পোশাক কারখানায় নারী নিরাপত্তা কর্মীকে ধর্ষণ, সুপারভাইজার গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রপ্তানিমুখী একটি পোশাক কারখানায় নারী নিরাপত্তা কর্মীকে (৩৮) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে কারখানার সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইয়াকুব আলী (৪২)। তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুরের দক্ষিণ শালন্দার মৃত আকালু শেখের ছেলে। ফতুল্লার শোভন গার্মেন্টস নামে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় পুরুষ নিরাপত্তা কর্মীদের সুপারভাইজার পদে কর্মরত। একই কারখানায় নারী নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করেন ভুক্তভোগী নারী।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াকুব আলীকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, সহকর্মী ইয়াকুব আলী তাকে প্রায় সময় কু-প্রস্তাব দিতো। শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করতো। তিন মাস পূর্বে এক রাতে দায়িত্ব পালনের সময় কারখানা ভবনের পঞ্চম তলায় ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত ইয়াকুব বাদীকে ধর্ষণ করে। চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এ বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে সে। এরপর ভয় দেখিয়ে কারখানার ভেতরে অভিযুক্ত বাদীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ গত ১৭ জুন দুপুর দুইটার দিকে কর্মরতবস্থায় ভবনের পঞ্চম তলায় ডেকে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণের করে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘ধর্ষণের পর ভিডিও করেও ব্ল্যাকমেইল করতো অভিযুক্ত আসামি। আমার স্ত্রী লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে এ কথা জানায়নি। অভিযুক্তের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে দু-তিন আগে আমাকে জানালে আমি তারে নিয়ে থানায় মামলা করি।’ মামলার পর অভিযুক্তকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সোহাগ চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২ , ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

পোশাক কারখানায় নারী নিরাপত্তা কর্মীকে ধর্ষণ, সুপারভাইজার গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রপ্তানিমুখী একটি পোশাক কারখানায় নারী নিরাপত্তা কর্মীকে (৩৮) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে কারখানার সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইয়াকুব আলী (৪২)। তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুরের দক্ষিণ শালন্দার মৃত আকালু শেখের ছেলে। ফতুল্লার শোভন গার্মেন্টস নামে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় পুরুষ নিরাপত্তা কর্মীদের সুপারভাইজার পদে কর্মরত। একই কারখানায় নারী নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করেন ভুক্তভোগী নারী।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াকুব আলীকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, সহকর্মী ইয়াকুব আলী তাকে প্রায় সময় কু-প্রস্তাব দিতো। শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করতো। তিন মাস পূর্বে এক রাতে দায়িত্ব পালনের সময় কারখানা ভবনের পঞ্চম তলায় ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত ইয়াকুব বাদীকে ধর্ষণ করে। চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এ বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে সে। এরপর ভয় দেখিয়ে কারখানার ভেতরে অভিযুক্ত বাদীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ গত ১৭ জুন দুপুর দুইটার দিকে কর্মরতবস্থায় ভবনের পঞ্চম তলায় ডেকে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণের করে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘ধর্ষণের পর ভিডিও করেও ব্ল্যাকমেইল করতো অভিযুক্ত আসামি। আমার স্ত্রী লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে এ কথা জানায়নি। অভিযুক্তের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে দু-তিন আগে আমাকে জানালে আমি তারে নিয়ে থানায় মামলা করি।’ মামলার পর অভিযুক্তকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সোহাগ চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।