‘রুটিন অনুযায়ী লোডশেডিং’ দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো

রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় রুটিন (সময়সূচি) অনুযায়ী লোডশেডিং দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিকবার লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনে ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় দুই থেকে তিনবার লোডশেডিং হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এরচেয়ে বেশি লোডশেডিংয়ের খবর এসেছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, তাপমাত্রা বেশি থাকায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেশি। এরমধ্যে আবার ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় উৎপাদন কম হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ বণ্টন করে দেয়া হচ্ছে। যার চাহিদা যত বেশি তার ঘাটতিও তত বেশি হচ্ছে।

ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশি বিপাকে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশের প্রায় ৫৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আরইবি। ছয়টি বিতরণ কোম্পানির মধ্যে বাকি পাঁচটি লোডশেডিংয়ের রুটিন প্রকাশ করলেও কেন্দ্রীয়ভাবে তা জানায়নি আরইবি। তবে সংস্থাটির অধীনে থাকা ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন কোনটি নিজ নিজ এলাকায় লোডশেডিংয়ের রুটিন প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, চাহিদার চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় তাদের এলাকায় লোডশেডিং বেশি করতে হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তত ৩০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ বিতরণ পরিস্থিতি নাজুক।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, প্রথম এক সপ্তাহ এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেয়া হবে। যদি দেখা যায়, ঘাটতি পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে দিনে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, সক্ষমতার অভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী লোডশেডিং বাস্তবায়ন করতে পারছে না সরকার। আর বিতরণ কোম্পানিগুলো যদি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পায়, তাহলে রুটিন মেনে লোডশেডিং দেবে কিভাবে?

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২ , ০৬ শ্রাবণ ১৪২৯ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

‘রুটিন অনুযায়ী লোডশেডিং’ দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় রুটিন (সময়সূচি) অনুযায়ী লোডশেডিং দিতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিকবার লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনে ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় দুই থেকে তিনবার লোডশেডিং হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এরচেয়ে বেশি লোডশেডিংয়ের খবর এসেছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, তাপমাত্রা বেশি থাকায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেশি। এরমধ্যে আবার ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় উৎপাদন কম হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ বণ্টন করে দেয়া হচ্ছে। যার চাহিদা যত বেশি তার ঘাটতিও তত বেশি হচ্ছে।

ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশি বিপাকে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশের প্রায় ৫৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আরইবি। ছয়টি বিতরণ কোম্পানির মধ্যে বাকি পাঁচটি লোডশেডিংয়ের রুটিন প্রকাশ করলেও কেন্দ্রীয়ভাবে তা জানায়নি আরইবি। তবে সংস্থাটির অধীনে থাকা ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন কোনটি নিজ নিজ এলাকায় লোডশেডিংয়ের রুটিন প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, চাহিদার চেয়ে অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় তাদের এলাকায় লোডশেডিং বেশি করতে হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তত ৩০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ বিতরণ পরিস্থিতি নাজুক।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, প্রথম এক সপ্তাহ এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেয়া হবে। যদি দেখা যায়, ঘাটতি পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে দিনে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, সক্ষমতার অভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী লোডশেডিং বাস্তবায়ন করতে পারছে না সরকার। আর বিতরণ কোম্পানিগুলো যদি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পায়, তাহলে রুটিন মেনে লোডশেডিং দেবে কিভাবে?