে ইছা মীরকে আটক করে। এছাড়া র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা শহরের শংকরপুর থেকে এজাহারনামীয় আসামি আল আমিনকে আটক করেন। এ সময় তাদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি গাছিদা, একটি করে চাইনিজ কুড়াল ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, বদিউজ্জামান ধনি হত্যার মাস্টারমাইন্ড শামীম আহমেদ মানুয়া ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শামীমের জামাই ইয়াছিন হত্যায় আসামি ছিলেন বদিউজ্জামান। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রভাবও রয়েছে গত মঙ্গলবারের ঘটনায়। শামীমসহ এজাহারনামীয় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত ১২ জুলাই দুপুর ১২টায় যশোর শহরের চোপদারপাড়া আকবারের মোড়ে নিজ বাড়ির সামনে যুবদল নেতা বদিউজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।