৫ উপজেলা গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা

৮ জেলায় আশ্রয়ণের ঘর পেল ৭২৪ পরিবার

নেত্রকোনায় ১৭৪

মদন গৃহহীনমুক্ত৮ জেলায় আশ্রয়ণের ঘর পেল ৭২৪ পরিবার

প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৩য় পর্যায়ের ‘ক’ শ্রেণির উপকারভোগী ১৭৪টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্থান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ২২৯২টি পরিবারকে গৃহ প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সেইসঙ্গে নেত্রকোনার ১০ উপজেলার মাঝে মদন উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এখনো অনেকেই ঘর পাননি বলে অভিযোগ করতে দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় একযুগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন উপকারভোসীসহ স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন। মদন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ হল রুমে উপকার ভোগীদের মাঝে জমিসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস। এসময় উপস্থিত ছিলেন মদন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এখলাচ খান, সুধী সমাজসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীরা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় তৃতীয় ধাপে ২০ টি পরিবারকে ঘর দেয়ার মধ্যদিয়ে মদন উপজেলাকে ভূমিহীন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জে ২৯

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ক শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে মুন্সীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে মোট ২৯জন ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিলপত্রাদি বিতরণ করা হয়।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারা দেশে একযোগে মোট ২৬ হাজার ২ শত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য সেমিপাকা ভূমি সহ ঘরের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাস।

উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলু রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্নেহাশিস দাস, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম, জেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোনায়েম সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মুহাম্মদ আল জুনায়েদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব, ডেপুটি কালেক্টর মো.এরশাদ মিয়া ও সহকারউ কমিশনার হাছিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সহকারি কমিশনার সদর (ভূমি) কামরুল ইসলাম মারুফ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মুহাম্মদ আল জুনায়েদ।

রাজশাহীতে ১৭৫

৩ উপজেলা

গৃহহীনমুক্ত

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে রাজশাহী জেলার ১৭৫টি ঘর পেলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। সেই সঙ্গে রাজশাহীর তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩য় পযায়ের ২য় ধাপে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন।

আশ্রয়ণ-২ প্র্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলায় তিনটি গৃৃহীন ও ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হলো- চারঘাট, বাঘা ও মোহনপুর। অনুষ্ঠানে ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে রাজশাহী জেলার ১৭৫টি ঘর পেলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। ঘরপ্রাপ্ত উপজেলাগুলি হলো, পবা উপজেলায় ১০টি, মোহনপুর উপজেলায় ১০টি, তানোর উপজেলায় ১৭টি, গোদাগাড়ী উপজেলায় ১৮টি, পুঠিয়া উপজেলায় ১৭টি, দূর্গাপুর উপজেলায় ২৫টি, চারঘাট উপজেলায় ৩৩টি, বাঘা উপজেলায় ৩০টি ও বাগমারা উপজেলায় ১৫টি। এ প্রকল্পের অধীনে ২ শতাংশ খাস জমির বন্দোবস্ত করে উপকারভোগীদেরকে এসব গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এসব গৃহের প্রতিটিতে রয়েছে দুটি বেড রুম, একটি কিচেন, একটি ইউটিলিটি রুম ও একটি টয়লেট। সেমিপাকা প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

উল্যেখ্য, রাজশাহী জেলায় হালনাগাদকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২১টি। ১ম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের মাধ্যমে ৬৯২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় ঘরের চাবি। একইভাবে ২য় পর্যায়ে পুনর্বাসিত করা হয় ৮৫৪টি পরিবার। ৩য় পর্যায়ে ১৩২৪টি ঘরের মধ্যে ১ম ধাপে ১৪৯টি ঘর প্রদান করা হয়। আর বৃহস্পতিবার ১৭৫টি ঘরের চাবি প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই বেলা ১২টায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে গৃহহীনদের কাছে ঘরের চাবী ও জমির কাগজ হস্তান্তর করা হয়।

