বৃষ্টিহীন বর্ষা, হাঁসফাঁস জীবন

আষাঢ়ের শেষে ও শ্রাবণের শুরুতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন মাত্রার তাপপ্রবাহ চলছে। ভরা বর্ষা মৌসুম চললেও খরতাপে পুড়ছে প্রায় সর্বত্র। আকাশে মেঘ নেই। গত কয়েক দিনের টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া গুমোট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। প্রচণ্ড রোদের তাপে পুড়ছে সারাদেশ। দেশের উত্তরের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকের খেত পানিশূন্য। কৃষক ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। সময়মতো বীজতলা তৈরি করতে না পারায় ধানও রোপণ করতে পারছে না। আগামী মৌসুমে খাদ্য নিরাপত্তায় এর প্রভাব পড়তে পারে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী বুধবারের দিকে বৃষ্টির সম্ভবনা প্রবল। বৃষ্টি হলে গরম কমে যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুরুর আগে কখনো বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো বর্ষার পর বৃষ্টি হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণের সেই মুষলধারার বৃষ্টি এখন আর নেই। বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণও কমে গেছে। এতটাই কমেছে যে সেটি স্বাভাবিকের চাইতে গড়ে অনেক কম। বাংলাদেশে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় আষাঢ় মাস, আর শ্রাবণ শেষ হয় আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব মতে, গত ২০২১ সালের চেয়ে গত বৃহস্পতিবার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর গতকালের তাপমাত্রা গতবছরের তুলনায় এক দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি ছিল।

সারাদেশের বিভিন্ন বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোকজন বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই রৌদ্রতাপে অসহনীয় অবস্থায় পড়ছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদের আঁচ থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই এখন হাত-মুখসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ কাপড়ে ঢেকে বের হচ্ছেন। কেউ ব্যবহার করছেন ছাতা। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে মানুষ ঠাঁই নিচ্ছে গাছতলায় ও মাঠে। অনেকেই আশপাশের পুকুর, নদী ও খালবিলে ঝাঁপ দিয়ে শরীর ভিজিয়ে নিচ্ছেন।

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কৃষক লোকনাথ রায় সংবাদকে বলেন, জমিতে ইরি মৌসুমের মতো শুকনো, ধুলো উড়ছে, অথচ এখন শ্রাবণ মাস। সব আবাদি জমি এরই মধ্যে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বীজতলার চারা বীজগুলো রোদের তাপে বেশিরভাগ জায়গায় পুড়ে গেছে। কেউ রোপণ করা বীজ লাগালেও সেগুলোও পানির অভাবে মরে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে আমন চারার বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে কারণ শ্রাবণ মাসেও পানির অভাবে জমিতে লাগানো যায়নি। খেতের অনান্য ফসলও নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় সারাদেশে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের সৈয়দপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সেখানকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের হাতিয়ায়। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল সকালে সারাদেশের মধ্যে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের সৈয়দপুরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সেখানকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের হাতিয়ায়। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতিমা আকতার সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের এভরি এয়ার ওশানে একটা সিস্টেম তৈরি হয় যেটাকে আমরা লা-লীনা বলি। এই ওশানের ফ্লোটা ছয়-সাত বছরে বেড়ে যায়। এখন এইটা (ফ্লো) অস্ট্রেলিয়ার দিকে অবস্থান করছে যার কারণে জলীয় বাষ্পটা আমাদের দেশের দিকে আসছে না। অথচ এ সময়টায় আমাদের এইদিকে থাকার কথা ছিল। দক্ষিণা যে বাতাসটা জলীয়বাষ্প নিয়ে সেটা এখন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে যার কারণে আমরা পর্যাপ্ত মরচার (জলীয়বাষ্প) পাচ্ছি না ওই কারণে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে না।’ এটা একটা এন্যুয়াল (বছর) প্রকৃয়ার পার্ট বলে উল্লেখ করেন এই আবহাওয়া বিজ্ঞানী। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো এখন গ্লোবাল টেম্পারেচার রাইজিং ট্রেন্ডে আছি। সেটার একটা প্রভাব আছে।’

২০১৫ সালের পর থেকে দেশে উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রবণতা বেড়েছে বেশি। তবে চলতি বছর তা অনান্য বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তাপমাত্রার এমন আচরণের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মোনোয়ার হোসেন জানান, তাপমাত্রা আগের চেয়ে কমেছে। তবে আগামী বুধবার বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে যাবে বলে আশা করছি।

রংপুর থেকে লিয়াকত আলী বাদল জানিয়েছেন, জেলায় স্মরণকালের প্রচণ্ড গরম ও দাবাদাহে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল দুপুরে রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামিম আহাম্মেদ জানান, সকালেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। তিনি এ অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের সা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আরও সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। দুপুরের পর কোন অবস্থাতেই যেন বাইরে তাদের না থাকতে হয় সেভাবেই শিক্ষকদের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে এ সময় বেশি করে পানি পান, শরবতসহ ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় বিশেষ করে লেবুর শরবত ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে জন সমাগম খুই কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। বড় বড় শপিংমলগুলো খদ্দেরশূন্য হয়ে পড়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই দিনে ৩১ জন রোগী হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ , ০৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ১৯ জিলহজ ১৪৪৩

বৃষ্টিহীন বর্ষা, হাঁসফাঁস জীবন

শাফিউল ইমরান

আষাঢ়ের শেষে ও শ্রাবণের শুরুতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন মাত্রার তাপপ্রবাহ চলছে। ভরা বর্ষা মৌসুম চললেও খরতাপে পুড়ছে প্রায় সর্বত্র। আকাশে মেঘ নেই। গত কয়েক দিনের টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া গুমোট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। প্রচণ্ড রোদের তাপে পুড়ছে সারাদেশ। দেশের উত্তরের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকের খেত পানিশূন্য। কৃষক ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না। সময়মতো বীজতলা তৈরি করতে না পারায় ধানও রোপণ করতে পারছে না। আগামী মৌসুমে খাদ্য নিরাপত্তায় এর প্রভাব পড়তে পারে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী বুধবারের দিকে বৃষ্টির সম্ভবনা প্রবল। বৃষ্টি হলে গরম কমে যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুরুর আগে কখনো বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো বর্ষার পর বৃষ্টি হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণের সেই মুষলধারার বৃষ্টি এখন আর নেই। বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণও কমে গেছে। এতটাই কমেছে যে সেটি স্বাভাবিকের চাইতে গড়ে অনেক কম। বাংলাদেশে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় আষাঢ় মাস, আর শ্রাবণ শেষ হয় আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব মতে, গত ২০২১ সালের চেয়ে গত বৃহস্পতিবার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর গতকালের তাপমাত্রা গতবছরের তুলনায় এক দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি ছিল।

সারাদেশের বিভিন্ন বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোকজন বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই রৌদ্রতাপে অসহনীয় অবস্থায় পড়ছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। রোদের আঁচ থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই এখন হাত-মুখসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ কাপড়ে ঢেকে বের হচ্ছেন। কেউ ব্যবহার করছেন ছাতা। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে মানুষ ঠাঁই নিচ্ছে গাছতলায় ও মাঠে। অনেকেই আশপাশের পুকুর, নদী ও খালবিলে ঝাঁপ দিয়ে শরীর ভিজিয়ে নিচ্ছেন।

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কৃষক লোকনাথ রায় সংবাদকে বলেন, জমিতে ইরি মৌসুমের মতো শুকনো, ধুলো উড়ছে, অথচ এখন শ্রাবণ মাস। সব আবাদি জমি এরই মধ্যে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বীজতলার চারা বীজগুলো রোদের তাপে বেশিরভাগ জায়গায় পুড়ে গেছে। কেউ রোপণ করা বীজ লাগালেও সেগুলোও পানির অভাবে মরে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে আমন চারার বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে কারণ শ্রাবণ মাসেও পানির অভাবে জমিতে লাগানো যায়নি। খেতের অনান্য ফসলও নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় সারাদেশে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের সৈয়দপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সেখানকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের হাতিয়ায়। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গতকাল সকালে সারাদেশের মধ্যে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের সৈয়দপুরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সেখানকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের হাতিয়ায়। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতিমা আকতার সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের এভরি এয়ার ওশানে একটা সিস্টেম তৈরি হয় যেটাকে আমরা লা-লীনা বলি। এই ওশানের ফ্লোটা ছয়-সাত বছরে বেড়ে যায়। এখন এইটা (ফ্লো) অস্ট্রেলিয়ার দিকে অবস্থান করছে যার কারণে জলীয় বাষ্পটা আমাদের দেশের দিকে আসছে না। অথচ এ সময়টায় আমাদের এইদিকে থাকার কথা ছিল। দক্ষিণা যে বাতাসটা জলীয়বাষ্প নিয়ে সেটা এখন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে যার কারণে আমরা পর্যাপ্ত মরচার (জলীয়বাষ্প) পাচ্ছি না ওই কারণে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে না।’ এটা একটা এন্যুয়াল (বছর) প্রকৃয়ার পার্ট বলে উল্লেখ করেন এই আবহাওয়া বিজ্ঞানী। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো এখন গ্লোবাল টেম্পারেচার রাইজিং ট্রেন্ডে আছি। সেটার একটা প্রভাব আছে।’

২০১৫ সালের পর থেকে দেশে উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রবণতা বেড়েছে বেশি। তবে চলতি বছর তা অনান্য বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তাপমাত্রার এমন আচরণের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মোনোয়ার হোসেন জানান, তাপমাত্রা আগের চেয়ে কমেছে। তবে আগামী বুধবার বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে যাবে বলে আশা করছি।

রংপুর থেকে লিয়াকত আলী বাদল জানিয়েছেন, জেলায় স্মরণকালের প্রচণ্ড গরম ও দাবাদাহে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল দুপুরে রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামিম আহাম্মেদ জানান, সকালেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। তিনি এ অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের সা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আরও সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। দুপুরের পর কোন অবস্থাতেই যেন বাইরে তাদের না থাকতে হয় সেভাবেই শিক্ষকদের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে এ সময় বেশি করে পানি পান, শরবতসহ ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় বিশেষ করে লেবুর শরবত ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে জন সমাগম খুই কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। বড় বড় শপিংমলগুলো খদ্দেরশূন্য হয়ে পড়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই দিনে ৩১ জন রোগী হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।