সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাজারে গিয়ে দেখা যায় দোকানিরা আগের দামে বিভিন্ন ব্র্যন্ডের বেতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা লিটারে বিক্রি করছেন। ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলও আগের মূল্য ৩৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন। আগের দামে কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে আদাবর এলাকার নাহিদ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী নাহিদ মিয়া বলেন, ‘নতুন তেল বাজারে এখনও আসেনি, তাই আগের রেটেই বিক্রি করছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলের উৎসব ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়ে দেখা যায় দোকানিরা আগের দামেই বোতলজাত বিভিন্ন ব্র্যন্ডের সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। আগের দামে কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ওই দোকানের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘বোতলের গায়ে লেখা দামেই বিক্রি করছি। শুনেছি দাম কমেছে। আমরা কমদামে কিনতে পাইলে কমদামে বিক্রি করবো।’

বিভিন্ন চালের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, বি আর আটাশ ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, নাজির শাইল প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকা, চিনিগুড়া চাল প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা আটার দাম কিছুটা কমিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২ টাকায় আর প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলের ‘মাদারীপুর রাইস স্টোর’ এর স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘গত ৩ দিনের ব্যবধানে কয়েকটি আইটেমের চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি দেড় থেকে ২ টাকা। ভারত থেকে চাল আমদানি হলে দাম কমতে পারে।’ ওই বাজারে আরও দেখা যায়, দেশি মশুর ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বাহিরের মশুর ডাল প্রতি কেজি ১১০ টাকা, মুগ ডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা আর বুট ডাল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।

সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে টাকা, পটোল প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মাঝারি সাইজের লাউ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কদু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা প্রকারভেদে বেগুন প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১২০ বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এক কেজি সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ছাগলের মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি বাজারভেদে ১ হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ১ হালি দেশি মুরগির ডিম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা আর টাকা আর একহালি হাসের ডিম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকা। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। দেশি আদা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, আর চায়না আদা প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২ , ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই

আমিরুল মোমিনিন সাগর

image

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাজারে গিয়ে দেখা যায় দোকানিরা আগের দামে বিভিন্ন ব্র্যন্ডের বেতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা লিটারে বিক্রি করছেন। ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলও আগের মূল্য ৩৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন। আগের দামে কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে আদাবর এলাকার নাহিদ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী নাহিদ মিয়া বলেন, ‘নতুন তেল বাজারে এখনও আসেনি, তাই আগের রেটেই বিক্রি করছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলের উৎসব ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়ে দেখা যায় দোকানিরা আগের দামেই বোতলজাত বিভিন্ন ব্র্যন্ডের সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। আগের দামে কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ওই দোকানের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘বোতলের গায়ে লেখা দামেই বিক্রি করছি। শুনেছি দাম কমেছে। আমরা কমদামে কিনতে পাইলে কমদামে বিক্রি করবো।’

বিভিন্ন চালের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, বি আর আটাশ ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, নাজির শাইল প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকা, চিনিগুড়া চাল প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা আটার দাম কিছুটা কমিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২ টাকায় আর প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলের ‘মাদারীপুর রাইস স্টোর’ এর স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘গত ৩ দিনের ব্যবধানে কয়েকটি আইটেমের চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি দেড় থেকে ২ টাকা। ভারত থেকে চাল আমদানি হলে দাম কমতে পারে।’ ওই বাজারে আরও দেখা যায়, দেশি মশুর ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, বাহিরের মশুর ডাল প্রতি কেজি ১১০ টাকা, মুগ ডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা আর বুট ডাল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।

সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে টাকা, পটোল প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মাঝারি সাইজের লাউ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কদু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা প্রকারভেদে বেগুন প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১২০ বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এক কেজি সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ছাগলের মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি বাজারভেদে ১ হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ১ হালি দেশি মুরগির ডিম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা আর টাকা আর একহালি হাসের ডিম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকা। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। দেশি আদা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, আর চায়না আদা প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।