শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২, ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

নর্থসাউথের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেয়ার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আসামিদের মধ্যে আবদুস সামাদ আজাদ ও রবিউল আউয়াল পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য ৭ আসামি হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদ ও রবিউল আউয়াল।

২০২০ সালের ৫ মে জালিয়াতির এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে তরিকুল, ফাতেমা ও ফরহাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরই ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু মামলার অপরাধের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ও ধারা দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় আদালত তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ১৮ মে দুদকের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন মো. শাহজাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। এরপরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ছাত্রলীগের নেতা তরিকুলকে জানান। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নথিটিতে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন।

শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২ , ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি

নর্থসাউথের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

আদালত বার্তা পরিবেশক

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেয়ার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আসামিদের মধ্যে আবদুস সামাদ আজাদ ও রবিউল আউয়াল পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য ৭ আসামি হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদ ও রবিউল আউয়াল।

২০২০ সালের ৫ মে জালিয়াতির এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে তরিকুল, ফাতেমা ও ফরহাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরই ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু মামলার অপরাধের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ও ধারা দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় আদালত তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ১৮ মে দুদকের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন মো. শাহজাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। এরপরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ছাত্রলীগের নেতা তরিকুলকে জানান। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নথিটিতে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন।