সাগর-রুনি হত্যা

৯০ বার পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৪ আগস্ট। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই তারিখ ধার্য করেন। এ নিয়ে ৯০ বার পেছানো হলো সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। গতকাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা র?্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকা-ের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চার দিনে কোন রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র?্যাব তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে। গত ৯ বছরেরও বেশি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কোন সংস্থা। এমনকি এই হত্যাকা-ের কোন রহস্যই উদ্ঘাটন করতে পারেনি।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন। অন্য আসামিরা হলেনÑ বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচনের বিষয়ে। যদিও তা মেলেনি। মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর হত্যাকা-ের সাত মাসের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে র?্যাব আসামিদের অচিরেই শনাক্ত করার আভাস দিয়েছিল। হত্যাকা-স্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরেই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।

বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২ , ০৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ২১ জিলহজ ১৪৪৩

সাগর-রুনি হত্যা

৯০ বার পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন

আদালত বার্তা পরিবেশক

image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৪ আগস্ট। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই তারিখ ধার্য করেন। এ নিয়ে ৯০ বার পেছানো হলো সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। গতকাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা র?্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকা-ের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চার দিনে কোন রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র?্যাব তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে। গত ৯ বছরেরও বেশি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কোন সংস্থা। এমনকি এই হত্যাকা-ের কোন রহস্যই উদ্ঘাটন করতে পারেনি।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন। অন্য আসামিরা হলেনÑ বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচনের বিষয়ে। যদিও তা মেলেনি। মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর হত্যাকা-ের সাত মাসের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে র?্যাব আসামিদের অচিরেই শনাক্ত করার আভাস দিয়েছিল। হত্যাকা-স্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরেই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।