কিডনি ব্যবসায়ী চক্র, ৪ লাখে কিনে ২৫ লাখে বিক্রি

চক্রের ২০ সদস্যের সন্ধান, গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের স্বীকারোক্তি

সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র পরস্পর যোগসাজশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচা করছে। এ চক্রের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন। তারা মূলত তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে কিডনি কেনাবেচা করছে। চক্রের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ কিডনি পাচার করছে। এ চক্র ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক মানুষকে পাচার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। চক্রের প্রথম গ্রুপ ঢাকায় অবস্থান করে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিডনি ট্র্যান্সপ্লান্টেশন দরকার এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর চক্রের দ্বিতীয় দলটি প্রথম দলের চাহিদা মতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষকে চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্র্যান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনারকে প্রলুদ্ধ (প্রভাবিত) করে ঢাকায় নিয়ে আসে।

চক্রের তৃতীয় গ্রুপটি অভাবী কিডনি ডোনারকে গ্রাম থেকে ঢাকার এনে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের ম্যাচিং ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে। তার পরীক্ষার রিপোর্ট ভারতে অবস্থানকারী রোগীর ব্ল্যাড ম্যাচিং ও অন্যান্য ডায়াগনস্টিক টেস্টের সঙ্গে মিলে গেলে তাকে কিডনি দেয়ার জন্য বিদেশ পাঠানো হয়। এ জন্য ভুক্তভোগীর পাসপোর্ট ভিসা প্রসেসিং এবং কাগজপত্র তৈরি করে পার্শ¦বর্তী দেশে (ভারত) চিকিৎসাধীন থাকা রোগীকে কিডনি দেয়ার জন্য পাঠানো হয়।

কিডনি দেয়া শেষে ডোনার ভারতে গিয়ে টার্গেটকৃত রোগীকে কিডনি দেয়া শেষে হাসপাতালে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর বৈধ বা অবৈধ উপারে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরত পাঠায়। অনেক ক্ষেত্রে যে টাকার দেয়ার কথা বলে নেয়া হয় তাও না দিয়ে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে ফেরত পাঠায়।

র‌্যাব জানায়, পাচারকারী চক্র এজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয় বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। প্রতিটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য তারা (প্রতারক চক্র) রোগীপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়। বিপরীতে কিডনি ডোনারকে মাত্র ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে। আর মাঝে মধ্যে অগ্রীম ২ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু কিডনি দেয়ার পর প্রলোভনের শিকার কিডনিদাতাদের প্রতিশ্রুতি করা টাকা না দিয়ে উল্টো নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত প্রধান অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম মিঠু ২০১৬ সালে নিজেই চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যায়। সেখানে সে কিডনি প্রতিস্থাপেেনর রোগীদের চাহিদা ব্যাপক জানতে পারে। এরপর সে নিজেই কিডনি প্রতিস্থাপনের অবৈধ ব্যবসা শুরু করে। এরপর পার্শ¦বর্তী দেশের কিডনি কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে একটি দালাল চক্র প্রতিষ্ঠা করে। এরপর অনলাইনের মাধ্যমে আগ্রহী বিত্তশালী কিডনি রোগী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করত। গতকাল পর্যন্ত তারা প্রায় অর্ধশত কিডনি বেচাকেনা করছে বলে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান স্বীকার করে বলেন, তিনি কিডনি ডোনারদের পার্শ¦বর্তী দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট, ব্যাংক এনডোর্সমেন্ট, মেডিকেল ডকুমেন্টস, ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করে থাকে। যেসব ব্যক্তিদের কাগজপত্র সঠিক না। তাদের কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করে থাকে। সে গত ১০ বছরের ও বেশি সময় ধরে কিডনি বেচাকেনা চক্রের সঙ্গে জড়িত।

গ্রেপ্তারকৃত সাইমন গত এক বছর আগে আল-মামুন মেহেদী ও ৬ মাস আগে চক্রের মাধ্যমে জনপ্রতি ৪ লাখ টাকায় কিডনি বিক্রি করে। পার্শ্ববর্তী দেশে দ্রুততম সময়ে অধিক টাকা উপার্জনের লোভে তারা এ চক্রটির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তারা নিজের সুস্থতার প্রমাণ দেখিয়ে অন্যান্য ডোনারদের কিডনি বিক্রয়ে আগ্রহী করত। সে ১০ জনের বেশি ব্যক্তির কিডনি বেচাকেনা করছে বলে জানায়। আর গ্রেপ্তারকৃত রাসেল হোসেন ও তারা দুইজন মিলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সম্ভাব্য ডোনারদের সংগ্রহ করত।

