করোনার ধকল কাটিয়ে লাভে গরুর খামারিরা

করোনার দুই বছর লোকসানের পর এবার কোরবানি ঈদে লাভের মুখ দেখেছে সিরাজগঞ্জে গবাদি খামারি ও ব্যাপারীরা। রাজধানী থেকে এবার তারহাসিমুখে নিজ নিজ ঘরে ফিরেছে। অনেকেই বলেছে গত দুই বছরের লোকসান কিছুটা হলেও তুলতে পেরে তারা আনন্দিত।

তবে এবছর খামারি ও ব্যাপারীরা ঢাকায় পশু নিয়েছে ভয়ে ভয়ে যে আবার তাদের লোকসানের মুখে না পড়তে হয়। কারণ এবার গবদি পশুর খাদ্যের মুল্য বৃদ্ধিতে পশু তৈরিতে খরচ অনেক বেড়েছে। তাই এত দামে পশু কিনে ঢাকায় নিয়ে লাভ হবে না লোকসান গুনতে হবে- এ নিয়ে শঙ্কায় ছিল।

কিন্তু এবারে সব শঙ্কা দূর করে খামারি ও ব্যাপারীরা লাভের মুখ দেখেছে। এতে তার বেজায় খুশি। জেলার এনায়েতপুর থানার ব্যাপারী শহিদুল ইসলাম জানান এবছর ভয়ে ভয়ে ১০ টি ষাড় কিনে ঢাকা নিয়ে বিক্রী করে ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। একই এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান তিনি এবার ১শ টি ষাড় কিনে ঢাকায় নিয়ে বিক্রী করে ভালো লাভ হয়েছে। সিরাজগঞ্জের হামকুড়িয়া এলাকার আখতারুজ্জামান জানান এবছর তিনি ৫০ টি গরু ঢাকায় নিয়ে সবগুলিই বিক্রী করেছে। এতে ভালই লাভ হয়েছে বলে তিনি জানান।

জেলা প্রানী সম্পদ অফিস সূত্রে জানান গেছে এবছর জেলায় কোরবানীর জন্য ১৫ হাজার খামারে ৩ লাখ ৯০ হাজার গরু তৈরী করা হয়েছিল। জেলায় কোরবানীর চাহিদা ছিল প্রায় আড়াই লাখ বাকী পশু গুলি রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রী হয়েছে। তবে স্থানীয় খামারী সূত্রে জানা যায় এবছর যারা স্থানীয়ভাবে পশু বিক্রী করেছে তাদেরকে লোকশান গুনতে হয়েছে।

এব্যাপারে সদর উপজেলার রামগাঁতী গ্রামের খামারী ইসমাইল হোসেন জানান সে এবার ৯টি ষাড় তৈরী করেছিল এর মধ্যে ৬ টি বিক্রী করতে পেরেছে বাকী ৩ টি রয়েছে। একই এলাকার খামারী শহিদুল ইলাম জানান সে এবছর কোরবানীর জন্য ৯ টি ষাড় তৈরী করেছিল এর মধ্যে ৬টি বিক্রী করেছে বাকি ৩ টি বিক্রী করতে পারেনি। তিনি আরো জানান যে ৬টি বিক্রী করেছেন সে গুলিও লোকশানে বিক্রী করেছেন।

এ ব্যাপারে পশুর রাজধানী খ্যাত শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান এবছর যে সব পশু ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রীর জন্য নেয়া হয়েছিল প্রায় সবগুলিই বিক্রী হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, জেলায় প্রায় ৪ লাখ পশু কোরবানীর জন্য তৈরী করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় আড়াই লঅক কোরবানী হয়েছে। বাকী পশু গুলি রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় খামারী ও ব্যাপারীরা নিয়ে বিক্রী করেছেন। এবার কোন পশু ফেরত আসেনি।

বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২ , ০৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ২১ জিলহজ ১৪৪৩

