মাথা গোঁজার ঠাঁইহীন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিধান

বিধান রায় বলেন, শুনেছি মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মতো গরীবের ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন। জীবনের শেষ বয়সে এসে মাথা গোজার একটু ঠাই আপন ঠিকানা আমারও পেতে ইচ্ছে করে। অনেক দিন ধরে মনের ভিতর এমন আকাক্সক্ষা আমাকে তাড়িয়ে ফিরছে। বাস্তবে কি সেই ঠিকানায় কখনো ফিরতে পারবো? নিজের আকংখার কথা ব্যাক্ত করে এমন নানা প্রশ্ন করলেন জিউধরা ইউনিয়নের পালের খন্ড গ্রামের মৃত. লক্ষীকান্ত রায়ের ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিধান চন্দ্র রায়। জন্ম থেকেই নেই দু’চোঁখের আলো। নেই কোন মাথা গোজার ঠাই, রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে ছোট একটি খুপড়ি ঘরে বৃদ্ধা মা শান্তি রানি রায় (৭৫) কে নিয়ে বসবাস তার। কোনমতে সংসার চলে ৫০-১০০ টাকার বিস্কুট, চকলেট বিক্রি করে। এক বেলা খাবার জোটেতো অন্য বেলায় অভূক্ত থাকতে হয়। পিতার পৈত্রিক ভিটেমাটি ছিলো .৫ কাটা। বড় ভাই মৃনাল কান্তি রায় তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধা মায়ের বয়স্ক ভাতার টাকায় চলে অসহায় মা-ছেলের সংসার। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু মন্ডল, সুজিত মন্ডল, স্বপন মন্ডল জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে সরকারি জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিধান রায়। সরকারি উদ্যোগে এ প্রতিবন্ধী পরিবারটি মাথা গোজার জন্য একটি নিরাপদ ঘর পেলে অনেক কিছুই পাওয়া হবে তাদের। এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, প্রতিবন্ধী বিধান রায় ও তার মা সরকারিভাবে ভাতা পাচ্ছেন। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সময়ে পরিষদ থেকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, এ উপজেলায় ৮ হাজার ২৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ভাতার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারিভাবে নিবন্ধনকৃত প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই নতুন করে তালিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের কাজটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর খোজ খবর নিয়ে যাহাতে ওই পরিবারটি ঘর পেতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২ , ০৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২০ জিলহজ ১৪৪৩

মাথা গোঁজার ঠাঁইহীন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিধান

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : মাকে নিয়ে দোকানে বসবাস করেন প্রতিবন্ধী বিধান রায় -সংবাদ

বিধান রায় বলেন, শুনেছি মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মতো গরীবের ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন। জীবনের শেষ বয়সে এসে মাথা গোজার একটু ঠাই আপন ঠিকানা আমারও পেতে ইচ্ছে করে। অনেক দিন ধরে মনের ভিতর এমন আকাক্সক্ষা আমাকে তাড়িয়ে ফিরছে। বাস্তবে কি সেই ঠিকানায় কখনো ফিরতে পারবো? নিজের আকংখার কথা ব্যাক্ত করে এমন নানা প্রশ্ন করলেন জিউধরা ইউনিয়নের পালের খন্ড গ্রামের মৃত. লক্ষীকান্ত রায়ের ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিধান চন্দ্র রায়। জন্ম থেকেই নেই দু’চোঁখের আলো। নেই কোন মাথা গোজার ঠাই, রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে ছোট একটি খুপড়ি ঘরে বৃদ্ধা মা শান্তি রানি রায় (৭৫) কে নিয়ে বসবাস তার। কোনমতে সংসার চলে ৫০-১০০ টাকার বিস্কুট, চকলেট বিক্রি করে। এক বেলা খাবার জোটেতো অন্য বেলায় অভূক্ত থাকতে হয়। পিতার পৈত্রিক ভিটেমাটি ছিলো .৫ কাটা। বড় ভাই মৃনাল কান্তি রায় তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধা মায়ের বয়স্ক ভাতার টাকায় চলে অসহায় মা-ছেলের সংসার। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু মন্ডল, সুজিত মন্ডল, স্বপন মন্ডল জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে সরকারি জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিধান রায়। সরকারি উদ্যোগে এ প্রতিবন্ধী পরিবারটি মাথা গোজার জন্য একটি নিরাপদ ঘর পেলে অনেক কিছুই পাওয়া হবে তাদের। এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, প্রতিবন্ধী বিধান রায় ও তার মা সরকারিভাবে ভাতা পাচ্ছেন। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সময়ে পরিষদ থেকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, এ উপজেলায় ৮ হাজার ২৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ভাতার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারিভাবে নিবন্ধনকৃত প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছরই নতুন করে তালিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের কাজটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর খোজ খবর নিয়ে যাহাতে ওই পরিবারটি ঘর পেতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন।