‘সব মৃত্যুই কষ্টের, সুখের মৃত্যু তো নেই’

হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

‘সব মৃত্যুই কষ্টের, সুখের মৃত্যু তো কিছু নেই’ কথাটি বলেছিলেন বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ। আজ ১৯ জুলাই তার দশম মৃত্যুবার্ষিকী।

দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে কিংবদন্তী এই কথাসাহিত্যিক মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।

দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্ত।

দিবসটি উপলক্ষে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে নুহাশ পল্লীতে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে হুমায়ূনের নির্মিত বিভিন্ন নাটক ও চলচ্চিত্র।

১৯৪৮ সালে ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি।

বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এই লেখক দুই শতাধিক ফিকসন ও নন-ফিকসন বই লিখেন। হিমু, মিসির আলীর মতো চরিত্র দিয়ে লাখো-কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর।

তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাপরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক তিনি।

সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকে ভূষিত হয়েছেন।

নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে তার। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, ঘেটুপুত্র কমলা। আগুনের পরশমণি, দারুচিনি দ্বীপ ও ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২ , ০৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২০ জিলহজ ১৪৪৩

‘সব মৃত্যুই কষ্টের, সুখের মৃত্যু তো নেই’

হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

‘সব মৃত্যুই কষ্টের, সুখের মৃত্যু তো কিছু নেই’ কথাটি বলেছিলেন বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ। আজ ১৯ জুলাই তার দশম মৃত্যুবার্ষিকী।

দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে কিংবদন্তী এই কথাসাহিত্যিক মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।

দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্ত।

দিবসটি উপলক্ষে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে নুহাশ পল্লীতে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে হুমায়ূনের নির্মিত বিভিন্ন নাটক ও চলচ্চিত্র।

১৯৪৮ সালে ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি।

বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এই লেখক দুই শতাধিক ফিকসন ও নন-ফিকসন বই লিখেন। হিমু, মিসির আলীর মতো চরিত্র দিয়ে লাখো-কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর।

তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাপরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক তিনি।

সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকে ভূষিত হয়েছেন।

নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে তার। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, ঘেটুপুত্র কমলা। আগুনের পরশমণি, দারুচিনি দ্বীপ ও ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।