করোনার ধকল কাটিয়ে লাভে গরুর খামারিরা

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

image

সিরাজগঞ্জ : কৃষকের খামারে কয়েকটি মোটা-তাজা করা গরু -সংবাদ

করোনার দুই বছর লোকসানের পর এবার কোরবানি ঈদে লাভের মুখ দেখেছে সিরাজগঞ্জে গবাদি খামারি ও ব্যাপারীরা। রাজধানী থেকে এবার তারহাসিমুখে নিজ নিজ ঘরে ফিরেছে। অনেকেই বলেছে গত দুই বছরের লোকসান কিছুটা হলেও তুলতে পেরে তারা আনন্দিত।

তবে এবছর খামারি ও ব্যাপারীরা ঢাকায় পশু নিয়েছে ভয়ে ভয়ে যে আবার তাদের লোকসানের মুখে না পড়তে হয়। কারণ এবার গবদি পশুর খাদ্যের মুল্য বৃদ্ধিতে পশু তৈরিতে খরচ অনেক বেড়েছে। তাই এত দামে পশু কিনে ঢাকায় নিয়ে লাভ হবে না লোকসান গুনতে হবে- এ নিয়ে শঙ্কায় ছিল।

কিন্তু এবারে সব শঙ্কা দূর করে খামারি ও ব্যাপারীরা লাভের মুখ দেখেছে। এতে তার বেজায় খুশি। জেলার এনায়েতপুর থানার ব্যাপারী শহিদুল ইসলাম জানান এবছর ভয়ে ভয়ে ১০ টি ষাড় কিনে ঢাকা নিয়ে বিক্রী করে ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। একই এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান তিনি এবার ১শ টি ষাড় কিনে ঢাকায় নিয়ে বিক্রী করে ভালো লাভ হয়েছে। সিরাজগঞ্জের হামকুড়িয়া এলাকার আখতারুজ্জামান জানান এবছর তিনি ৫০ টি গরু ঢাকায় নিয়ে সবগুলিই বিক্রী করেছে। এতে ভালই লাভ হয়েছে বলে তিনি জানান।

জেলা প্রানী সম্পদ অফিস সূত্রে জানান গেছে এবছর জেলায় কোরবানীর জন্য ১৫ হাজার খামারে ৩ লাখ ৯০ হাজার গরু তৈরী করা হয়েছিল। জেলায় কোরবানীর চাহিদা ছিল প্রায় আড়াই লাখ বাকী পশু গুলি রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রী হয়েছে। তবে স্থানীয় খামারী সূত্রে জানা যায় এবছর যারা স্থানীয়ভাবে পশু বিক্রী করেছে তাদেরকে লোকশান গুনতে হয়েছে।

এব্যাপারে সদর উপজেলার রামগাঁতী গ্রামের খামারী ইসমাইল হোসেন জানান সে এবার ৯টি ষাড় তৈরী করেছিল এর মধ্যে ৬ টি বিক্রী করতে পেরেছে বাকী ৩ টি রয়েছে। একই এলাকার খামারী শহিদুল ইলাম জানান সে এবছর কোরবানীর জন্য ৯ টি ষাড় তৈরী করেছিল এর মধ্যে ৬টি বিক্রী করেছে বাকি ৩ টি বিক্রী করতে পারেনি। তিনি আরো জানান যে ৬টি বিক্রী করেছেন সে গুলিও লোকশানে বিক্রী করেছেন।

এ ব্যাপারে পশুর রাজধানী খ্যাত শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান এবছর যে সব পশু ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রীর জন্য নেয়া হয়েছিল প্রায় সবগুলিই বিক্রী হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, জেলায় প্রায় ৪ লাখ পশু কোরবানীর জন্য তৈরী করা হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় আড়াই লঅক কোরবানী হয়েছে। বাকী পশু গুলি রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় খামারী ও ব্যাপারীরা নিয়ে বিক্রী করেছেন। এবার কোন পশু ফেরত আসেনি।