শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২, ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, প্রতিশ্রুতিও কার্যকর হয় না

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৫২তম বিএসএফ-বিজিবি সম্মেলনে। এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যে প্রধান আলোচনা ছিল সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। হত্যা কমিয়ে আনা নয় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। এর আগেও দুই দেশের একাধিক সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিএসএফ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি আসলেও তা কার্যকর হয়নি বরং সীমান্ত হত্যা অব্যাহত রয়েছে এখনও। সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি ডিজির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘সীমান্তে যারা নিহত হচ্ছেন তারা সবাই কী অপরাধী? এ বিষয়ে বিএসএফ ডিজির বক্তব্যের সঙ্গে বিজিবি কী একমত?’ এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিজিবির ডিজি বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দুই দেশ একমত হয়েছে।

এদিকে ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ অবৈধভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজিবি। ইতোমধ্যে ভারতের সীমান্ত দিয়ে ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ অবৈধভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিএসএফের কাছে দাবি জানিয়েছে বিজিবি।

গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ৫২তম সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।

বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশিরা সবাই অপরাধী। তার দাবি, নিহতদের সবাই মাদক কারবারি, চোরাকারবারি। আর প্রত্যেকটা গুলির ঘটনাই রাতে ঘটেছে। সীমান্তে হত্যার শিকারদের কিসের ভিত্তিতে অপরাধী বলছেন? তাদের শরীরের উপরের অংশে গুলি লাগার পরও এটা টার্গেটেড কিলিং নয় কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, জুডিশিয়াল সিস্টেমে বা কোন অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা কাউকে অপরাধী বলতে পারি না। আমরা বর্ডার বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি, কলকাতা পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করি। দুই দেশের সীমান্তেই অপরাধ চোরাকারবারে জড়িত দুই দেশের মাফিয়ারা। তিনি বলেন, আমাদের উভয় দেশের সীমান্তবর্তী দুই এলাকাতেই ভালো-মন্দ মানুষ আছেন। তাদের কারণে সীমান্তে অপরাধ সংঘটিত হয়, চোরাচালান, অবৈধ অনু প্রবেশের মতো ঘটনা ঘটছে। গরু পাচার, শিশু ও নারী পাচারের ক্ষেত্রে অপরাধী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে। বিএসএফ ডিজি বলেন, প্রথমে আমরা নন লেথাল উইপেন ব্যবহার করি। যাতে প্রতিরোধ মরণঘাতী না হয়। ৮৯ বিএসএফ সদস্য সীমান্তে অপরাধীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছে। বিজিবির সঙ্গে সম্পর্ক এখন আগের যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যৌথভাবে সীমান্তকেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনতে কাজ করছি।

প্রতিবার সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আলোচনা হয় কিন্তু সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। গত জুন মাসেও সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন পাঁচজন। এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, এ প্রশ্ন প্রতি বছরই শুনতে হয়। বিজিবি ও বিএসএফ খুবই পেশাদার বাহিনী। তবে আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভিন্ন। পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়েও আলাদা। আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে থাকি কীভাবে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা যায়। মিনিস্ট্রি, বিজিবি ডিজি থেকে বিজিবির সব পর্যায়ে আমরা কথা বলেছি।

বিজিবি জানিয়েছে, যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫ দিনব্যাপী ৫২তম সীমান্ত সম্মেলন গতকাল শেষ হয়েছে। ডিজি পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনে আলোচিত বিষয়সমূহ ছিল সীমান্তে উভয় দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, আহত, মারধরের ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অধিক সতর্কতামূলক ও কার্যকরী উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তে যৌথ টহল জোরদারকরণ বিশেষ করে রাত্রিকালীন টহল পরিচালনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। এছাড়া সীমান্তে আক্রমণ, হামলার ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে সমন্বিত যৌথটহল পরিচালনাসহ অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদারকরণ, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

অবৈধ রোহিঙ্গ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিএসএফের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে

এদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ভারত থেকে দালালদের মাধ্যমে ৫১টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২১২ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর বাইরে হয়তো দুর্গম পথে আরও কিছু প্রবেশ করতে পারে।

শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২ , ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, প্রতিশ্রুতিও কার্যকর হয় না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৫২তম বিএসএফ-বিজিবি সম্মেলনে। এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যে প্রধান আলোচনা ছিল সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। হত্যা কমিয়ে আনা নয় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। এর আগেও দুই দেশের একাধিক সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিএসএফ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি আসলেও তা কার্যকর হয়নি বরং সীমান্ত হত্যা অব্যাহত রয়েছে এখনও। সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি ডিজির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘সীমান্তে যারা নিহত হচ্ছেন তারা সবাই কী অপরাধী? এ বিষয়ে বিএসএফ ডিজির বক্তব্যের সঙ্গে বিজিবি কী একমত?’ এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিজিবির ডিজি বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দুই দেশ একমত হয়েছে।

এদিকে ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ অবৈধভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজিবি। ইতোমধ্যে ভারতের সীমান্ত দিয়ে ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ অবৈধভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিএসএফের কাছে দাবি জানিয়েছে বিজিবি।

গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ৫২তম সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।

বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশিরা সবাই অপরাধী। তার দাবি, নিহতদের সবাই মাদক কারবারি, চোরাকারবারি। আর প্রত্যেকটা গুলির ঘটনাই রাতে ঘটেছে। সীমান্তে হত্যার শিকারদের কিসের ভিত্তিতে অপরাধী বলছেন? তাদের শরীরের উপরের অংশে গুলি লাগার পরও এটা টার্গেটেড কিলিং নয় কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, জুডিশিয়াল সিস্টেমে বা কোন অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা কাউকে অপরাধী বলতে পারি না। আমরা বর্ডার বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি, কলকাতা পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করি। দুই দেশের সীমান্তেই অপরাধ চোরাকারবারে জড়িত দুই দেশের মাফিয়ারা। তিনি বলেন, আমাদের উভয় দেশের সীমান্তবর্তী দুই এলাকাতেই ভালো-মন্দ মানুষ আছেন। তাদের কারণে সীমান্তে অপরাধ সংঘটিত হয়, চোরাচালান, অবৈধ অনু প্রবেশের মতো ঘটনা ঘটছে। গরু পাচার, শিশু ও নারী পাচারের ক্ষেত্রে অপরাধী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে। বিএসএফ ডিজি বলেন, প্রথমে আমরা নন লেথাল উইপেন ব্যবহার করি। যাতে প্রতিরোধ মরণঘাতী না হয়। ৮৯ বিএসএফ সদস্য সীমান্তে অপরাধীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছে। বিজিবির সঙ্গে সম্পর্ক এখন আগের যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যৌথভাবে সীমান্তকেন্দ্রিক অপরাধ দমন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনতে কাজ করছি।

প্রতিবার সীমান্ত সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আলোচনা হয় কিন্তু সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। গত জুন মাসেও সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন পাঁচজন। এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, এ প্রশ্ন প্রতি বছরই শুনতে হয়। বিজিবি ও বিএসএফ খুবই পেশাদার বাহিনী। তবে আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভিন্ন। পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়েও আলাদা। আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে থাকি কীভাবে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা যায়। মিনিস্ট্রি, বিজিবি ডিজি থেকে বিজিবির সব পর্যায়ে আমরা কথা বলেছি।

বিজিবি জানিয়েছে, যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫ দিনব্যাপী ৫২তম সীমান্ত সম্মেলন গতকাল শেষ হয়েছে। ডিজি পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনে আলোচিত বিষয়সমূহ ছিল সীমান্তে উভয় দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, আহত, মারধরের ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অধিক সতর্কতামূলক ও কার্যকরী উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তে যৌথ টহল জোরদারকরণ বিশেষ করে রাত্রিকালীন টহল পরিচালনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। এছাড়া সীমান্তে আক্রমণ, হামলার ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে সমন্বিত যৌথটহল পরিচালনাসহ অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদারকরণ, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

অবৈধ রোহিঙ্গ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিএসএফের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে

এদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ভারত থেকে দালালদের মাধ্যমে ৫১টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২১২ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর বাইরে হয়তো দুর্গম পথে আরও কিছু প্রবেশ করতে পারে।