শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২, ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী ৬ জালিয়াত গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি

গভীররাতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে জিনের বাদশা পরিচয়ে টেলিফোন করে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চক্র গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সুধারামসহ আশপাশের এলাকায় প্রতারণা চালিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সম্প্রতি কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী ৬ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। তারা সম্প্রতি স্থানীয় তিনজনের কাছ থেকে এক কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চক্রের পলাতক অন্য সদস্যদেরকে ধরতে চলছে গোয়েন্দা তৎপরতা। শুধু নোয়াখালীই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ জালিয়াত চক্র সক্রিয় রয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই ও সিআইডির টিম এ জালিয়াতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।

আমাদের নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, গ্রেপ্তারকৃত জিনের বাদশারা হলো, আবদুল মমিন, ইমাম উদ্দিন রাসেল, আজিজুল হক, নুরনবী মানিক, নজরুল ইসলাম ও নূর হোসেন। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি সিম, একটি ম্যাগনেট ও ১০টি ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করেছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত বুধবার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত নোয়াখালী, সুধারাম ও বেগমগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্তরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা করে আসছে। অভিযুক্ত আবদুল মমিন নিজেকে জিনের বাদশা সাজিয়ে গভীররাতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণা করে বিকাশে ও নগদে টাকা নিত। আর ম্যাগনেট দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে।

ডিবির ইন্সপেক্টর সাইফুল জানান, তারা প্রতারণা করে ৩ জনের কাছ থেকে এক কোটি ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মূল ম্যাগনেটটি পলাতক আসামি রিপনের কাছে রয়েছে। অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ চক্রের আরও কায়েকজন পলাতক রয়েছে।

অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এরআগেও যশোর জেলা পিবিআই ও সিআইডির সাইবার থেকে জানা গেছে, জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ চক্র গভীররাতে ঘুমন্ত মানুষকে ফোন করে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।

শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২ , ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩

জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী ৬ জালিয়াত গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

গভীররাতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিজেদেরকে জিনের বাদশা পরিচয়ে টেলিফোন করে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চক্র গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সুধারামসহ আশপাশের এলাকায় প্রতারণা চালিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সম্প্রতি কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী ৬ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। তারা সম্প্রতি স্থানীয় তিনজনের কাছ থেকে এক কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চক্রের পলাতক অন্য সদস্যদেরকে ধরতে চলছে গোয়েন্দা তৎপরতা। শুধু নোয়াখালীই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ জালিয়াত চক্র সক্রিয় রয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই ও সিআইডির টিম এ জালিয়াতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।

আমাদের নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, গ্রেপ্তারকৃত জিনের বাদশারা হলো, আবদুল মমিন, ইমাম উদ্দিন রাসেল, আজিজুল হক, নুরনবী মানিক, নজরুল ইসলাম ও নূর হোসেন। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি সিম, একটি ম্যাগনেট ও ১০টি ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করেছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত বুধবার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত নোয়াখালী, সুধারাম ও বেগমগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্তরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারা ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা করে আসছে। অভিযুক্ত আবদুল মমিন নিজেকে জিনের বাদশা সাজিয়ে গভীররাতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণা করে বিকাশে ও নগদে টাকা নিত। আর ম্যাগনেট দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে।

ডিবির ইন্সপেক্টর সাইফুল জানান, তারা প্রতারণা করে ৩ জনের কাছ থেকে এক কোটি ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মূল ম্যাগনেটটি পলাতক আসামি রিপনের কাছে রয়েছে। অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ চক্রের আরও কায়েকজন পলাতক রয়েছে।

অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এরআগেও যশোর জেলা পিবিআই ও সিআইডির সাইবার থেকে জানা গেছে, জিনের বাদশা পরিচয়দানকারী একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ চক্র গভীররাতে ঘুমন্ত মানুষকে ফোন করে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।