মরা তিস্তা ও মরা ঘৃন্নাই নদী পুনঃখননের নামে বরাদ্দ অর্থ লোপাট

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) রংপুর সার্কেলের অধীন রংপুরের বদরগঞ্জে মরা তিস্তা নদী ও মিঠাপুকুর উপজেলায় মরা ঘৃন্নাই নদী পুুনঃখননের নামে ৫ কোটি টাকা লুটপাট, নামমাত্র খনন দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, মরা নদীকে প্রবহমান করার নামে বেশির ভাগ অর্থ লুটপাট করে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার প্রমাণ ৬ মাস পার না হতেই তিস্তা আর মরা ঘৃন্নাই নদী আবারও মরে গেছে।

অন্যদিকে মরা তিস্তা ও ঘৃন্নাই নদী খননের আগে পরিমাপ ও কাগজপত্র পরীক্ষা না করে অনেক কৃষকের ব্যক্তিগত জমি জবর-দখল করে খনন করা হয়েছে আবার প্রভাবশালীদের জমি খনন থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রকল্পের কাজের কাগজপত্র তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে দীর্ঘ ৪ মাস পর কাগজ পাওয়ার পর সরেজমিন অনুসন্ধান করে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে চরম অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

একই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৪টি কাজ প্রদান ইজিপি টেন্ডার আহ্বানের নামে আগাম রেট প্রদান করে পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে সব ধরনের কারিশমা করা হয়েছে। যদিও ওই কর্মকর্তা এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট বলে প্রত্যাখান করেছেন।

তবে এই প্রকল্প চলমান অবস্থায় তার আজ্ঞাবহ ও পছন্দের বেসরকারি ২-৩টি টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকায় ‘মরা তিস্তায় এখন নৌকা চলছে, শত বছর পর আবার মরা তিস্তা প্রাণ ফিরে পেয়েছে’ বলে রিপোর্ট করিয়ে বাহবা নেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ করার পর বর্তমানে মরা তিস্তা ও ঘৃন্নাই নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে এখন নৌকা তো দূরের কথা এক থেকে দেড় ফুট পানিও নেই কোন কোন স্থানে। আবার খনন করা নদী-নালায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ চলতি ২০২২ সালের ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত উল্লেখ করা হলেও চলতি বছরের মার্চ মাসের আগেই সমুদয় ৫ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কার্যাদেশ অনুযায়ী ৫ কোটি ২৬ লাখ হাজার টাকা বলা হলেও বিল প্রদান করা হয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এখানেও সরকারের কিছু অর্থ সাশ্রয় দেখিয়ে চতুরতার পরিচয় দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে আহ্বানকৃত দরপত্রের তারিখ ও নম্বর হচ্ছে পিডি/ ইআইআরপি/ বিএমডিএ /রংরুর/ খাল /২৮ এবং ২৯ /২০২০-২১। তারিখ ১/৩/২১ইং এবং ২/০৩/২১ইং প্রকল্পের মেয়াদ দেখানো হয়েছে ৩০ জুন ২০২২ এবং ২০২৩ পর্যন্ত। মোট ১৯টি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে বদরগঞ্জ উপজেলায় মরা তিস্তা নদী খননের জন্য ১০টি গ্রুপ এবং একই উপজেলার ঘৃন্নাই মরা নদী পুনঃখনন ৪টি গ্রুপ এবং মিঠাপুকুর উপজেলার শালমারা খাল পুনঃখনন কাজ ৫টি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সবগুলো গ্রুপের কাজই প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বিএমডিএ রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান খান টেন্ডার আহ্বান করেছেন তিনি আবার কার্যাদেশ প্রদান করেছেন।

সরেজমিন বদরগঞ্জ উপজেলার সরদারপাড়া ব্রিজ থেকে যমুনেশ্বরী নদী পর্যন্ত মরা তিস্তা নদী পুনঃখননের নামে ৩-৪ ফুট মাটি খুড়ে নদীর দুই পাশে পার বানিয়ে লোক দেখানো মরা তিস্তা নদী পুনঃখনন দেখানো হয়েছে। এলাকাবাসী সাহেব আলী, আবদার মিয়াসহ অনেকেই জানালেন এখানে নদী খননের নামে লোক দেখানো মাটি কেটে পুরো টাকাই ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার ৩ মাস পার না হতেই মরা তিস্তা আবার মরে গেছে। একই কথা জানালেন সর্দারপাড়া ব্রিজ থেকে যমুনেশ্বরী নদীর এলাকার লোকজন। তারা জানান বাপ-দাদার আমল থেকে দখল-ভোগ করা জমি তারা জোর করে নিয়ে খাল খননের নামে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।

