সড়কে অসংখ্য গর্ত : নিত্য দুর্ঘটনা

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের চৌরাস্তা-কয়ড়া-কেরামজানি সড়ক দেবে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আটকে যাচ্ছে যানবাহন। গাড়ি গর্তের সামনে আসলেই নেমে যাচ্ছেন যাত্রীরা। গাড়ি পার হয়ে আবারও গাড়িতে উঠছেন তারা। উপজেলার চার ইউনিয়নের লোকজনসহ পৌরবাসীর একমাত্র ভরসা এ সড়ক। চলাচলে দেখা দিয়েছে বিঘœ। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে না আসায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সংস্করের কিছুদিন পরই আড়াই কিলোমিটার জুড়ে দেখা দেয় বিভিন্ন অংশে ফাঁটল। নিন্মমানের কাজ হওয়ায় এ বেহাল দশা হয়েছে। দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়ার দবি জানিয়েছেন যাতায়াতকারীরা। ধনবাড়ী উপজেলা এলডিইডি প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সড়কটি ১ম প্যাকেজে ২.৩ কিলোমিটার দুই পাশ বর্ধিত ও সংস্কারে ২ কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ ছিল। স্থানীয় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরশহরের চৌরাস্তা হয়ে কয়ড়া রোড দিয়ে চলে গেছে সড়কটি উপজেলার শেষ সীমানা বলিভদ্র ইউনিয়নে। পাশেই গোপালপুর উপজেলা। এখানে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টি নান্দন ২০১ গম্বুজের (ঝাওয়াল) মসজিদ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ছোট-বড় যনবাহনগুলো এ সড়কে চলাচল করে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে তীব্র আকার ধারণ করেছে শফিকুলের ইসলামের রাইস মিল পর্যন্ত। মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে চার থেকে পাঁচ স্থানে। ভ্যান, রিকশা ও অটোরিকশাগুলোও রেহাই পাচ্ছে না। যাত্রী ও পণ্য নামিয়ে পার হচ্ছে তাঁরা। ভারি ও জরুরি সেবার গাড়ি রয়েছে আটকে। দেখা দিচ্ছে যানজট। সময় মত পৌঁছাতে পারছে না উপজেলার সকল শিক্ষার্থী, কর্মজীবি ও শ্রমজীবিসহ অন্যান্যরা। সৃষ্টি হচ্ছে হট্টগোলের। রোডের ভ্যান চালক শহীদ মিয়া বলেন, দিনে তো যেমন তেমন। রাতে যান চালানো অনেক কষ্ট। গর্তে বৃষ্টির পানি থাকলে বুঝা যায় না। গাড়িগুলো উল্টে যাত্রীরা আহত হয়। অটো রিকশা চালক নাসির উদ্দিন বলেন, এভাবে সড়কে গাড়ি চালনো জীবনের ঝুঁকি হয়ে উঠছে। রাস্তা ভাঙার কারণে আগের মত যাত্রী পাওয়া যায় না। স্কুল শিক্ষার্থী রোমা আক্তার ও কলেজ শিক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ বলেন, চৌরাস্তা মোড় থেকে শফিকুলের রাইস মিল পর্যন্ত সড়কের বাজে অবস্থা। সময় মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা যাওয়া যাচ্ছে না। গর্তে গাড়ি উল্টে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কে থাকে। ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে দাবি জানাই। কর্মজীবি অবু রায়হান ও বশির শেখ বলেন, যারা সড়ক সংস্কারের কাজ করছে তারাই ভালো জানে। কয়েক বছরে সড়ক নষ্ট হয়ে যায় এটা ভাবাই যায় না। গাড়ি উল্টে যাওয়ার ভয়ে গর্তের পাশে গাড়ি আসলে যাত্রীরা নেমে পার হয়। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও ভোগন্তিতে পড়বে সবাই। স্থানীয় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, সড়কটি পুন:সংস্কারের সময় খুবই নি¤œমানের কাজ হয়েছে। সড়কের এখন বেহাল দশা। সড়ক দেবে উঁচুনিচু হয়ে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি। ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জান বকল বলেন, ভোক্তভূগীদের নিকট থেকে বিষয়টি জেনেছি। সড়কটি যেহেতু এলডিইডির মাধ্যমে কাজ হয়েছে। ওই দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে কথাও বলেছি। দ্রুতই পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর বলেন, পৌর মেয়র বিষয়টি জানিয়েছেন। দুর্ভোগ এড়াতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২ , ০৬ শ্রাবণ ১৪২৯ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

