তিস্তায় কমছে পানি বাড়ছে ভাঙন

অসহনীয় তাপদহে জনজীবন যখন বিপর্যপ্ত, ঠিক তখনেই তিস্তার পানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। ভাঙনের মুখে হাজারও একর ফসলি জমি ও শতাধিক বসতবাড়ি। একদিকে তাপদহ অন্যদিকে ভাঙন, নাকাল হয়ে পড়েছে চরবাসি। দিনমজুর না পাওয়ায় ভাঙনের মুখ থেকে বসতবাড়ি সরাতে পারছেন চরবাসি। সে কারণে বিলীন হচ্ছে বতসবাড়ি। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে প্রচ- তাপদাহে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। পানি কমে যাওয়ায় উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০টি পরিবার এবং ১০০ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্ট বাজার গ্রামের জরিপ মিয়া জানান, পানি কমে পাওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। তার ৩ বিঘা আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে তার বসতবাড়ি। তীব্র গরমে চরের মানুষ কাবু হয়ে গেছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নে ইতিমধ্যে ৩০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। তিনি আরও বলেন ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হাজারও পরিবার ভাঙনের সন্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। প্রচন্ড তাপদহে নদী পাড়ের মানুষজন নাকাল হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, তিস্তায় পানি কমে যাওয়ায় উজানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন কবলিত পরিবাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য চেয়ারম্যানদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২ , ০৬ শ্রাবণ ১৪২৯ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

তিস্তায় কমছে পানি বাড়ছে ভাঙন

প্রতিনিধি, সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

image

অসহনীয় তাপদহে জনজীবন যখন বিপর্যপ্ত, ঠিক তখনেই তিস্তার পানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। ভাঙনের মুখে হাজারও একর ফসলি জমি ও শতাধিক বসতবাড়ি। একদিকে তাপদহ অন্যদিকে ভাঙন, নাকাল হয়ে পড়েছে চরবাসি। দিনমজুর না পাওয়ায় ভাঙনের মুখ থেকে বসতবাড়ি সরাতে পারছেন চরবাসি। সে কারণে বিলীন হচ্ছে বতসবাড়ি। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে প্রচ- তাপদাহে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। পানি কমে যাওয়ায় উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০টি পরিবার এবং ১০০ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্ট বাজার গ্রামের জরিপ মিয়া জানান, পানি কমে পাওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। তার ৩ বিঘা আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে তার বসতবাড়ি। তীব্র গরমে চরের মানুষ কাবু হয়ে গেছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নে ইতিমধ্যে ৩০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। তিনি আরও বলেন ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হাজারও পরিবার ভাঙনের সন্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। প্রচন্ড তাপদহে নদী পাড়ের মানুষজন নাকাল হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, তিস্তায় পানি কমে যাওয়ায় উজানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন কবলিত পরিবাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য চেয়ারম্যানদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।