চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে সিএনজিচালকের যাবজ্জীবন দণ্ড

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের দায়ে মো. একরামুল হক (৬২) নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালত। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরার আদালত এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন মো. একরামুল হক হিঙ্গুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ আজমনগর এলাকার মৃত ছাদিকের রহমানের ছেলে। রায়ের সময় ট্রাইব্যুনালে আসামি উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে আদালত তাকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম জানান, ৮ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় মো. একরামুল হক নামের ওই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে একবছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড শিশুর পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে নিয়ে গিয়ে আচার ও চকলেট দিয়ে ধর্ষণ করেন একরামুল। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে আসার সময় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে বাড়ির পাশে পাটিপাতা বাগানে তাকে আবারও ধর্ষণ করে একরামুল।

এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখলে একরামুল পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার দুই দিন পর ৭ আগস্ট জোরারগঞ্জ থানায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতে পুলিশ ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল এ রায় দেন।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২ , ০৬ শ্রাবণ ১৪২৯ ২২ জিলহজ ১৪৪৩

চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে সিএনজিচালকের যাবজ্জীবন দণ্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের দায়ে মো. একরামুল হক (৬২) নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালত। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরার আদালত এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন মো. একরামুল হক হিঙ্গুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ আজমনগর এলাকার মৃত ছাদিকের রহমানের ছেলে। রায়ের সময় ট্রাইব্যুনালে আসামি উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে আদালত তাকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম জানান, ৮ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় মো. একরামুল হক নামের ওই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে একবছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড শিশুর পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে নিয়ে গিয়ে আচার ও চকলেট দিয়ে ধর্ষণ করেন একরামুল। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে আসার সময় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে বাড়ির পাশে পাটিপাতা বাগানে তাকে আবারও ধর্ষণ করে একরামুল।

এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখলে একরামুল পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার দুই দিন পর ৭ আগস্ট জোরারগঞ্জ থানায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতে পুলিশ ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল এ রায় দেন।