সেই শিশুর খরচ রাষ্ট্রকে বহন করতে আজ রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুর ১৮ বছর পর্যন্ত যাবতীয় খরচ রাষ্ট্রকে বহনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিশুর যাবতীয় খরচ বহন ও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

গত রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি এলাকায় ট্রাকচাপায় মারা যান রত্না বেগম (৩২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা, তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের শিশু সন্তান সানজিদা। এ সময় রতœার আগে অন্তঃসত্ত্বা নারীটির পেট থেকে (পেট ফেটে গিয়ে বা কেটে গিয়ে) সড়কেই ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে নবজাতক। শুধু তাই নয়, অলৌকিকভাবে বেঁচেও যায় সেই নবজাতক। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলে।

নিহত জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফ রব্বানী বলেন, রতœা বেগমের ডেলিভারির তারিখ দুই দিন পার হয়ে যাওয়ায় তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করে ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রতœা ও তার স্বামী-সন্তানের মৃত্যু হয়। তবে এ সময় আঘাত পেয়ে রতœার পেট থেকে (পেট ফেটে গিয়ে বা কেটে গিয়ে) নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হয়।

শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান মোহাম্মদ শাহজাহান নামের একজন। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই। যেয়ে দেখি, পেট থেকে বাচ্চা বের হয়ে গেছে এবং বাচ্চাটি জীবিত আছে। অন্যদিকে না তাকিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২ , ০৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২০ জিলহজ ১৪৪৩

সেই শিশুর খরচ রাষ্ট্রকে বহন করতে আজ রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিশুর ১৮ বছর পর্যন্ত যাবতীয় খরচ রাষ্ট্রকে বহনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিশুর যাবতীয় খরচ বহন ও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

গত রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি এলাকায় ট্রাকচাপায় মারা যান রত্না বেগম (৩২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা, তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের শিশু সন্তান সানজিদা। এ সময় রতœার আগে অন্তঃসত্ত্বা নারীটির পেট থেকে (পেট ফেটে গিয়ে বা কেটে গিয়ে) সড়কেই ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে নবজাতক। শুধু তাই নয়, অলৌকিকভাবে বেঁচেও যায় সেই নবজাতক। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলে।

নিহত জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফ রব্বানী বলেন, রতœা বেগমের ডেলিভারির তারিখ দুই দিন পার হয়ে যাওয়ায় তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করে ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রতœা ও তার স্বামী-সন্তানের মৃত্যু হয়। তবে এ সময় আঘাত পেয়ে রতœার পেট থেকে (পেট ফেটে গিয়ে বা কেটে গিয়ে) নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হয়।

শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান মোহাম্মদ শাহজাহান নামের একজন। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই। যেয়ে দেখি, পেট থেকে বাচ্চা বের হয়ে গেছে এবং বাচ্চাটি জীবিত আছে। অন্যদিকে না তাকিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’