সড়কে অসংখ্য গর্ত : নিত্য দুর্ঘটনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের চৌরাস্তা-কয়ড়া-কেরামজানি সড়ক দেবে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আটকে যাচ্ছে যানবাহন। গাড়ি গর্তের সামনে আসলেই নেমে যাচ্ছেন যাত্রীরা। গাড়ি পার হয়ে আবারও গাড়িতে উঠছেন তারা। উপজেলার চার ইউনিয়নের লোকজনসহ পৌরবাসীর একমাত্র ভরসা এ সড়ক। চলাচলে দেখা দিয়েছে বিঘœ। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে না আসায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সংস্করের কিছুদিন পরই আড়াই কিলোমিটার জুড়ে দেখা দেয় বিভিন্ন অংশে ফাঁটল। নিন্মমানের কাজ হওয়ায় এ বেহাল দশা হয়েছে। দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়ার দবি জানিয়েছেন যাতায়াতকারীরা। ধনবাড়ী উপজেলা এলডিইডি প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সড়কটি ১ম প্যাকেজে ২.৩ কিলোমিটার দুই পাশ বর্ধিত ও সংস্কারে ২ কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ ছিল। স্থানীয় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরশহরের চৌরাস্তা হয়ে কয়ড়া রোড দিয়ে চলে গেছে সড়কটি উপজেলার শেষ সীমানা বলিভদ্র ইউনিয়নে। পাশেই গোপালপুর উপজেলা। এখানে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টি নান্দন ২০১ গম্বুজের (ঝাওয়াল) মসজিদ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ছোট-বড় যনবাহনগুলো এ সড়কে চলাচল করে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে তীব্র আকার ধারণ করেছে শফিকুলের ইসলামের রাইস মিল পর্যন্ত। মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে চার থেকে পাঁচ স্থানে। ভ্যান, রিকশা ও অটোরিকশাগুলোও রেহাই পাচ্ছে না। যাত্রী ও পণ্য নামিয়ে পার হচ্ছে তাঁরা। ভারি ও জরুরি সেবার গাড়ি রয়েছে আটকে। দেখা দিচ্ছে যানজট। সময় মত পৌঁছাতে পারছে না উপজেলার সকল শিক্ষার্থী, কর্মজীবি ও শ্রমজীবিসহ অন্যান্যরা। সৃষ্টি হচ্ছে হট্টগোলের। রোডের ভ্যান চালক শহীদ মিয়া বলেন, দিনে তো যেমন তেমন। রাতে যান চালানো অনেক কষ্ট। গর্তে বৃষ্টির পানি থাকলে বুঝা যায় না। গাড়িগুলো উল্টে যাত্রীরা আহত হয়। অটো রিকশা চালক নাসির উদ্দিন বলেন, এভাবে সড়কে গাড়ি চালনো জীবনের ঝুঁকি হয়ে উঠছে। রাস্তা ভাঙার কারণে আগের মত যাত্রী পাওয়া যায় না। স্কুল শিক্ষার্থী রোমা আক্তার ও কলেজ শিক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ বলেন, চৌরাস্তা মোড় থেকে শফিকুলের রাইস মিল পর্যন্ত সড়কের বাজে অবস্থা। সময় মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা যাওয়া যাচ্ছে না। গর্তে গাড়ি উল্টে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কে থাকে। ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে দাবি জানাই। কর্মজীবি অবু রায়হান ও বশির শেখ বলেন, যারা সড়ক সংস্কারের কাজ করছে তারাই ভালো জানে। কয়েক বছরে সড়ক নষ্ট হয়ে যায় এটা ভাবাই যায় না। গাড়ি উল্টে যাওয়ার ভয়ে গর্তের পাশে গাড়ি আসলে যাত্রীরা নেমে পার হয়। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও ভোগন্তিতে পড়বে সবাই। স্থানীয় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, সড়কটি পুন:সংস্কারের সময় খুবই নি¤œমানের কাজ হয়েছে। সড়কের এখন বেহাল দশা। সড়ক দেবে উঁচুনিচু হয়ে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি। ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জান বকল বলেন, ভোক্তভূগীদের নিকট থেকে বিষয়টি জেনেছি। সড়কটি যেহেতু এলডিইডির মাধ্যমে কাজ হয়েছে। ওই দপ্তরের কর্মকর্তার সাথে কথাও বলেছি। দ্রুতই পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর বলেন, পৌর মেয়র বিষয়টি জানিয়েছেন। দুর্ভোগ এড়াতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।