ফখরুল বললেন, এখন সরকার শর্ষে ফুল দেখবে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই তো শুরু, এখন সরকার শর্ষেফুল দেখবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভের সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার তারা (সরকার) এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে দিয়েছে। এই টাকাটা কাদের দিয়েছে? তাদের সেসব লোকজন যারা বিভিন্নভাবে দেশে-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে এবং তারা এই টাকাটা নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে, বাড়ি-ঘর বানিয়েছেন আর দেশের মধ্যে সেই টাকা আর আসছে না।’

গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।

বিদ্যুৎ সংকটসহ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি না, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সব জায়গাতেই এই সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে। এখন গভর্নমেন্ট শর্ষেফুল দেখবে, দেখতে হবে। জনগণ ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উঠবে এবং তাদের (সরকার) পতন ত্বরান্বিত হবে।’

তিনি বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে পোশাক শিল্পের ওপর। সেই খাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদার ঘাটতি হলে সমস্যা তৈরি হবে। পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হবে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত। মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব পাওয়ার প্লান্ট কাজ করছে না, তাদের পয়সা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু বিরাট অংশ চলে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেককে ডলারে পে করতে হয়। এই সমস্যাগুলো বলা যেতে পারে সামগ্রিক সমস্যা। এই সমস্যাগুলো সৃষ্টির বিষয়ে আমরা আগেই বলেছি।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ক্ষেত্র আজকে পয়েন্ট অব নো রিটার্ন-এ চলে গেছে। ঠিক একইভাবে শ্রীলঙ্কাতে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আপনারা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭টা দেশকে ওয়ার্নিং দেয়া হচ্ছে, যেগুলোতে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এটা তো হয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকার তাদের দিতে হয়েছে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই। এখন যে বলা হচ্ছে, ৬টা ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকবে, বাকিগুলো কিন্তু পয়সা পেতেই থাকবে। এরাও (ছয়টা) কিন্তু পয়সা পাবে। পত্রিকায় দেখেছি, এক হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত, শুধু দুর্নীতি করার জন্য বিশেষ বিশেষ কোম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। নিজেরা উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করছে তারা।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছি, এমন কোন পরিকল্পনা, এমন কোন প্রজেক্ট হাতে নেয়া উচিত নয়, যেটা আমরা চালাতে পারব না। আমরা এ ধরনের জুতা কেনা উচিত, যা আমি পরতে পারব। আমাদের পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পরা সম্ভব না। আজকে তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।’

বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২ , ০৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ২১ জিলহজ ১৪৪৩

ফখরুল বললেন, এখন সরকার শর্ষে ফুল দেখবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই তো শুরু, এখন সরকার শর্ষেফুল দেখবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভের সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার তারা (সরকার) এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে দিয়েছে। এই টাকাটা কাদের দিয়েছে? তাদের সেসব লোকজন যারা বিভিন্নভাবে দেশে-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে এবং তারা এই টাকাটা নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে, বাড়ি-ঘর বানিয়েছেন আর দেশের মধ্যে সেই টাকা আর আসছে না।’

গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।

বিদ্যুৎ সংকটসহ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি না, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সব জায়গাতেই এই সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে। এখন গভর্নমেন্ট শর্ষেফুল দেখবে, দেখতে হবে। জনগণ ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উঠবে এবং তাদের (সরকার) পতন ত্বরান্বিত হবে।’

তিনি বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে পোশাক শিল্পের ওপর। সেই খাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদার ঘাটতি হলে সমস্যা তৈরি হবে। পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হবে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত। মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব পাওয়ার প্লান্ট কাজ করছে না, তাদের পয়সা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু বিরাট অংশ চলে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেককে ডলারে পে করতে হয়। এই সমস্যাগুলো বলা যেতে পারে সামগ্রিক সমস্যা। এই সমস্যাগুলো সৃষ্টির বিষয়ে আমরা আগেই বলেছি।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ক্ষেত্র আজকে পয়েন্ট অব নো রিটার্ন-এ চলে গেছে। ঠিক একইভাবে শ্রীলঙ্কাতে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আপনারা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭টা দেশকে ওয়ার্নিং দেয়া হচ্ছে, যেগুলোতে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এটা তো হয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকার তাদের দিতে হয়েছে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই। এখন যে বলা হচ্ছে, ৬টা ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকবে, বাকিগুলো কিন্তু পয়সা পেতেই থাকবে। এরাও (ছয়টা) কিন্তু পয়সা পাবে। পত্রিকায় দেখেছি, এক হাজার ৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত, শুধু দুর্নীতি করার জন্য বিশেষ বিশেষ কোম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। নিজেরা উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করছে তারা।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছি, এমন কোন পরিকল্পনা, এমন কোন প্রজেক্ট হাতে নেয়া উচিত নয়, যেটা আমরা চালাতে পারব না। আমরা এ ধরনের জুতা কেনা উচিত, যা আমি পরতে পারব। আমাদের পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পরা সম্ভব না। আজকে তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।’