শঙ্কা নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৯৩ নং ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত স্কুল ভবনের বারান্দায় দেওয়া হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠাতে অভিভাবকদের থাকতে হচ্ছে আতংকে। ভবনটি যে কোন সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় রয়েছে শিক্ষক অভিভাবকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ৯৩ নং ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থী রয়েছে ৯৫ জন। পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় ২য় শিফটে চলছে ৩টি শ্রেনীকক্ষের পাঠদান। ৫ম শ্রেনীতে বাংলা বিষয়ে ক্লাশ তৃতীয় ও চুতুর্থ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান দিচ্ছেন শ্রেনী শিক্ষকরা। বিদ্যালয়টি ১৯৫১ সালে স্থাপিত হলেও অফিস কক্ষসহ ৪ কক্ষবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ হয় ২০০১ সালে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ভবনটি অতিরিক্ত লবণাক্ততায় পলেস্তরা খসে খসে পড়ে বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় ফাটল।

চলতি বছরে বিদ্যালয়ে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও ঝুঁকিপূর্ন ভবনের বারান্দায় চলছে ক্লাশ। শ্রেনীকক্ষে পাঠদানকারি সহকারি শিক্ষক জেবুন্নেচ্ছা আক্তার, নীতিমালা হালদার বলেন, বৃষ্টি না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিনিয়ত মাঠের মধ্যে তাবু টানিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হয়।

৫ম শ্রেণীর ছাত্র সৈকত মন্ডল, বর্নিতা মন্ডল, ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফাইজা আক্তার বলেন, আমাদের স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিদিন পিতা মাতাকে থাকতে হয় দুশ্চিন্তায়। সহপাঠিরা অনেকেই ক্লাশে আসছে না। আমাদের নতুন ভবন কি হবে?।

এদিকে স্থানীয় একাধিক অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জরুরিভাবে বিদ্যালটির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণী কক্ষের পাঠদানে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকির মধ্যেও আমাদের ক্লাশ নিতে হচ্ছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে।

এ সর্ম্পকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। বিকল্প শ্রেনী কক্ষের ঘর নির্মাণের জন্য শিক্ষা কমিটিতে অনুমোদনে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এ উপজেলায় ৭৩টি নতুন ভবনের বরাদ্দ হলেও ১০টি বিদ্যালয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

image

মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) : জিউধরা ইউপির ৯৩ নং ডুমুরিয়া সর. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় চলছে পাঠদান -সংবাদ

আরও খবর
হিলিতে অর্থাভাবে শিশু শিক্ষার্থীর চিকিৎসা বন্ধ
৮ জেলায় আশ্রয়ণের ঘর পেল ৭২৪ পরিবার
আ’লীগের দু’পক্ষে ফের সংঘর্ষ : আহত ৯
শত্রুতা : বর্গাচাষির ৩ শতাধিক কুল গাছ কর্তন

শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২ , ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

শঙ্কা নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

image

মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) : জিউধরা ইউপির ৯৩ নং ডুমুরিয়া সর. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় চলছে পাঠদান -সংবাদ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৯৩ নং ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত স্কুল ভবনের বারান্দায় দেওয়া হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠাতে অভিভাবকদের থাকতে হচ্ছে আতংকে। ভবনটি যে কোন সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় রয়েছে শিক্ষক অভিভাবকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ৯৩ নং ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থী রয়েছে ৯৫ জন। পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় ২য় শিফটে চলছে ৩টি শ্রেনীকক্ষের পাঠদান। ৫ম শ্রেনীতে বাংলা বিষয়ে ক্লাশ তৃতীয় ও চুতুর্থ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান দিচ্ছেন শ্রেনী শিক্ষকরা। বিদ্যালয়টি ১৯৫১ সালে স্থাপিত হলেও অফিস কক্ষসহ ৪ কক্ষবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ হয় ২০০১ সালে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ভবনটি অতিরিক্ত লবণাক্ততায় পলেস্তরা খসে খসে পড়ে বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় ফাটল।

চলতি বছরে বিদ্যালয়ে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও ঝুঁকিপূর্ন ভবনের বারান্দায় চলছে ক্লাশ। শ্রেনীকক্ষে পাঠদানকারি সহকারি শিক্ষক জেবুন্নেচ্ছা আক্তার, নীতিমালা হালদার বলেন, বৃষ্টি না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিনিয়ত মাঠের মধ্যে তাবু টানিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হয়।

৫ম শ্রেণীর ছাত্র সৈকত মন্ডল, বর্নিতা মন্ডল, ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফাইজা আক্তার বলেন, আমাদের স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিদিন পিতা মাতাকে থাকতে হয় দুশ্চিন্তায়। সহপাঠিরা অনেকেই ক্লাশে আসছে না। আমাদের নতুন ভবন কি হবে?।

এদিকে স্থানীয় একাধিক অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জরুরিভাবে বিদ্যালটির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণী কক্ষের পাঠদানে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকির মধ্যেও আমাদের ক্লাশ নিতে হচ্ছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে।

এ সর্ম্পকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। বিকল্প শ্রেনী কক্ষের ঘর নির্মাণের জন্য শিক্ষা কমিটিতে অনুমোদনে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এ উপজেলায় ৭৩টি নতুন ভবনের বরাদ্দ হলেও ১০টি বিদ্যালয়ের কাজ চলমান রয়েছে।