ঢাকার দোহার উপজেলায় মৈনটঘাটে পদ্মা নদীতে পড়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির(২৬) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার ১৫ বন্ধুকে তিনদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গত শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলো- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এ টি এম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
শনিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(এসআই) শামসুল আলম তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বুয়েটের ছাত্র সানিকে মৈনট ঘাটের পল্টুন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছেন মর্মে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, আসামী পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল করে প্রত্যেকের জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুয়েটের শিক্ষার্থী সানিসহ ১৬ যুবক একসঙ্গে ঘুরতে যান মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত দোহারের মৈনটঘাটে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বন্ধুরা তাকে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন।
শুনানিতে আসামিরা আদালতকে বলেন, মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা পিছলে পড়ে যান সানি। তারা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তারিকুজ্জামান সানিসহ একসঙ্গে ১৬ জন যুবক দোহারের মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট এলাকায় ঘুরতে আসে। সন্ধ্যার পর মৈনটঘাটে পদ্মানদীতে থাকা একটি ড্রেজারের ওপর দাঁড়িয়ে তারিকুজ্জামান সানি মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা পিছলে পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তার বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দোহার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শুক্রবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দিকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ , ০৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ১৯ জিলহজ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)
ঢাকার দোহার উপজেলায় মৈনটঘাটে পদ্মা নদীতে পড়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির(২৬) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার ১৫ বন্ধুকে তিনদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গত শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলো- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এ টি এম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
শনিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(এসআই) শামসুল আলম তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বুয়েটের ছাত্র সানিকে মৈনট ঘাটের পল্টুন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছেন মর্মে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, আসামী পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল করে প্রত্যেকের জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুয়েটের শিক্ষার্থী সানিসহ ১৬ যুবক একসঙ্গে ঘুরতে যান মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত দোহারের মৈনটঘাটে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বন্ধুরা তাকে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন।
শুনানিতে আসামিরা আদালতকে বলেন, মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা পিছলে পড়ে যান সানি। তারা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তারিকুজ্জামান সানিসহ একসঙ্গে ১৬ জন যুবক দোহারের মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট এলাকায় ঘুরতে আসে। সন্ধ্যার পর মৈনটঘাটে পদ্মানদীতে থাকা একটি ড্রেজারের ওপর দাঁড়িয়ে তারিকুজ্জামান সানি মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা পিছলে পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তার বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দোহার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শুক্রবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দিকে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল শেষে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।