রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সাধারণ মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে গণভবনে গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সে দেশের জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, আসাম, মেঘালয় এবং অরুণাচল রাজ্যে অতিবৃষ্টির কারণে এটি ঘটেছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূর করা এবং এ অঞ্চলের জনগণের অবস্থা দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সশস্ত্রবাহিনী ও জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদেরও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বৈঠকে ভারতের সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে তার বৈঠকের কথাও জানান। জেনারেল মনোজ পান্ডে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর ছিল এবং এটি এমন এক ত্যাগের প্রতীক যা নতুন প্রজন্মকে দেশকে ভালোবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।

ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে উপস্থাপনাটি অত্যন্ত সুন্দর ছিল, যেন ইতিহাসে ভ্রমণের মতো।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দুই প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সফর দুই বাহিনীর সম্পর্ক সুসংহত করতে ভূমিকা পালন করবে। ভারতের বিজয় দিবস উদ্যাপনের কথা উল্লেখ করে জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন যা ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘প্রয়াস’ পরিচালনার উদ্যোগেরও প্রশংসা করে বলেন- এটি একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান যা বহুমাত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য পরিষেবা প্রদান করে।

বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২ , ০৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ২১ জিলহজ ১৪৪৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সাধারণ মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী

বাসস

image

গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে গণভবনে গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সে দেশের জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, আসাম, মেঘালয় এবং অরুণাচল রাজ্যে অতিবৃষ্টির কারণে এটি ঘটেছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যেকোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূর করা এবং এ অঞ্চলের জনগণের অবস্থা দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সশস্ত্রবাহিনী ও জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন দিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদেরও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বৈঠকে ভারতের সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে তার বৈঠকের কথাও জানান। জেনারেল মনোজ পান্ডে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি খুবই স্পর্শকাতর ছিল এবং এটি এমন এক ত্যাগের প্রতীক যা নতুন প্রজন্মকে দেশকে ভালোবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।

ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে উপস্থাপনাটি অত্যন্ত সুন্দর ছিল, যেন ইতিহাসে ভ্রমণের মতো।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দুই প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সফর দুই বাহিনীর সম্পর্ক সুসংহত করতে ভূমিকা পালন করবে। ভারতের বিজয় দিবস উদ্যাপনের কথা উল্লেখ করে জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন যা ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘প্রয়াস’ পরিচালনার উদ্যোগেরও প্রশংসা করে বলেন- এটি একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান যা বহুমাত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য পরিষেবা প্রদান করে।