ইসোয়াতিনিতে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে : এফবিসিসিআই

ইসোয়াতিনিতে (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আফ্রিকার ১৩০ কোটি ডলারের বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারে বাংলাদেশ। তাই ইসোয়াতিনির সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সিনেটর মানকোবা খুমালু।

গতকাল ঢাকা সফররত ইসোয়াতিনির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এফবিসিসিআই’র মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আফ্রিকা মহাদেশের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করতে পারে তার দেশ। তার দেশ সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এসএডিসি) ও সাউদার্ন আফ্রিকান কাস্টমস ইউনিয়নের (এসএসিইউ) সদস্য। তাই আয়তনে ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে ছোট হলেও, ইসোয়াতিনিতে ব্যবসা স্থাপন করার মাধ্যমে আফ্রিকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্লকের বাজার ধরা সম্ভব।’

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ও শুল্কছাড়সহ নানা সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে মানকোবা খুমালু জানান, ইসোয়াতিনি অনেক পণ্য আমদানি করে, যেগুলোর বেশিরভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। কিন্তু তার দেশ বাংলাদেশকে তাদের অন্যতম একটি বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে দেখতে আগ্রহী। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের জন্য ইসোয়াতিনি একটি সম্ভাবনাময় বাজার। দুই দেশের যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমেও দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে উৎসাহী আফ্রিকার দেশটি। সিনেটর মানকোবা খুমালু জানান, ওষুধ শিল্প, বায়ো-টেক, কনট্রাক্ট ফার্মিং ও আইসিটি খাতে ইসোয়াতিনির পুঁজি ও বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা যৌথভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

এর আগে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইসোয়াতিনির মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে এফবিসিসিআই ও আফ্রিকার দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হতে পারে।’

বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২ , ০৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ২১ জিলহজ ১৪৪৩

ইসোয়াতিনিতে বাণিজ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে : এফবিসিসিআই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ইসোয়াতিনিতে (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আফ্রিকার ১৩০ কোটি ডলারের বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারে বাংলাদেশ। তাই ইসোয়াতিনির সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সিনেটর মানকোবা খুমালু।

গতকাল ঢাকা সফররত ইসোয়াতিনির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এফবিসিসিআই’র মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আফ্রিকা মহাদেশের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করতে পারে তার দেশ। তার দেশ সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এসএডিসি) ও সাউদার্ন আফ্রিকান কাস্টমস ইউনিয়নের (এসএসিইউ) সদস্য। তাই আয়তনে ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে ছোট হলেও, ইসোয়াতিনিতে ব্যবসা স্থাপন করার মাধ্যমে আফ্রিকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্লকের বাজার ধরা সম্ভব।’

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ও শুল্কছাড়সহ নানা সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে মানকোবা খুমালু জানান, ইসোয়াতিনি অনেক পণ্য আমদানি করে, যেগুলোর বেশিরভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। কিন্তু তার দেশ বাংলাদেশকে তাদের অন্যতম একটি বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে দেখতে আগ্রহী। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের জন্য ইসোয়াতিনি একটি সম্ভাবনাময় বাজার। দুই দেশের যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমেও দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে উৎসাহী আফ্রিকার দেশটি। সিনেটর মানকোবা খুমালু জানান, ওষুধ শিল্প, বায়ো-টেক, কনট্রাক্ট ফার্মিং ও আইসিটি খাতে ইসোয়াতিনির পুঁজি ও বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা যৌথভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

এর আগে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইসোয়াতিনির মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে এফবিসিসিআই ও আফ্রিকার দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হতে পারে।’