খোকসা ওসির ঘুষ বাণিজ্য আইজিপি বরাবর অভিযোগ

কুষ্টিয়া খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে আইজিপি বরাবর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন ফারুক হোসেন নমে এক ব্যক্তি।

গত ২০ জুলাই আইজিপির কমপ্লেন সেলএ এই আবেদন করেন বলে খোকসা বেতবাড়িয়া এলাকার ফারুক হোসেনের অভিযোগে জানা যায়।

ফারুক লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, গত ১৬ জুলাই কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বামনপাড়া খেয়াঘাটে গভীর রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা নদী পারাপারের নৌকা ভাংচুর করে ডুবিয়ে দেয়। ওই ঘটনার সন্দেহমূলকভাবে পার্শ্ববর্তী চাঁদট গ্রামের আনসার আলীর পুত্র নিয়ামত আলী, এবং মৃত সুধীর কুমার এর পুত্র নিধীর কুমারকে খোকসা থানায় ধরে নিয়ে আসে রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার দিকে। পরদিন ১৭ জুলাই খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান আসামিদ্বয়কে জানায় যে, ৫০ হাজার টাকা দিলে আনসার ও নিধীর কে ছেড়ে দিব। তখন আসামির স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ইউপি সদস্য সবুজ হোসেন এর নিকট থেকে ঋণ করে নগদ ৩০ হাজার টাকা ফারুক নিজ হাতে অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানকে তার অফিস কক্ষে তাকে দেয়। ৩০ হাজার টাকা বুঝে পেয়ে আসামিদ্বয়কে বাকি ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করার শর্তে গত ১৭ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার দিকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকি ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান গনেশপুর এর মনিরুল ইসলামকে বাদী বানিয়ে উল্লেখিত আসামিদ্বয়সহ মোট ১২ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করে কোর্টে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ওই মামলার সকল আসামি জামিনে আছে।

এ বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সঠিক না। বামনপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় নৌকা ভাংচুরের অভিযোগে ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং স্থানীয় তেল বাবলুসহ কয়েকজনের উপস্থিতিতে মুসলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। সেখানে টাকা পয়সা লেনদেনের কোন ঘটনা ঘটেনি।

রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২ , ০৯ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

খোকসা ওসির ঘুষ বাণিজ্য আইজিপি বরাবর অভিযোগ

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

কুষ্টিয়া খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে আইজিপি বরাবর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন ফারুক হোসেন নমে এক ব্যক্তি।

গত ২০ জুলাই আইজিপির কমপ্লেন সেলএ এই আবেদন করেন বলে খোকসা বেতবাড়িয়া এলাকার ফারুক হোসেনের অভিযোগে জানা যায়।

ফারুক লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, গত ১৬ জুলাই কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বামনপাড়া খেয়াঘাটে গভীর রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা নদী পারাপারের নৌকা ভাংচুর করে ডুবিয়ে দেয়। ওই ঘটনার সন্দেহমূলকভাবে পার্শ্ববর্তী চাঁদট গ্রামের আনসার আলীর পুত্র নিয়ামত আলী, এবং মৃত সুধীর কুমার এর পুত্র নিধীর কুমারকে খোকসা থানায় ধরে নিয়ে আসে রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার দিকে। পরদিন ১৭ জুলাই খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান আসামিদ্বয়কে জানায় যে, ৫০ হাজার টাকা দিলে আনসার ও নিধীর কে ছেড়ে দিব। তখন আসামির স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ইউপি সদস্য সবুজ হোসেন এর নিকট থেকে ঋণ করে নগদ ৩০ হাজার টাকা ফারুক নিজ হাতে অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানকে তার অফিস কক্ষে তাকে দেয়। ৩০ হাজার টাকা বুঝে পেয়ে আসামিদ্বয়কে বাকি ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করার শর্তে গত ১৭ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার দিকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকি ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান গনেশপুর এর মনিরুল ইসলামকে বাদী বানিয়ে উল্লেখিত আসামিদ্বয়সহ মোট ১২ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করে কোর্টে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ওই মামলার সকল আসামি জামিনে আছে।

এ বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সঠিক না। বামনপাড়া খেয়াঘাট এলাকায় নৌকা ভাংচুরের অভিযোগে ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং স্থানীয় তেল বাবলুসহ কয়েকজনের উপস্থিতিতে মুসলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। সেখানে টাকা পয়সা লেনদেনের কোন ঘটনা ঘটেনি।