জামুবাড়ি খন্দকার পাড়া গ্রামের মোকসেদ আলী সরকার অভিযোগ করেন তার বাবা-দাদার কেনা ১৩ বিঘা জমি খননের নামে দখল করে মরা তিস্তা নদী খননের নামে দুর্নীতির মহোৎসব করা হয়েছে। দুলারপাড়া গ্রামের আনসার উদ্দিন জানান তার আড়াই একর জমি দখল করে নদী খননের নামে সরকারের অর্থের অপচয় আর লুটপাট করা হয়েছে।

তারা জানান যদি সত্যিকার মরা তিস্তা বা ঘৃন্নাই নদী পুনঃখনন করা হতো তাহলে ভালো হতো। বিএমডিএ তা করেনি, তারা বরাদ্দ করা ৫ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ওই এলাকার খাসতার আলীর এক একর জমি, আবদুল করিমের ২৬ শতক জমি জবর-দখল করে খাল করা হয়েছে। অথচ পাশেই ফজল দাড়িয়ার ১ একর ৯২ শতক খাস জমি হওয়া সত্ত্বেও ওই জমি বাদ দিয়ে তারা খাল খনন করেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একদিকে মরা তিস্তা ও ঘৃন্নাই নদী খননের নামে কাজ না করেই সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে অন্যদিকে অবস্থাপন্ন ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে সেই জমি বাদ দিয়ে খনন করা হয়েছে।

এদিকে বিএমডিএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন প্রকৌশলী জানান, টেন্ডার আহ্বান করা থেকে শুরু করে কার্যাদেশ দেয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাছাই সবখানেই চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০ জুন ২০২২ এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাজের সময়সীমা থাকলেও তার আগেই কাজ শেষ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ও ভাগাভাগি করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিএমডিএ প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানর খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন কাজ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে কিন্তু ৬ মাস না যেতেই আবারো মরা নদীতে পরিণত হলো এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তোর তিনি দিতে পারেননি।

সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ , ০৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ১৯ জিলহজ ১৪৪৩

মরা তিস্তা ও মরা ঘৃন্নাই নদী পুনঃখননের নামে বরাদ্দ অর্থ লোপাট

লিয়াকত আলী বাদল ও রুহুল আমিন সরকার, বদরগঞ্জ (রংপুর) থেকে

image

রংপুর : মরা তিস্তা নদী খননের নামে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বদরগঞ্জ উপজেলার জামুবাড়ি এলাকা থেকে তোলা -সংবাদ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) রংপুর সার্কেলের অধীন রংপুরের বদরগঞ্জে মরা তিস্তা নদী ও মিঠাপুকুর উপজেলায় মরা ঘৃন্নাই নদী পুুনঃখননের নামে ৫ কোটি টাকা লুটপাট, নামমাত্র খনন দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, মরা নদীকে প্রবহমান করার নামে বেশির ভাগ অর্থ লুটপাট করে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার প্রমাণ ৬ মাস পার না হতেই তিস্তা আর মরা ঘৃন্নাই নদী আবারও মরে গেছে।

অন্যদিকে মরা তিস্তা ও ঘৃন্নাই নদী খননের আগে পরিমাপ ও কাগজপত্র পরীক্ষা না করে অনেক কৃষকের ব্যক্তিগত জমি জবর-দখল করে খনন করা হয়েছে আবার প্রভাবশালীদের জমি খনন থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রকল্পের কাজের কাগজপত্র তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে দীর্ঘ ৪ মাস পর কাগজ পাওয়ার পর সরেজমিন অনুসন্ধান করে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে চরম অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

একই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৪টি কাজ প্রদান ইজিপি টেন্ডার আহ্বানের নামে আগাম রেট প্রদান করে পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে সব ধরনের কারিশমা করা হয়েছে। যদিও ওই কর্মকর্তা এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট বলে প্রত্যাখান করেছেন।

তবে এই প্রকল্প চলমান অবস্থায় তার আজ্ঞাবহ ও পছন্দের বেসরকারি ২-৩টি টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকায় ‘মরা তিস্তায় এখন নৌকা চলছে, শত বছর পর আবার মরা তিস্তা প্রাণ ফিরে পেয়েছে’ বলে রিপোর্ট করিয়ে বাহবা নেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ করার পর বর্তমানে মরা তিস্তা ও ঘৃন্নাই নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে এখন নৌকা তো দূরের কথা এক থেকে দেড় ফুট পানিও নেই কোন কোন স্থানে। আবার খনন করা নদী-নালায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ চলতি ২০২২ সালের ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত উল্লেখ করা হলেও চলতি বছরের মার্চ মাসের আগেই সমুদয় ৫ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কার্যাদেশ অনুযায়ী ৫ কোটি ২৬ লাখ হাজার টাকা বলা হলেও বিল প্রদান করা হয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এখানেও সরকারের কিছু অর্থ সাশ্রয় দেখিয়ে চতুরতার পরিচয় দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে আহ্বানকৃত দরপত্রের তারিখ ও নম্বর হচ্ছে পিডি/ ইআইআরপি/ বিএমডিএ /রংরুর/ খাল /২৮ এবং ২৯ /২০২০-২১। তারিখ ১/৩/২১ইং এবং ২/০৩/২১ইং প্রকল্পের মেয়াদ দেখানো হয়েছে ৩০ জুন ২০২২ এবং ২০২৩ পর্যন্ত। মোট ১৯টি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে বদরগঞ্জ উপজেলায় মরা তিস্তা নদী খননের জন্য ১০টি গ্রুপ এবং একই উপজেলার ঘৃন্নাই মরা নদী পুনঃখনন ৪টি গ্রুপ এবং মিঠাপুকুর উপজেলার শালমারা খাল পুনঃখনন কাজ ৫টি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সবগুলো গ্রুপের কাজই প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বিএমডিএ রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান খান টেন্ডার আহ্বান করেছেন তিনি আবার কার্যাদেশ প্রদান করেছেন।

সরেজমিন বদরগঞ্জ উপজেলার সরদারপাড়া ব্রিজ থেকে যমুনেশ্বরী নদী পর্যন্ত মরা তিস্তা নদী পুনঃখননের নামে ৩-৪ ফুট মাটি খুড়ে নদীর দুই পাশে পার বানিয়ে লোক দেখানো মরা তিস্তা নদী পুনঃখনন দেখানো হয়েছে। এলাকাবাসী সাহেব আলী, আবদার মিয়াসহ অনেকেই জানালেন এখানে নদী খননের নামে লোক দেখানো মাটি কেটে পুরো টাকাই ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার ৩ মাস পার না হতেই মরা তিস্তা আবার মরে গেছে। একই কথা জানালেন সর্দারপাড়া ব্রিজ থেকে যমুনেশ্বরী নদীর এলাকার লোকজন। তারা জানান বাপ-দাদার আমল থেকে দখল-ভোগ করা জমি তারা জোর করে নিয়ে খাল খননের নামে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।

জামুবাড়ি খন্দকার পাড়া গ্রামের মোকসেদ আলী সরকার অভিযোগ করেন তার বাবা-দাদার কেনা ১৩ বিঘা জমি খননের নামে দখল করে মরা তিস্তা নদী খননের নামে দুর্নীতির মহোৎসব করা হয়েছে। দুলারপাড়া গ্রামের আনসার উদ্দিন জানান তার আড়াই একর জমি দখল করে নদী খননের নামে সরকারের অর্থের অপচয় আর লুটপাট করা হয়েছে।

তারা জানান যদি সত্যিকার মরা তিস্তা বা ঘৃন্নাই নদী পুনঃখনন করা হতো তাহলে ভালো হতো। বিএমডিএ তা করেনি, তারা বরাদ্দ করা ৫ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ওই এলাকার খাসতার আলীর এক একর জমি, আবদুল করিমের ২৬ শতক জমি জবর-দখল করে খাল করা হয়েছে। অথচ পাশেই ফজল দাড়িয়ার ১ একর ৯২ শতক খাস জমি হওয়া সত্ত্বেও ওই জমি বাদ দিয়ে তারা খাল খনন করেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একদিকে মরা তিস্তা ও ঘৃন্নাই নদী খননের নামে কাজ না করেই সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে অন্যদিকে অবস্থাপন্ন ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে সেই জমি বাদ দিয়ে খনন করা হয়েছে।

এদিকে বিএমডিএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন প্রকৌশলী জানান, টেন্ডার আহ্বান করা থেকে শুরু করে কার্যাদেশ দেয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাছাই সবখানেই চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০ জুন ২০২২ এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাজের সময়সীমা থাকলেও তার আগেই কাজ শেষ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ও ভাগাভাগি করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিএমডিএ প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানর খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন কাজ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে কিন্তু ৬ মাস না যেতেই আবারো মরা নদীতে পরিণত হলো এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তোর তিনি দিতে পারেননি।