রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বমন্দাকে অজুহাত দেখালেও সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির কারণে বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি। গতকাল বিকেলে বিদ্যুতের সংকট তৈরির জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে আয়োজিত এই সমাবেশে সংগঠনের সদস্যসচিব ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন রফিউর রাব্বি। এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাসদের জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাস, সিপিবির জেলা সম্পাদক বিমল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সংগঠক অঞ্জন দাস, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি মাহামুদ হোসেন, ন্যাপ শহর কমিটির সহসভাপতি গোবিন্দ সাহা, সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা প্রমুখ।
সমাবেশে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘আজকের বিদ্যুৎ সংকটের জন্য সরকার বিশ্বমন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে অজুহাত হিসেবে হাজির করলেও এর প্রকৃত কারণ সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি। গত এক যুগে সরকার ধীরে ধীরে এ সংকটটি নিজেই তৈরি করেছে। ২০১০ সালে সরকার আইন করে দুই বছরের জন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে বিশেষ গোষ্ঠীকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ করে দেয়। পরে তার সময় বাড়িয়ে পাঁচ বছর করলেও এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। রেন্টাল-কুইক রেন্টালে বিশ্বের বহু দেশ দেউলিয়া হওয়ার উদাহরণ থাকার পরেও সরকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে জ্বালানি খাতকে তখন হুমকির মুখে ফেলেছে।’
বিশেষ ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে সরকার জ্বালানি খাতকে হুমকির মুখে দাঁড় করিয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে তা জনগণের কাঁধে চাপানো হয়েছে। মানুষ যাতে এসবের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে না পারে তার জন্য ২০১০ সালে সরকার আত্মঘাতী জ্বালানি আইন করেছে। দুই বছরের জন্য বলা হলেও সে আইন আজও অব্যাহত আছে। এখন তারা বলছে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এ আইনের প্রয়োজন আছে।’
নিখিল দাস বলেন, সরকার নিজেদের লোকদের অনৈতিক সুবিধা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে চলেছে। বিমল দাস বলেন, কিছুদিন আগে সরকার উৎসব করে জানান দিল দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তা হলে আজকে এ সংকট কেন?
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির দায় জনগণ নেবে না। জ্বালানি খাতকে এভাবে সংকটে ফেলার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষেভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।
শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২ , ০৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৩ জিলহজ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বমন্দাকে অজুহাত দেখালেও সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির কারণে বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি। গতকাল বিকেলে বিদ্যুতের সংকট তৈরির জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে আয়োজিত এই সমাবেশে সংগঠনের সদস্যসচিব ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন রফিউর রাব্বি। এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাসদের জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাস, সিপিবির জেলা সম্পাদক বিমল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সংগঠক অঞ্জন দাস, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি মাহামুদ হোসেন, ন্যাপ শহর কমিটির সহসভাপতি গোবিন্দ সাহা, সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা প্রমুখ।
সমাবেশে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘আজকের বিদ্যুৎ সংকটের জন্য সরকার বিশ্বমন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে অজুহাত হিসেবে হাজির করলেও এর প্রকৃত কারণ সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি। গত এক যুগে সরকার ধীরে ধীরে এ সংকটটি নিজেই তৈরি করেছে। ২০১০ সালে সরকার আইন করে দুই বছরের জন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে বিশেষ গোষ্ঠীকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া বেসরকারিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ করে দেয়। পরে তার সময় বাড়িয়ে পাঁচ বছর করলেও এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। রেন্টাল-কুইক রেন্টালে বিশ্বের বহু দেশ দেউলিয়া হওয়ার উদাহরণ থাকার পরেও সরকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে জ্বালানি খাতকে তখন হুমকির মুখে ফেলেছে।’
বিশেষ ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে সরকার জ্বালানি খাতকে হুমকির মুখে দাঁড় করিয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে তা জনগণের কাঁধে চাপানো হয়েছে। মানুষ যাতে এসবের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে না পারে তার জন্য ২০১০ সালে সরকার আত্মঘাতী জ্বালানি আইন করেছে। দুই বছরের জন্য বলা হলেও সে আইন আজও অব্যাহত আছে। এখন তারা বলছে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এ আইনের প্রয়োজন আছে।’
নিখিল দাস বলেন, সরকার নিজেদের লোকদের অনৈতিক সুবিধা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে চলেছে। বিমল দাস বলেন, কিছুদিন আগে সরকার উৎসব করে জানান দিল দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তা হলে আজকে এ সংকট কেন?
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির দায় জনগণ নেবে না। জ্বালানি খাতকে এভাবে সংকটে ফেলার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষেভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।