হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগ ছড়াচ্ছে

করোনা, ডেঙ্গুজ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে : বিশেষজ্ঞ শিশু হাসপাতালে দিনে ৭শ’র বেশি শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে : পরিচালক

সারাদেশে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্র্দি, কাশিতে শিশুসহ নানা পেশার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় হাঁচি কাশির মাধ্যমে রোগ ছড়াচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বাড়ছে। বহিঃবিভাগে দিনে ৭শর বেশি রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এভাবে সারাদেশে জ্বর ও কাশির রোগী বেড়েই চলছে। আক্রান্তরা প্রথমে বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করছেন। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ছুটে যান। ঈদের ছুটির পর প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানেসথেসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, কোভিড, ডেঙ্গু ও মৌসুমি জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তিনটি ভাইরাসেই জ্বর ও কাশি হয়।

এতে শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা ও প্রচণ্ড কাশি হয়। কোভিডে আক্রান্তদের বেশি কাশি হয়। এসব রোগীদের হাসপাতালে গিয়ে দ্রুত টেস্ট করা দরকার। আর ক্ষুধা-মন্দা থাকলেও পরীক্ষা করে চিকিৎসা করা দরকার। তিনদিন প্যারাসিট্যামল খাওয়ার পাশাপাশি পানি ও বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খেলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসান ইমাম (আরপি) জানান, এটা ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গুও এক ধরনের ভাইরাস জ্বর, তেমনি করোনাও এক ধরনের ভাইরাস।

ঈদের আগ থেকে এই জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তার মতে, অতিরিক্ত গরম ও তাপমাত্রার কারণে শিশুরা প্রচণ্ড ঘেমে যায়। এরপরই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোজাম্মেল হক জানান, এখর জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগী বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে সাধারণ সর্দি, ভাইরাস জ্বর ও মাথা ব্যথাসহ নানা রোগ বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বহিঃবিভাগে ও ডাক্তারদের চেম্বারে গতকাল থেকে রোগীর চাপ বাড়ছে। গতকাল ২শর বেশি শিশু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটির শিশু বহিঃবিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।

গতকাল অনেকেই আবার ভর্তিও হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে এ অবস্থা হচ্ছে। যেসব রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কেবল তারাই হাসপাতালে যাচ্ছে ও ভর্তি হয়। আবার অনেকেই বহিঃবিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এই ভাইরাস জ্বর ৪ থেকে ৫ দিন থাকে। এরপর রোগী সুস্থ হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড, ডেঙ্গু ও মৌসুমি জ্বর (ইনফ্লুয়েঞ্জা) তিনটির কাশি হয়। তবে যাদের বেশি কাশি তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাই তাদের দ্রুত টেস্ট করা উচিত। টেস্ট করলে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর চিকিৎসা করা দরকার। কিন্তু এখন অনেকেই টেস্ট করে না। এরপরও যাদের করোনা টিকা দেয়া আছে তারা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়।

শহর ছাড়াও পৌরসভা, জেলা এবং গ্রামগঞ্জে মৌসুমি ভাইরাস জ্বরে নানা বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেই জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেয়ে অসুস্থ হয়ে যান। তারা নানা কারণে টেস্টও করে না।

কোভিড, ডেঙ্গু ও মৌসুমি জ্বরের লক্ষণ একই রকম। কিন্তু টেস্ট না করার কারণে তারা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে এক বছর থেকে শুরু করে ৭ থেকে ৮ বছর বয়সের শিশুরা বেশি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ১৩ জুলাই ৭৫৪ জন শিশু বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৪ জুলাই ৭শর বেশি শিশু বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ভর্তি সিট খালি হলে ভর্তি হয়। রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

তার মতে, তীব্র তাপদাহের কারণে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। তার মতে, শিশুদের ঘর থেকে বের করা উচিত নয়। আর গরমের কারণে শিশুদের প্রচুর পানি ও শরবত খাওয়া দরকার। আর শিশুদের জন্য পাতলা ও সাদা কাপড় পরা ভালো। গরমে শিশুদের ঘরের ফ্যানের নিচে রাখা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শ্যামলী টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, এখন জ্বর ও সর্দি ও কাশি হচ্ছে। তাই জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার চেষ্টা করা দরকার। সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। আর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। ডেঙ্গু টেস্ট করতে হবে। হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেক জনের মধ্যে রোগ ছড়ায়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে রোগ ছড়াচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সারাদেশে এখন তীব্র দাবদাহ চলছে। আদ্রতাও খুবই বেশি। বর্তমান অবস্থায় করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু ইত্যাদি মিলে এখন ঘরে ঘরে জ্বর। সবাইকে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে বাসাবাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। বাড়ির ছাদে ও ফুলের টবে ফ্রিজের নিচে যাতে পানি জমে না থাকে তার জন্য সবাই সচেতন হলে আশাকরি পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২ , ০২ শ্রাবণ ১৪২৯ ১৮ জিলহজ ১৪৪৩

ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী

হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগ ছড়াচ্ছে

করোনা, ডেঙ্গুজ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে : বিশেষজ্ঞ শিশু হাসপাতালে দিনে ৭শ’র বেশি শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে : পরিচালক

বাকী বিল্লাহ

সারাদেশে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্র্দি, কাশিতে শিশুসহ নানা পেশার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় হাঁচি কাশির মাধ্যমে রোগ ছড়াচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বাড়ছে। বহিঃবিভাগে দিনে ৭শর বেশি রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এভাবে সারাদেশে জ্বর ও কাশির রোগী বেড়েই চলছে। আক্রান্তরা প্রথমে বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করছেন। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ছুটে যান। ঈদের ছুটির পর প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানেসথেসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, কোভিড, ডেঙ্গু ও মৌসুমি জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তিনটি ভাইরাসেই জ্বর ও কাশি হয়।

এতে শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা ও প্রচণ্ড কাশি হয়। কোভিডে আক্রান্তদের বেশি কাশি হয়। এসব রোগীদের হাসপাতালে গিয়ে দ্রুত টেস্ট করা দরকার। আর ক্ষুধা-মন্দা থাকলেও পরীক্ষা করে চিকিৎসা করা দরকার। তিনদিন প্যারাসিট্যামল খাওয়ার পাশাপাশি পানি ও বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খেলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসান ইমাম (আরপি) জানান, এটা ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গুও এক ধরনের ভাইরাস জ্বর, তেমনি করোনাও এক ধরনের ভাইরাস।

ঈদের আগ থেকে এই জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তার মতে, অতিরিক্ত গরম ও তাপমাত্রার কারণে শিশুরা প্রচণ্ড ঘেমে যায়। এরপরই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোজাম্মেল হক জানান, এখর জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগী বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে সাধারণ সর্দি, ভাইরাস জ্বর ও মাথা ব্যথাসহ নানা রোগ বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বহিঃবিভাগে ও ডাক্তারদের চেম্বারে গতকাল থেকে রোগীর চাপ বাড়ছে। গতকাল ২শর বেশি শিশু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ভার্সিটির শিশু বহিঃবিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।

গতকাল অনেকেই আবার ভর্তিও হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে এ অবস্থা হচ্ছে। যেসব রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কেবল তারাই হাসপাতালে যাচ্ছে ও ভর্তি হয়। আবার অনেকেই বহিঃবিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এই ভাইরাস জ্বর ৪ থেকে ৫ দিন থাকে। এরপর রোগী সুস্থ হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড, ডেঙ্গু ও মৌসুমি জ্বর (ইনফ্লুয়েঞ্জা) তিনটির কাশি হয়। তবে যাদের বেশি কাশি তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাই তাদের দ্রুত টেস্ট করা উচিত। টেস্ট করলে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর চিকিৎসা করা দরকার। কিন্তু এখন অনেকেই টেস্ট করে না। এরপরও যাদের করোনা টিকা দেয়া আছে তারা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়।

শহর ছাড়াও পৌরসভা, জেলা এবং গ্রামগঞ্জে মৌসুমি ভাইরাস জ্বরে নানা বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেই জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেয়ে অসুস্থ হয়ে যান। তারা নানা কারণে টেস্টও করে না।

কোভিড, ডেঙ্গু ও মৌসুমি জ্বরের লক্ষণ একই রকম। কিন্তু টেস্ট না করার কারণে তারা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে এক বছর থেকে শুরু করে ৭ থেকে ৮ বছর বয়সের শিশুরা বেশি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ১৩ জুলাই ৭৫৪ জন শিশু বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৪ জুলাই ৭শর বেশি শিশু বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর ভর্তি সিট খালি হলে ভর্তি হয়। রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

তার মতে, তীব্র তাপদাহের কারণে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। তার মতে, শিশুদের ঘর থেকে বের করা উচিত নয়। আর গরমের কারণে শিশুদের প্রচুর পানি ও শরবত খাওয়া দরকার। আর শিশুদের জন্য পাতলা ও সাদা কাপড় পরা ভালো। গরমে শিশুদের ঘরের ফ্যানের নিচে রাখা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শ্যামলী টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, এখন জ্বর ও সর্দি ও কাশি হচ্ছে। তাই জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার চেষ্টা করা দরকার। সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। আর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। ডেঙ্গু টেস্ট করতে হবে। হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেক জনের মধ্যে রোগ ছড়ায়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে রোগ ছড়াচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সারাদেশে এখন তীব্র দাবদাহ চলছে। আদ্রতাও খুবই বেশি। বর্তমান অবস্থায় করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু ইত্যাদি মিলে এখন ঘরে ঘরে জ্বর। সবাইকে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে বাসাবাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। বাড়ির ছাদে ও ফুলের টবে ফ্রিজের নিচে যাতে পানি জমে না থাকে তার জন্য সবাই সচেতন হলে আশাকরি পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।