খুলনায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে মারধর করার মামলায় কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

কয়রা থানার ওসি এ বি এম এস দোহা জানান, র‌্যাব-৬ এর একটি দল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে খুলনা শহরের ভাড়া বাসা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে র‌্যাব সদস্যরা গতকাল সকাল ১০টার দিকে তাকে কয়রা থানায় হস্তান্তর করেছেন।

ওসি বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মারধরের শিকার ওই শিক্ষকের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মাসুদুর জানান, গত ১৮ জুলাই মাদ্রাসায় কাজ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করেন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মারধরের কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, মাদ্রাসাটি ঢাকার ইসলামিক অ্যারাবিক ইউনিভার্সিটির আওতাভুক্ত। সম্প্রতি তারা পার্শ্ববর্তী মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে এই মাদ্রাসার সভাপতি নিযুক্ত করেছেন। সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামও এই মাদ্রাসার সভাপতি হতে আগ্রহী ছিলেন। বাহারুল সভাপতি হতে না পারায় তাকে দায়ী করে লোকজন নিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন মাসুদুর।

গ্রেপ্তারের আগে এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল বলেন, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ছিলেন মোস্তফা আবদুল মালেক। অবসরে যাওয়ার পরে তিনি মাদ্রাসার সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি সভাপতি না হতে পেরে, আমাকে সভাপতি করতে চান।

বাহারুল বলেন, সেখানে অধিকাংশ শিক্ষকরা ক্লাস ঠিকমতো না করে ঘুরে বেড়ান। তারা দেখলেন, আমি যদি সভাপতি হই তবে সমস্যা, আমি নিয়ম কড়াকড়ি করি। সেজন্য তারা মহারাজপুরের চেয়ারম্যানকে আমার ইউনিয়নে মাদ্রাসার সভাপতি বানিয়েছেন। সেদিনের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে তিনি জানান, নিজেদের লোকদের সঙ্গে অধ্যক্ষের ঠেলাঠেলি হয়েছিল। পরে তারা অধ্যক্ষকে আমার কার্যালয়ে এনেছিলেন। তখন আমি তার স্ত্রীকে খবর দিই। এরপর তারা তাকে নিয়ে যায়।

শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২ , ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৪ জিলহজ ১৪৪৩

খুলনায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা

খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে মারধর করার মামলায় কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

কয়রা থানার ওসি এ বি এম এস দোহা জানান, র‌্যাব-৬ এর একটি দল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে খুলনা শহরের ভাড়া বাসা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে র‌্যাব সদস্যরা গতকাল সকাল ১০টার দিকে তাকে কয়রা থানায় হস্তান্তর করেছেন।

ওসি বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মারধরের শিকার ওই শিক্ষকের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মাসুদুর জানান, গত ১৮ জুলাই মাদ্রাসায় কাজ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করেন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মারধরের কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, মাদ্রাসাটি ঢাকার ইসলামিক অ্যারাবিক ইউনিভার্সিটির আওতাভুক্ত। সম্প্রতি তারা পার্শ্ববর্তী মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে এই মাদ্রাসার সভাপতি নিযুক্ত করেছেন। সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামও এই মাদ্রাসার সভাপতি হতে আগ্রহী ছিলেন। বাহারুল সভাপতি হতে না পারায় তাকে দায়ী করে লোকজন নিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন মাসুদুর।

গ্রেপ্তারের আগে এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল বলেন, মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ছিলেন মোস্তফা আবদুল মালেক। অবসরে যাওয়ার পরে তিনি মাদ্রাসার সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি সভাপতি না হতে পেরে, আমাকে সভাপতি করতে চান।

বাহারুল বলেন, সেখানে অধিকাংশ শিক্ষকরা ক্লাস ঠিকমতো না করে ঘুরে বেড়ান। তারা দেখলেন, আমি যদি সভাপতি হই তবে সমস্যা, আমি নিয়ম কড়াকড়ি করি। সেজন্য তারা মহারাজপুরের চেয়ারম্যানকে আমার ইউনিয়নে মাদ্রাসার সভাপতি বানিয়েছেন। সেদিনের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে তিনি জানান, নিজেদের লোকদের সঙ্গে অধ্যক্ষের ঠেলাঠেলি হয়েছিল। পরে তারা অধ্যক্ষকে আমার কার্যালয়ে এনেছিলেন। তখন আমি তার স্ত্রীকে খবর দিই। এরপর তারা তাকে নিয়ে যায়।