টানা প্রায় পাঁচ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে এবং এতে করে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলোকে শস্য রপ্তানির জন্য পুনরায় খুলে দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গতকাল এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছে তুরস্ক। এর ফলে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট খাদ্যসংকট লাঘব হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ইউক্রেন ও রাশিয়া, উভয়ই বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে মস্কো-কিয়েভের চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা করা হলেও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এই দু’টি দেশের কোনোটিই তাৎক্ষণিকভাবে সেটি নিশ্চিত করেনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলোকে শস্য রপ্তানির জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হতে পারে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পরপরই কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের অবরোধের ফলে সারা বিশ্বের বাজারে শস্য সরবরাহ কমে যায়। আর এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোকে শস্য রপ্তানির জন্য পুনরায় খুলে দিতে সম্ভাব্য এই চুক্তির সম্পূর্ণ বিবরণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তুরস্কে যাচ্ছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের কার্যালয় জানিয়েছে, শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) দুপুর দেড়টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে সাতটায়) এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। জেলেনস্কিও বলেছেন, আমরা তুরস্ক থেকে আমাদের রাষ্ট্রের বিষয়ে কিছু খবর পাবো আশা করছি। (আর তা হচ্ছে) আমাদের বন্দরগুলোকে অবরোধ মুক্ত করার বিষয়ে।’
কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি আবার শুরু করতে ইউক্রেন, রাশিয়া , তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।
আঙ্কারা বলেছে, গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনার বিষয়ে একটি সাধারণ সমঝোতা হয়েছে এবং এখন সংশ্লিষ্ট পক্ষরা তা লিখিত আকারে প্রকাশ করবেন। ওই সমঝোতার বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে শুক্রবার দোলমাবাচে প্রাসাদের দপ্তরে বেলা দেড়টায় (জিএমটি) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার কথা রয়েছে।
যুদ্ধের কারণে কিয়েভের রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে, কয়েক ডজন জাহাজ বন্দরগুলোতে আটকা পড়েছে।
এমনকি ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরের গুদামে প্রায় ২০ কোটি টন শস্য পড়ে আছে।
শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২ , ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩
টানা প্রায় পাঁচ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে এবং এতে করে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলোকে শস্য রপ্তানির জন্য পুনরায় খুলে দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গতকাল এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছে তুরস্ক। এর ফলে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট খাদ্যসংকট লাঘব হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ইউক্রেন ও রাশিয়া, উভয়ই বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে মস্কো-কিয়েভের চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা করা হলেও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এই দু’টি দেশের কোনোটিই তাৎক্ষণিকভাবে সেটি নিশ্চিত করেনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলোকে শস্য রপ্তানির জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হতে পারে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পরপরই কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের অবরোধের ফলে সারা বিশ্বের বাজারে শস্য সরবরাহ কমে যায়। আর এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোকে শস্য রপ্তানির জন্য পুনরায় খুলে দিতে সম্ভাব্য এই চুক্তির সম্পূর্ণ বিবরণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তুরস্কে যাচ্ছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের কার্যালয় জানিয়েছে, শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) দুপুর দেড়টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে সাতটায়) এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। জেলেনস্কিও বলেছেন, আমরা তুরস্ক থেকে আমাদের রাষ্ট্রের বিষয়ে কিছু খবর পাবো আশা করছি। (আর তা হচ্ছে) আমাদের বন্দরগুলোকে অবরোধ মুক্ত করার বিষয়ে।’
কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি আবার শুরু করতে ইউক্রেন, রাশিয়া , তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।
আঙ্কারা বলেছে, গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনার বিষয়ে একটি সাধারণ সমঝোতা হয়েছে এবং এখন সংশ্লিষ্ট পক্ষরা তা লিখিত আকারে প্রকাশ করবেন। ওই সমঝোতার বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে শুক্রবার দোলমাবাচে প্রাসাদের দপ্তরে বেলা দেড়টায় (জিএমটি) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার কথা রয়েছে।
যুদ্ধের কারণে কিয়েভের রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে, কয়েক ডজন জাহাজ বন্দরগুলোতে আটকা পড়েছে।
এমনকি ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরের গুদামে প্রায় ২০ কোটি টন শস্য পড়ে আছে।