গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কিছুটা বেশী হলেও এবার ঈদে পশুর চামড়া ক্রয় করার আগ্রহ ছিল না ফড়িয়াদের। দাম বেশি পাওয়ার আশায় ঈদের দিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে কিছু ফড়িয়া ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনলেও তা বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে দাম কম হওয়ায় ঈশ্বরদীর বেশির ভাগ গ্রামে ঈদের পশু চামড়া তারা দান করে দিয়েছেন স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। শহরের আড়ত ও ঈদহাটে চামড়া কিনে বিক্রি না করতে পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঈশ্বরদীর চামড়া ব্যবসায়ীরা।
গত রোববার ঈদের দিন ও পরদিন সোমবার চামড়া ক্রয় করার পর থেকে এখনো চামড়া বিক্রির ব্যবস্থা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এই এলাকার চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঈশ্বরদীতে এবার গরুর চামড়া ৩ থেকে ৫০০ টাকা পিস এবং খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জানান, এসব চামড়ার মধ্যে স্থানীয়ভাবে জবাই করা কোরবানীর পশুর এবং ঈশ্বরদীর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর চামড়ার আমদানি হয়। ঈদের দিন সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী শহরের রেলওয়ে গেটে চামড়ার গুদামে গিয়ে দেখা গেছে, স্তুপ স্তুপ চামড়া পড়ে আছে কিন্তু কেনার লোক নেই। অনেক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মোকাম থেকে ফেরত নিয়ে গেছেন তবে তারা এ চামড়া সংরক্ষণ করতেও পারছেন না। আবার ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত চামড়া ব্যবসায়ীদের গুদামে বিক্রির অপেক্ষায় ঈশ্বরদীতেই পড়ে আছে পশুর চামড়া।
ঈশ্বরদী চামড়া মোকামের নিয়মিত ব্যবসায়ী আশাদুজ্জামান জানান, এবার ঈদুল আজহায় প্রতিটি গরুর চামড়া গড়ে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত এবং প্রতিটি খাসির চামড়া গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বেচা-কেনা হয়। অনেক ক্ষেত্রে গরুর সঙ্গে খাসির চামড়া ফ্রি দিতেও হয়েছে বলে জানান অনেকে চামড়া ব্যবসায়ী।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ঈদে কেনা সব চামড়া এখন ঈশ্বরদীতেই বিভিন্ন চামড়ার আড়তে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে। ঢাকা কিংবা নওয়াপাড়ার কোন ট্যানারী মালিকরা এখন পর্যন্ত চামড়া কিনতে রাজি হননি বলে জানান ঈশ্বরদীর চামড়া ব্যবসায়ীরা।
রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২ , ০২ শ্রাবণ ১৪২৯ ১৮ জিলহজ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)
গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কিছুটা বেশী হলেও এবার ঈদে পশুর চামড়া ক্রয় করার আগ্রহ ছিল না ফড়িয়াদের। দাম বেশি পাওয়ার আশায় ঈদের দিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে কিছু ফড়িয়া ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনলেও তা বিক্রি করতে গিয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে দাম কম হওয়ায় ঈশ্বরদীর বেশির ভাগ গ্রামে ঈদের পশু চামড়া তারা দান করে দিয়েছেন স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। শহরের আড়ত ও ঈদহাটে চামড়া কিনে বিক্রি না করতে পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঈশ্বরদীর চামড়া ব্যবসায়ীরা।
গত রোববার ঈদের দিন ও পরদিন সোমবার চামড়া ক্রয় করার পর থেকে এখনো চামড়া বিক্রির ব্যবস্থা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এই এলাকার চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঈশ্বরদীতে এবার গরুর চামড়া ৩ থেকে ৫০০ টাকা পিস এবং খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জানান, এসব চামড়ার মধ্যে স্থানীয়ভাবে জবাই করা কোরবানীর পশুর এবং ঈশ্বরদীর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর চামড়ার আমদানি হয়। ঈদের দিন সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী শহরের রেলওয়ে গেটে চামড়ার গুদামে গিয়ে দেখা গেছে, স্তুপ স্তুপ চামড়া পড়ে আছে কিন্তু কেনার লোক নেই। অনেক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মোকাম থেকে ফেরত নিয়ে গেছেন তবে তারা এ চামড়া সংরক্ষণ করতেও পারছেন না। আবার ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত চামড়া ব্যবসায়ীদের গুদামে বিক্রির অপেক্ষায় ঈশ্বরদীতেই পড়ে আছে পশুর চামড়া।
ঈশ্বরদী চামড়া মোকামের নিয়মিত ব্যবসায়ী আশাদুজ্জামান জানান, এবার ঈদুল আজহায় প্রতিটি গরুর চামড়া গড়ে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত এবং প্রতিটি খাসির চামড়া গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বেচা-কেনা হয়। অনেক ক্ষেত্রে গরুর সঙ্গে খাসির চামড়া ফ্রি দিতেও হয়েছে বলে জানান অনেকে চামড়া ব্যবসায়ী।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ঈদে কেনা সব চামড়া এখন ঈশ্বরদীতেই বিভিন্ন চামড়ার আড়তে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে। ঢাকা কিংবা নওয়াপাড়ার কোন ট্যানারী মালিকরা এখন পর্যন্ত চামড়া কিনতে রাজি হননি বলে জানান ঈশ্বরদীর চামড়া ব্যবসায়ীরা।