মুন্সীগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ৫ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের দশকানিতে কিশোরী (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। একই এলাকার ধর্ষক গ্যাং লিডার রাজন (৩০) পিতা মৃত্যু হাসমত আলীর নেতৃত্বে তারেক (২৫) পিতা জাকির, বানিয়াবাড়ির ইসমাইল (২৬), ইসমাইলের ভাই (২৪), রাসেলসহ ৫ জন গণধর্ষণে অংশ নেয়। এ বিষয় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে । ধর্ষিতা দশকানির বড়বাড়ির দুলাল শেখ বাড়ীর ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় দুই দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণের অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়দের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, দশকানিতে কয়েকটি কিশোর গ্যাং বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না এই এলাকার সাধারণ মানুষ। গ্যাং লিডার রাজন তারেকের নেতৃত্বে ৩০-৩২ জনের একটি গ্রুপ এলাকায় মাদক, ছিনতাই, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। ধর্ষিতার মা জানান, গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মেয়েকে খুঁজে পাইনি। ভোর ৫টায় রাজন বাড়ির সামনে এসে জানায় আমার মেয়ে একটি ঝোপের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। মা রাজনের কথামতো মেয়েকে উদ্ধার করে আনতে গেলে মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। মেয়েকে অচেতন অবস্থা থেকে উঠিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় মা। পরবর্তীতে ধর্ষক রাজনই বাসায় দিয়ে যায়। মা আরও জানান, বাসায় দিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষণের ঘটনা বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায় রাজন। ভয়ে মেয়ে আর কিছু বলেনি। দুপুর ১টার সময় মেয়ের কিছুটা জ্ঞান ফিরলে ঘটনার বর্ণনা দেয়। তাৎক্ষণিক মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে মামলা করি। ধর্ষিতা মেয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাগবাড়ি থেকে দশকানি বাড়িতে আসার সময় দশকানি বাবুল ইলম ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে আসলে রাজন আমার মুখ চেপে ধরে মাদরাসার পেছনে ঝোপের মধ্যে নিয়ে রাতভর ৫ জনে মিলে ধর্ষণ করে অজ্ঞান করে ফেলে রাখে। ধর্ষকদের কাউকেই চিনেন না ধর্ষিতা। তবে বাড়িতে রাজন ধর্ষিতাকে পৌছে দিয়ে গেলেই স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে ধর্ষক রাজন, তারেক ও রাসেলের নাম। ৫ জনের মধ্যে একজনের মাথায় চুল নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ধর্ষিতা। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তারিকুজ্জামান জানান, তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২ , ০৬ শ্রাবণ ১৪২৯ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

মুন্সীগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ৫ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের দশকানিতে কিশোরী (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। একই এলাকার ধর্ষক গ্যাং লিডার রাজন (৩০) পিতা মৃত্যু হাসমত আলীর নেতৃত্বে তারেক (২৫) পিতা জাকির, বানিয়াবাড়ির ইসমাইল (২৬), ইসমাইলের ভাই (২৪), রাসেলসহ ৫ জন গণধর্ষণে অংশ নেয়। এ বিষয় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে । ধর্ষিতা দশকানির বড়বাড়ির দুলাল শেখ বাড়ীর ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় দুই দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণের অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়দের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, দশকানিতে কয়েকটি কিশোর গ্যাং বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না এই এলাকার সাধারণ মানুষ। গ্যাং লিডার রাজন তারেকের নেতৃত্বে ৩০-৩২ জনের একটি গ্রুপ এলাকায় মাদক, ছিনতাই, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। ধর্ষিতার মা জানান, গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত মেয়েকে খুঁজে পাইনি। ভোর ৫টায় রাজন বাড়ির সামনে এসে জানায় আমার মেয়ে একটি ঝোপের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। মা রাজনের কথামতো মেয়েকে উদ্ধার করে আনতে গেলে মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। মেয়েকে অচেতন অবস্থা থেকে উঠিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় মা। পরবর্তীতে ধর্ষক রাজনই বাসায় দিয়ে যায়। মা আরও জানান, বাসায় দিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষণের ঘটনা বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায় রাজন। ভয়ে মেয়ে আর কিছু বলেনি। দুপুর ১টার সময় মেয়ের কিছুটা জ্ঞান ফিরলে ঘটনার বর্ণনা দেয়। তাৎক্ষণিক মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে মামলা করি। ধর্ষিতা মেয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাগবাড়ি থেকে দশকানি বাড়িতে আসার সময় দশকানি বাবুল ইলম ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে আসলে রাজন আমার মুখ চেপে ধরে মাদরাসার পেছনে ঝোপের মধ্যে নিয়ে রাতভর ৫ জনে মিলে ধর্ষণ করে অজ্ঞান করে ফেলে রাখে। ধর্ষকদের কাউকেই চিনেন না ধর্ষিতা। তবে বাড়িতে রাজন ধর্ষিতাকে পৌছে দিয়ে গেলেই স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে ধর্ষক রাজন, তারেক ও রাসেলের নাম। ৫ জনের মধ্যে একজনের মাথায় চুল নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ধর্ষিতা। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তারিকুজ্জামান জানান, তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।