র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের মতে, এ চক্রটি কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের পার্শ¦বর্তী দেশে কিডনি চিকিৎসায় সহায়তার নাম করে অর্থ আয়ের উদ্দেশে কিডনি প্রতিস্থাপনে উৎসাহিত করত। কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার আড়ালে তারা কিডনি বেচাকেনা সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছিল বলে র‌্যাবের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ভাটারা, বনশ্রী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের হোতা শহিদুল ইসলাম মিঠু, মিজানুর রহমান, আল মামুন মেহেদী, সাইমন ও রাসেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অভিযানের সময় কিডনি বেচাকেনা চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভিকটিমের চুক্তির এফিডেভিট কপি, ভুক্তভোগীদের পাসপোর্টসহ ১৪টি পাসপোর্ট, কিডনি ক্রসমেসিংয়ের বিভিন্ন কাগজপত্র, দেশি-বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফটোকপি, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও এটিএম কার্ড, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের জাল সিলমোহর, খালি স্ট্যাম্প, সিপিইউ, মোবাইল ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, র‌্যাব ছাড়াও এর আগে বিভিন্ন সময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) টিম কিডনি পাচারকারী চক্রের একাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলা পিবিআই তদন্ত করছেন। এরপরও কিডনি পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। জালিয়াত চক্র গ্রামগঞ্জের সহজ সরল অভাবী লোকজনকে ফুসলিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করে। কিন্তু যে চুক্তিকে তাদের কিডনি বিক্রি করে। শেষ পর্যন্ত ওই টাকাও দেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ভুক্তভোগীদের চিকিৎসা না করিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তারা নানা কষ্টে দুঃখে দুঃখে দিন কাটছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২ , ০৬ শ্রাবণ ১৪২৯ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

কিডনি ব্যবসায়ী চক্র, ৪ লাখে কিনে ২৫ লাখে বিক্রি

চক্রের ২০ সদস্যের সন্ধান, গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের স্বীকারোক্তি

বাকী বিল্লাহ

সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র পরস্পর যোগসাজশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচা করছে। এ চক্রের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন। তারা মূলত তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে কিডনি কেনাবেচা করছে। চক্রের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ কিডনি পাচার করছে। এ চক্র ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক মানুষকে পাচার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। চক্রের প্রথম গ্রুপ ঢাকায় অবস্থান করে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিডনি ট্র্যান্সপ্লান্টেশন দরকার এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর চক্রের দ্বিতীয় দলটি প্রথম দলের চাহিদা মতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষকে চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্র্যান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনারকে প্রলুদ্ধ (প্রভাবিত) করে ঢাকায় নিয়ে আসে।

চক্রের তৃতীয় গ্রুপটি অভাবী কিডনি ডোনারকে গ্রাম থেকে ঢাকার এনে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের ম্যাচিং ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে। তার পরীক্ষার রিপোর্ট ভারতে অবস্থানকারী রোগীর ব্ল্যাড ম্যাচিং ও অন্যান্য ডায়াগনস্টিক টেস্টের সঙ্গে মিলে গেলে তাকে কিডনি দেয়ার জন্য বিদেশ পাঠানো হয়। এ জন্য ভুক্তভোগীর পাসপোর্ট ভিসা প্রসেসিং এবং কাগজপত্র তৈরি করে পার্শ¦বর্তী দেশে (ভারত) চিকিৎসাধীন থাকা রোগীকে কিডনি দেয়ার জন্য পাঠানো হয়।

কিডনি দেয়া শেষে ডোনার ভারতে গিয়ে টার্গেটকৃত রোগীকে কিডনি দেয়া শেষে হাসপাতালে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর বৈধ বা অবৈধ উপারে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরত পাঠায়। অনেক ক্ষেত্রে যে টাকার দেয়ার কথা বলে নেয়া হয় তাও না দিয়ে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে ফেরত পাঠায়।

র‌্যাব জানায়, পাচারকারী চক্র এজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয় বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। প্রতিটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য তারা (প্রতারক চক্র) রোগীপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়। বিপরীতে কিডনি ডোনারকে মাত্র ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে। আর মাঝে মধ্যে অগ্রীম ২ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু কিডনি দেয়ার পর প্রলোভনের শিকার কিডনিদাতাদের প্রতিশ্রুতি করা টাকা না দিয়ে উল্টো নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃত প্রধান অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম মিঠু ২০১৬ সালে নিজেই চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যায়। সেখানে সে কিডনি প্রতিস্থাপেেনর রোগীদের চাহিদা ব্যাপক জানতে পারে। এরপর সে নিজেই কিডনি প্রতিস্থাপনের অবৈধ ব্যবসা শুরু করে। এরপর পার্শ¦বর্তী দেশের কিডনি কেনাবেচা চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে একটি দালাল চক্র প্রতিষ্ঠা করে। এরপর অনলাইনের মাধ্যমে আগ্রহী বিত্তশালী কিডনি রোগী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করত। গতকাল পর্যন্ত তারা প্রায় অর্ধশত কিডনি বেচাকেনা করছে বলে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান স্বীকার করে বলেন, তিনি কিডনি ডোনারদের পার্শ¦বর্তী দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট, ব্যাংক এনডোর্সমেন্ট, মেডিকেল ডকুমেন্টস, ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি করে থাকে। যেসব ব্যক্তিদের কাগজপত্র সঠিক না। তাদের কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করে থাকে। সে গত ১০ বছরের ও বেশি সময় ধরে কিডনি বেচাকেনা চক্রের সঙ্গে জড়িত।

গ্রেপ্তারকৃত সাইমন গত এক বছর আগে আল-মামুন মেহেদী ও ৬ মাস আগে চক্রের মাধ্যমে জনপ্রতি ৪ লাখ টাকায় কিডনি বিক্রি করে। পার্শ্ববর্তী দেশে দ্রুততম সময়ে অধিক টাকা উপার্জনের লোভে তারা এ চক্রটির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তারা নিজের সুস্থতার প্রমাণ দেখিয়ে অন্যান্য ডোনারদের কিডনি বিক্রয়ে আগ্রহী করত। সে ১০ জনের বেশি ব্যক্তির কিডনি বেচাকেনা করছে বলে জানায়। আর গ্রেপ্তারকৃত রাসেল হোসেন ও তারা দুইজন মিলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সম্ভাব্য ডোনারদের সংগ্রহ করত।

র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের মতে, এ চক্রটি কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের পার্শ¦বর্তী দেশে কিডনি চিকিৎসায় সহায়তার নাম করে অর্থ আয়ের উদ্দেশে কিডনি প্রতিস্থাপনে উৎসাহিত করত। কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার আড়ালে তারা কিডনি বেচাকেনা সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছিল বলে র‌্যাবের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ভাটারা, বনশ্রী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের হোতা শহিদুল ইসলাম মিঠু, মিজানুর রহমান, আল মামুন মেহেদী, সাইমন ও রাসেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অভিযানের সময় কিডনি বেচাকেনা চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভিকটিমের চুক্তির এফিডেভিট কপি, ভুক্তভোগীদের পাসপোর্টসহ ১৪টি পাসপোর্ট, কিডনি ক্রসমেসিংয়ের বিভিন্ন কাগজপত্র, দেশি-বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফটোকপি, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও এটিএম কার্ড, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের জাল সিলমোহর, খালি স্ট্যাম্প, সিপিইউ, মোবাইল ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, র‌্যাব ছাড়াও এর আগে বিভিন্ন সময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) টিম কিডনি পাচারকারী চক্রের একাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলা পিবিআই তদন্ত করছেন। এরপরও কিডনি পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। জালিয়াত চক্র গ্রামগঞ্জের সহজ সরল অভাবী লোকজনকে ফুসলিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করে। কিন্তু যে চুক্তিকে তাদের কিডনি বিক্রি করে। শেষ পর্যন্ত ওই টাকাও দেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ভুক্তভোগীদের চিকিৎসা না করিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তারা নানা কষ্টে দুঃখে দুঃখে দিন কাটছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে।