মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেল বঙ্গভ্যাক্স

মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে দেশে তৈরি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বঙ্গভ্যাক্স। পরীক্ষামূলকভাবে ৬০ জনকে এই টিকা দেয়া হবে।

গতকাল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ১৬টি শর্ত দিয়েছে অধিদপ্তর। গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদনের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।’

এ বিষয়ে বঙ্গভ্যাক্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব বলেন, ‘মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে দেশীয় কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্স। ৬০ জনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই টিকার ট্রায়াল শুরু হবে।’

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে।

এরপর গত বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেয়া হয়। এরপর বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা দেয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি।

পরে ২০২১ সালের ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে ট্রায়াল শুরু করে, যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।

সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ , ০৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ১৯ জিলহজ ১৪৪৩

মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেল বঙ্গভ্যাক্স

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে দেশে তৈরি গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বঙ্গভ্যাক্স। পরীক্ষামূলকভাবে ৬০ জনকে এই টিকা দেয়া হবে।

গতকাল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ১৬টি শর্ত দিয়েছে অধিদপ্তর। গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদনের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।’

এ বিষয়ে বঙ্গভ্যাক্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব বলেন, ‘মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে দেশীয় কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্স। ৬০ জনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই টিকার ট্রায়াল শুরু হবে।’

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে।

এরপর গত বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেয়া হয়। এরপর বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা দেয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি।

পরে ২০২১ সালের ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে ট্রায়াল শুরু করে, যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।