গোয়ালন্দে ১৬৯

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন ১৬৯টি গৃহহীন পরিবার। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুমিহীন ও গৃহহীনদের এই ঘর ও জমি হস্তান্তরের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর উপজেলার ১৬৯টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ৬০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে জমি এবং ঘরের মালিকানা সম্বলিত ফোল্ডার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন। তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১০৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আশরাফুর রহমান, উপজেলা প্রকল বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাইদ মন্ডল, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা প্রমুখ।

দুপচাঁচিয়ায় ১০ উপজেলা গৃহহীনমুক্ত

প্রতিনিধি, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া)

মুজিবর্ষ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের তৃতীয় ধাপে ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি সহ গৃহ হস্তান্তরের উদ্বোধন এবং দু’টি জেলার সবকটি উপজেলা ও দুপচাঁচিয়া উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এ উপলক্ষে দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপভোগের আয়োজন করা হয়।

কলারোয়ায় ৩৫

প্রতিনিধি,কলারোয়া (সাতক্ষীরা)

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপ) উদ্বোধন উপলক্ষে ৩৫টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর প্রদান করেছেন কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী একযোগে সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রেজা রশিদ। উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর প্রমুখ।

নাসিরনগরে ১২৫

প্রতিনিধি, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন ১২৫টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাসিরনগরে ১২৫টি ঘরসহ সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জমি ও ঘরের দলিল-চাবি হস্তান্তর ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোনাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ।

আক্কেলপুরে ৭

প্রতিনিধি, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ে ৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেল জমির দলিলাদিসহ নতুন ঘর। প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাস জমিতে গৃহ নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ২১ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এদিনেই সারাদেশে ২৬,২২৯টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পরিবারের মাঝে স্বপ্নের ঘরের যাবতীয় দলিলাদি হাতে তুলে দেন , একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন বলে ঘোষণা করেন ।

প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটি উদ্ধোধনের পরে উপজেলার ৭ জন উপকারভোগীর মাঝে এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২ , ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

৫ উপজেলা গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা

৮ জেলায় আশ্রয়ণের ঘর পেল ৭২৪ পরিবার

image

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) : ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে আশ্রয়ণের ঘরের চারি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক -সংবাদ

নেত্রকোনায় ১৭৪

মদন গৃহহীনমুক্ত৮ জেলায় আশ্রয়ণের ঘর পেল ৭২৪ পরিবার

প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৩য় পর্যায়ের ‘ক’ শ্রেণির উপকারভোগী ১৭৪টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্থান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ২২৯২টি পরিবারকে গৃহ প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সেইসঙ্গে নেত্রকোনার ১০ উপজেলার মাঝে মদন উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এখনো অনেকেই ঘর পাননি বলে অভিযোগ করতে দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় একযুগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন উপকারভোসীসহ স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন। মদন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ হল রুমে উপকার ভোগীদের মাঝে জমিসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস। এসময় উপস্থিত ছিলেন মদন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এখলাচ খান, সুধী সমাজসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীরা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় তৃতীয় ধাপে ২০ টি পরিবারকে ঘর দেয়ার মধ্যদিয়ে মদন উপজেলাকে ভূমিহীন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জে ২৯

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ক শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে মুন্সীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে মোট ২৯জন ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিলপত্রাদি বিতরণ করা হয়।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারা দেশে একযোগে মোট ২৬ হাজার ২ শত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য সেমিপাকা ভূমি সহ ঘরের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাস।

উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলু রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্নেহাশিস দাস, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম, জেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোনায়েম সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মুহাম্মদ আল জুনায়েদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব, ডেপুটি কালেক্টর মো.এরশাদ মিয়া ও সহকারউ কমিশনার হাছিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সহকারি কমিশনার সদর (ভূমি) কামরুল ইসলাম মারুফ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মুহাম্মদ আল জুনায়েদ।

রাজশাহীতে ১৭৫

৩ উপজেলা

গৃহহীনমুক্ত

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে রাজশাহী জেলার ১৭৫টি ঘর পেলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। সেই সঙ্গে রাজশাহীর তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩য় পযায়ের ২য় ধাপে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন।

আশ্রয়ণ-২ প্র্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলায় তিনটি গৃৃহীন ও ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হলো- চারঘাট, বাঘা ও মোহনপুর। অনুষ্ঠানে ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে রাজশাহী জেলার ১৭৫টি ঘর পেলেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। ঘরপ্রাপ্ত উপজেলাগুলি হলো, পবা উপজেলায় ১০টি, মোহনপুর উপজেলায় ১০টি, তানোর উপজেলায় ১৭টি, গোদাগাড়ী উপজেলায় ১৮টি, পুঠিয়া উপজেলায় ১৭টি, দূর্গাপুর উপজেলায় ২৫টি, চারঘাট উপজেলায় ৩৩টি, বাঘা উপজেলায় ৩০টি ও বাগমারা উপজেলায় ১৫টি। এ প্রকল্পের অধীনে ২ শতাংশ খাস জমির বন্দোবস্ত করে উপকারভোগীদেরকে এসব গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এসব গৃহের প্রতিটিতে রয়েছে দুটি বেড রুম, একটি কিচেন, একটি ইউটিলিটি রুম ও একটি টয়লেট। সেমিপাকা প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

উল্যেখ্য, রাজশাহী জেলায় হালনাগাদকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২১টি। ১ম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের মাধ্যমে ৬৯২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় ঘরের চাবি। একইভাবে ২য় পর্যায়ে পুনর্বাসিত করা হয় ৮৫৪টি পরিবার। ৩য় পর্যায়ে ১৩২৪টি ঘরের মধ্যে ১ম ধাপে ১৪৯টি ঘর প্রদান করা হয়। আর বৃহস্পতিবার ১৭৫টি ঘরের চাবি প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই বেলা ১২টায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে গৃহহীনদের কাছে ঘরের চাবী ও জমির কাগজ হস্তান্তর করা হয়।

গোয়ালন্দে ১৬৯

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন ১৬৯টি গৃহহীন পরিবার। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুমিহীন ও গৃহহীনদের এই ঘর ও জমি হস্তান্তরের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর উপজেলার ১৬৯টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ৬০টি পরিবারের সদস্যদের হাতে জমি এবং ঘরের মালিকানা সম্বলিত ফোল্ডার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন। তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১০৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আশরাফুর রহমান, উপজেলা প্রকল বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাইদ মন্ডল, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা প্রমুখ।

দুপচাঁচিয়ায় ১০ উপজেলা গৃহহীনমুক্ত

প্রতিনিধি, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া)

মুজিবর্ষ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের তৃতীয় ধাপে ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি সহ গৃহ হস্তান্তরের উদ্বোধন এবং দু’টি জেলার সবকটি উপজেলা ও দুপচাঁচিয়া উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এ উপলক্ষে দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপভোগের আয়োজন করা হয়।

কলারোয়ায় ৩৫

প্রতিনিধি,কলারোয়া (সাতক্ষীরা)

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপ) উদ্বোধন উপলক্ষে ৩৫টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর প্রদান করেছেন কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী একযোগে সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রেজা রশিদ। উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পৌরসভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর প্রমুখ।

নাসিরনগরে ১২৫

প্রতিনিধি, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন ১২৫টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাসিরনগরে ১২৫টি ঘরসহ সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জমি ও ঘরের দলিল-চাবি হস্তান্তর ও আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোনাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ।

আক্কেলপুরে ৭

প্রতিনিধি, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ে ৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেল জমির দলিলাদিসহ নতুন ঘর। প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাস জমিতে গৃহ নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ২১ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এদিনেই সারাদেশে ২৬,২২৯টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পরিবারের মাঝে স্বপ্নের ঘরের যাবতীয় দলিলাদি হাতে তুলে দেন , একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন বলে ঘোষণা করেন ।

প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটি উদ্ধোধনের পরে উপজেলার ৭ জন উপকারভোগীর মাঝে এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন।