শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২, ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

সুনামগঞ্জে আদালতে হাজিরা দিতে এসে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান খোকন মিয়া

আটক তিনজন

সুনামগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে মামলার হাজিরা দিতে এসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান খোকন মিয়া।

জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল গ্রামে বসতভিটার জায়গা নিয়ে দুইপক্ষের মামলা মোকদ্দমার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া ( ৫৫) নিহত হয়েছে। তিনি গলাখাল গ্রামের হাজী ফটিক মিয়ার ছেলে।

গতকাল দুপুরে আদালত এলাকা প্রাঙ্গণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা।

আটককৃতরা হলেন, গলাখাল গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ, আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়া। ঘটনায় জড়িত সাহান নামের অন্য এক যুবককে পুলিশ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গলাখাল গ্রামের নিহত খোকন মিয়ার সঙ্গে খুনের ঘটনায় জড়িত চার ব্যক্তির জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। গতকাল নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে আসলে দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে আইনজীবী সমিতির সামনে খোকন মিয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের ফয়েজ, সাজিদ, সাহান ও সেবুল এর কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে খোকন মিয়াকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ সময় উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। সাহান নামের অন্য একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়। তাকে আদালত এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। আটক তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবীরা। এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়াকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কারণ জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২ , ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

সুনামগঞ্জে আদালতে হাজিরা দিতে এসে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান খোকন মিয়া

আটক তিনজন

লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে মামলার হাজিরা দিতে এসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান খোকন মিয়া।

জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল গ্রামে বসতভিটার জায়গা নিয়ে দুইপক্ষের মামলা মোকদ্দমার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া ( ৫৫) নিহত হয়েছে। তিনি গলাখাল গ্রামের হাজী ফটিক মিয়ার ছেলে।

গতকাল দুপুরে আদালত এলাকা প্রাঙ্গণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা।

আটককৃতরা হলেন, গলাখাল গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ, আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়া। ঘটনায় জড়িত সাহান নামের অন্য এক যুবককে পুলিশ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গলাখাল গ্রামের নিহত খোকন মিয়ার সঙ্গে খুনের ঘটনায় জড়িত চার ব্যক্তির জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। গতকাল নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে আসলে দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে আইনজীবী সমিতির সামনে খোকন মিয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের ফয়েজ, সাজিদ, সাহান ও সেবুল এর কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে খোকন মিয়াকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ সময় উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। সাহান নামের অন্য একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়। তাকে আদালত এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। আটক তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবীরা। এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়াকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কারণ জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলেও জানান তিনি।