‘বন্যার পূর্বাভাসে’ ফের পেছাল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পিছিয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও এখন আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। যদিও তিনি এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেননি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষা শুরুর দেড় মাস পর অর্থাৎ আগামী নভেম্বরের শুরু থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি জানান, সিলেট ও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। মন্ত্রী জানান, তারা মনে করেছিলেন, আগস্টের কোন এক সময় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টে আবার বন্যার আশঙ্কা আছে। এজন্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর এ পরীক্ষা শুরু করা হবে।
১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি শুরু হলে এ বছরের এইচএসসি কবে নাগাদ নেয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মাঝখানে দুই মাসের বিরতির প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে এসএসসি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হলে এইচএসসি নভেম্বরের মাঝামাঝি হওয়ার কথা।
কিন্তু এবার শিক্ষা বোর্ডগুলো একটু বেশি ‘কষ্ট’ করবে। তারা চেষ্টা করবে এসএসসি শুরুর ৪৫ দিন পর এইচএসসি শুরু করতে। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের গোড়ায় এইচএসসি শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন দীপু মনি।
একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, আগামী মাসেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর সূচি ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, আগস্টেও বন্যা হতে পারে। তখন ফের এই পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এ কারণে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রণয়নের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রুটিনের খসড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য জমা দিতে পারব।’
গত ২৭ এপ্রিল চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। ওই সূচি অনুযায়ী গত ১৯ জুন এই পরীক্ষা শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা গত ৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশপাশের জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির কারণে গত ১৭ জুন এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় সরকার।
সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় একই সময়ে এই নেয়া হলেও করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে যায়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের নতুন বই
ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশে এক লাখ দুই হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা পর্যায়ে নতুন পাঠ্যবই পাঠানো হচ্ছে। এর বাইরে আরও চাহিদা এলে তাদেরও নতুন পাঠ্যবই দেয়া হবে বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে জানিয়েছেন।
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় অনেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তক ‘নষ্ট’ হয়ে গেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিলেটসহ অন্যান্য জেলায় এক লাখ দুই হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে। মন্ত্রী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণী ও ভোকেশনালে সিলেটে ১৪ হাজার ৭৭৯ ও সুনামগঞ্জে ৪২ হাজার ৭৫৫ সেট, এসএসসি ও দাখিলে ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের সিলেটে ৬৮২ ও সুনামগঞ্জে ১০ হাজার ৫৮৬ সেট, ইবতেদায়ি ও দাখিলে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণীর সিলেটে ১০ হাজার ১৪০ ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৫৫৮ সেট বই বিতরণ করা হবে। সে হিসাবে সিলেটে মোট ২৫ হাজার ৬১০ ও সুনামগঞ্জে ৭৬ হাজার ৮৯৯ সেট বই পাঠানো হবে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের উল্লিখিত পাঠ্যপুস্তকসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং নরসিংদী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ১৮ জুলায়ের (আজ) মধ্যে নতুন বই পাঠিয়ে দেয়া হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এর অতিরিক্ত চাহিদা থাকলে এনসিটিবির গুদাম (বাফার স্টক) থেকে শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হবে।
কোচিং বন্ধ নয়
‘শিক্ষকদের কোচিং’ বন্ধ করে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রাইভেটে পড়লে নম্বর বেশি পাবে, না পড়লে কম পাবে, বাধ্য করে কোচিংয়ে নেয়াÑ এসব অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করতে শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে। এটি বন্ধ করতে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না।’ এসব বিষয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘ম্যানেজিং বডির’ সদস্য, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। শুধু আইন করে কোন কিছু বন্ধ করা সম্ভব হয় না। সবাই সচেতন হলে অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ , ০৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ১৯ জিলহজ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
‘বন্যার পূর্বাভাসে’ ফের পেছাল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পিছিয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও এখন আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। যদিও তিনি এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেননি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষা শুরুর দেড় মাস পর অর্থাৎ আগামী নভেম্বরের শুরু থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি জানান, সিলেট ও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। মন্ত্রী জানান, তারা মনে করেছিলেন, আগস্টের কোন এক সময় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টে আবার বন্যার আশঙ্কা আছে। এজন্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর এ পরীক্ষা শুরু করা হবে।
১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি শুরু হলে এ বছরের এইচএসসি কবে নাগাদ নেয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মাঝখানে দুই মাসের বিরতির প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে এসএসসি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হলে এইচএসসি নভেম্বরের মাঝামাঝি হওয়ার কথা।
কিন্তু এবার শিক্ষা বোর্ডগুলো একটু বেশি ‘কষ্ট’ করবে। তারা চেষ্টা করবে এসএসসি শুরুর ৪৫ দিন পর এইচএসসি শুরু করতে। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের গোড়ায় এইচএসসি শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন দীপু মনি।
একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, আগামী মাসেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর সূচি ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, আগস্টেও বন্যা হতে পারে। তখন ফের এই পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এ কারণে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এসএসসির সংশোধিত রুটিন প্রণয়নের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রুটিনের খসড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য জমা দিতে পারব।’
গত ২৭ এপ্রিল চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। ওই সূচি অনুযায়ী গত ১৯ জুন এই পরীক্ষা শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা গত ৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশপাশের জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির কারণে গত ১৭ জুন এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় সরকার।
সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় একই সময়ে এই নেয়া হলেও করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে যায়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের নতুন বই
ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশে এক লাখ দুই হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা পর্যায়ে নতুন পাঠ্যবই পাঠানো হচ্ছে। এর বাইরে আরও চাহিদা এলে তাদেরও নতুন পাঠ্যবই দেয়া হবে বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে জানিয়েছেন।
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় অনেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তক ‘নষ্ট’ হয়ে গেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিলেটসহ অন্যান্য জেলায় এক লাখ দুই হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে। মন্ত্রী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণী ও ভোকেশনালে সিলেটে ১৪ হাজার ৭৭৯ ও সুনামগঞ্জে ৪২ হাজার ৭৫৫ সেট, এসএসসি ও দাখিলে ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের সিলেটে ৬৮২ ও সুনামগঞ্জে ১০ হাজার ৫৮৬ সেট, ইবতেদায়ি ও দাখিলে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণীর সিলেটে ১০ হাজার ১৪০ ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৫৫৮ সেট বই বিতরণ করা হবে। সে হিসাবে সিলেটে মোট ২৫ হাজার ৬১০ ও সুনামগঞ্জে ৭৬ হাজার ৮৯৯ সেট বই পাঠানো হবে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের উল্লিখিত পাঠ্যপুস্তকসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং নরসিংদী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ১৮ জুলায়ের (আজ) মধ্যে নতুন বই পাঠিয়ে দেয়া হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এর অতিরিক্ত চাহিদা থাকলে এনসিটিবির গুদাম (বাফার স্টক) থেকে শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হবে।
কোচিং বন্ধ নয়
‘শিক্ষকদের কোচিং’ বন্ধ করে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রাইভেটে পড়লে নম্বর বেশি পাবে, না পড়লে কম পাবে, বাধ্য করে কোচিংয়ে নেয়াÑ এসব অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করতে শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে। এটি বন্ধ করতে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না।’ এসব বিষয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘ম্যানেজিং বডির’ সদস্য, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। শুধু আইন করে কোন কিছু বন্ধ করা সম্ভব হয় না। সবাই সচেতন হলে অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।