বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তায় ব্র্যাকে ইমোর অনুদান

বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ইমো। প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যাকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বন্যা প্লাবিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী ও ডোনেশন সহায়তা দেয়ার জন্য ‘ডাকছে আমার দেশ’ ক্যাম্পেইনে সম্পৃক্ত হয়েছে।

ইমো ও ইমো ব্যবহারকারীরা ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগের মাধ্যমে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইমো বাংলাদেশের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মো. মাসুদ রানা বলেন, “ভয়াবহ এ বন্যায় যে সব মানুষের ঘর, দোকান, আবাদি জমি ও গৃহপালিত পশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছি। পুরো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগবে; তবে, এ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় গতি এনে ক্ষয়ক্ষতির ধকল কাটিয়ে উঠতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি।”

এ নিয়ে ব্র্যাকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা তুষার ভৌমিক বলেন, “বন্যায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অনুধাবন করে ৫০ হাজারেরও বেশি বন্যাদুর্গতদের মাঝে প্রয়োজনী সামগ্রী পৌঁছে দিতে ব্র্যাক পুনরায় তাদের ডাকছে আমার দেশ ক্যাম্পেইনটি চালু করে। এ সংকটকালীন মুহূর্তে তাৎক্ষণিক মেসেজিং অ্যাপ ইমো অর্থ সহায়তা দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটি অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও অনুকরণীয় হবে বলে আমরা মনে করি।”

এ যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি, ইমো বন্যাদুর্গতের ত্রাণ ও অনুদান সংগ্রহের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করতে ‘বাংলাদেশ রিলিফ’ নামের একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালু করেছে। গত মাসের ২৩-২৫ জুন পর্যন্ত ইমো ব্যবহারকারীদের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্র্যান্ডটি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১২,৮৫১ মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২ , ০৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২০ জিলহজ ১৪৪৩

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তায় ব্র্যাকে ইমোর অনুদান

বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ইমো। প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যাকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বন্যা প্লাবিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী ও ডোনেশন সহায়তা দেয়ার জন্য ‘ডাকছে আমার দেশ’ ক্যাম্পেইনে সম্পৃক্ত হয়েছে।

ইমো ও ইমো ব্যবহারকারীরা ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগের মাধ্যমে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইমো বাংলাদেশের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মো. মাসুদ রানা বলেন, “ভয়াবহ এ বন্যায় যে সব মানুষের ঘর, দোকান, আবাদি জমি ও গৃহপালিত পশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছি। পুরো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগবে; তবে, এ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় গতি এনে ক্ষয়ক্ষতির ধকল কাটিয়ে উঠতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি।”

এ নিয়ে ব্র্যাকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা তুষার ভৌমিক বলেন, “বন্যায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অনুধাবন করে ৫০ হাজারেরও বেশি বন্যাদুর্গতদের মাঝে প্রয়োজনী সামগ্রী পৌঁছে দিতে ব্র্যাক পুনরায় তাদের ডাকছে আমার দেশ ক্যাম্পেইনটি চালু করে। এ সংকটকালীন মুহূর্তে তাৎক্ষণিক মেসেজিং অ্যাপ ইমো অর্থ সহায়তা দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটি অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও অনুকরণীয় হবে বলে আমরা মনে করি।”

এ যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি, ইমো বন্যাদুর্গতের ত্রাণ ও অনুদান সংগ্রহের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করতে ‘বাংলাদেশ রিলিফ’ নামের একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালু করেছে। গত মাসের ২৩-২৫ জুন পর্যন্ত ইমো ব্যবহারকারীদের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্র্যান্ডটি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১২,৮৫১ মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।