বাঁধের অভাবে দিনে দুই বার জোয়ারে ডুবছে ১৬শ’ পরিবার

লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চর আব্দুল্লাহ। এ ইউনিয়নে প্রায় ১৬০০ পরিবারের বসবাস।লোকসংখ্যা প্রায় ১২ হাজারের বেশি। মেঘনা নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়নটির চারপাশই অরক্ষিত। বাঁধ না থাকায় প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে খুব সহজে ডুবে যায় দ্বীপটি। এ সময়টাতে দিনে অন্তত দুইবার পানিবন্দি থাকে দ্বীপের বাসিন্দারা। বাসিন্দারা জানান, সেখানকার ফসলি জমিতে ফসল ফলানো এবং গবাদিপশু পালন করতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক সময় অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে গবাদি পশুও ভেসে যায়। এছাড়া জোয়ারের সময় রান্না করা ছাড়াও সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকায় চলাচল ব্যাহত হয় বাসিন্দাদের। তারা জানায়, গত বুধবার থেকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে তাদের ইউনিয়নটি। চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে তাদের দ্বীপ প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিদিন দুপুরের দিকে পানি ওঠে। বিকেলের দিকে পানি নামলেও তাদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে জোয়ারের পানি উঠলেও কিছুক্ষণ পরে তা আবার নেমে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবো। কয়েকদিন আগেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছি।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২ , ০৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২০ জিলহজ ১৪৪৩

বাঁধের অভাবে দিনে দুই বার জোয়ারে ডুবছে ১৬শ’ পরিবার

জেলা বার্তা পরিবেশক, লক্ষ্মীপুর

image

লক্ষ্মীপুর : চর আব্দুল্লাহয় অর্ধনিমজ্জিত বসত বাড়ি -সংবাদ

লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চর আব্দুল্লাহ। এ ইউনিয়নে প্রায় ১৬০০ পরিবারের বসবাস।লোকসংখ্যা প্রায় ১২ হাজারের বেশি। মেঘনা নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়নটির চারপাশই অরক্ষিত। বাঁধ না থাকায় প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে খুব সহজে ডুবে যায় দ্বীপটি। এ সময়টাতে দিনে অন্তত দুইবার পানিবন্দি থাকে দ্বীপের বাসিন্দারা। বাসিন্দারা জানান, সেখানকার ফসলি জমিতে ফসল ফলানো এবং গবাদিপশু পালন করতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক সময় অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে গবাদি পশুও ভেসে যায়। এছাড়া জোয়ারের সময় রান্না করা ছাড়াও সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকায় চলাচল ব্যাহত হয় বাসিন্দাদের। তারা জানায়, গত বুধবার থেকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে তাদের ইউনিয়নটি। চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে তাদের দ্বীপ প্লাবিত হচ্ছে। প্রতিদিন দুপুরের দিকে পানি ওঠে। বিকেলের দিকে পানি নামলেও তাদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে জোয়ারের পানি উঠলেও কিছুক্ষণ পরে তা আবার নেমে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবো। কয়েকদিন আগেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছি।