মুন্সীগঞ্জের মাকহাটিতে নির্মাণ সামগ্রী লুট

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের মাকহাটি গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গ্রুপ দিলদার হোসেন গাজীর বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার সকাল ৬টার দিকে সেখানে এ ঘটনাটি ঘটে। লুটকারীরা দিলদার হোসেন গাজীর বসতবাড়ি থেকে ২শত সিমেন্টের বস্তা ও ৫ টন রড লুটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগের আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, মাকাহাটি অটো স্ট্যান্ডের আলদি সড়কে পতিত জমিতে এক সময়ে দিলদার হোসেন গাজী মাটি ভরাট করেন। সেখানে তিনি পাকা দালান ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে সিমেন্ট ও রড মজুদ করেন। অনেক দিন ধরেই এখানে গাজী পরিবারের নেতৃত্বে দালান ঘরের নির্মাণ কাজ চলছিল। কিন্তু ঘটনার দিন সেরাজ গাজীর পুত্র খবিরুল্লাহর নেতৃত্বে এখানে মালামাল লুটপাটের কর্মকা- চলে। এ সময় দিলদার হোসেন গাজী বাঁধা দিলে খবিরুল্লাহ বলে এ জায়গায় আমাদের ওয়ারিশ রয়েছে। তাই এখানকার সব মালামাল এখন আমাদের। এ ঘটনার সময়ে লুটকারীরা নির্মাণ শ্রমিকদের থাকার ঘরের টিন খুলে অন্যত্র ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দিলদার হোসেন গাজী জানান, আমি এখানে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ৩ শত বস্তা সিমেন্ট এবং ৬ টন রড রাস্তার পাশে রেখে কাজ করছিলাম। এর মধ্যে ১শত বস্তা ও কিছু রড়ের কাজ নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়। বাকিগুলো থেকে যায়। আর সেইগুলোই ঘটনার দিন লুটপাট হয়ে যায় চোখের সামনে। মালামাল লুটের সময় যারা ছিলেন তারা হচ্ছেন খবিরুল্লা গাজি (৬৫), সোনা মিয়া গাজি (৭০), লিটন গাজি (৩৫), এসাদ গাজি (৬৫), লিটন মিয়া, নীলচান গাজি (৫১), সোহেল গাজি (৩৫), আলম গাজি (৪৫) গংরা।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী আকরাম আলী গাজি ও মনির হোসেন গাজি জানান, লুটপাটের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা এখানে নারকীয় কর্মকান্ড চালায়।

এদিকে ভুক্তভোগী দিলদারসহ তার পরিবারের দাবি হচ্ছে, তারা যদি সম্পত্তি পায় তবে আমরা পতিত জমিতে মাটি ভরাটের কাজ করলাম। তখন তারা কিছু বলল না। তারপরে অনেকদিন ধরে এখানে কোন কাজও করা হয়নি। তখনতো তারা এখানে সম্পত্তি পাবে এমন দাবি করেননি। আর এখন আমরা পাকা দালান করছি এমন সময়ে তারা এখানে সম্পত্তি দাবি করা হচ্ছে। তারা সম্পত্তি পেলে বিধি অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে আসলেই তো এর সমাধান হয়ে যায়। মাঝখানে লুটপাটের ঘটনা কেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২ , ০৯ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

মুন্সীগঞ্জের মাকহাটিতে নির্মাণ সামগ্রী লুট

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

image

মুন্সীগঞ্জ : লুটপাট ভাঙচুরের পর পড়ে থাকা ঘর -সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের মাকহাটি গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গ্রুপ দিলদার হোসেন গাজীর বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার সকাল ৬টার দিকে সেখানে এ ঘটনাটি ঘটে। লুটকারীরা দিলদার হোসেন গাজীর বসতবাড়ি থেকে ২শত সিমেন্টের বস্তা ও ৫ টন রড লুটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগের আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, মাকাহাটি অটো স্ট্যান্ডের আলদি সড়কে পতিত জমিতে এক সময়ে দিলদার হোসেন গাজী মাটি ভরাট করেন। সেখানে তিনি পাকা দালান ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে সিমেন্ট ও রড মজুদ করেন। অনেক দিন ধরেই এখানে গাজী পরিবারের নেতৃত্বে দালান ঘরের নির্মাণ কাজ চলছিল। কিন্তু ঘটনার দিন সেরাজ গাজীর পুত্র খবিরুল্লাহর নেতৃত্বে এখানে মালামাল লুটপাটের কর্মকা- চলে। এ সময় দিলদার হোসেন গাজী বাঁধা দিলে খবিরুল্লাহ বলে এ জায়গায় আমাদের ওয়ারিশ রয়েছে। তাই এখানকার সব মালামাল এখন আমাদের। এ ঘটনার সময়ে লুটকারীরা নির্মাণ শ্রমিকদের থাকার ঘরের টিন খুলে অন্যত্র ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দিলদার হোসেন গাজী জানান, আমি এখানে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ৩ শত বস্তা সিমেন্ট এবং ৬ টন রড রাস্তার পাশে রেখে কাজ করছিলাম। এর মধ্যে ১শত বস্তা ও কিছু রড়ের কাজ নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়। বাকিগুলো থেকে যায়। আর সেইগুলোই ঘটনার দিন লুটপাট হয়ে যায় চোখের সামনে। মালামাল লুটের সময় যারা ছিলেন তারা হচ্ছেন খবিরুল্লা গাজি (৬৫), সোনা মিয়া গাজি (৭০), লিটন গাজি (৩৫), এসাদ গাজি (৬৫), লিটন মিয়া, নীলচান গাজি (৫১), সোহেল গাজি (৩৫), আলম গাজি (৪৫) গংরা।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী আকরাম আলী গাজি ও মনির হোসেন গাজি জানান, লুটপাটের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা এখানে নারকীয় কর্মকান্ড চালায়।

এদিকে ভুক্তভোগী দিলদারসহ তার পরিবারের দাবি হচ্ছে, তারা যদি সম্পত্তি পায় তবে আমরা পতিত জমিতে মাটি ভরাটের কাজ করলাম। তখন তারা কিছু বলল না। তারপরে অনেকদিন ধরে এখানে কোন কাজও করা হয়নি। তখনতো তারা এখানে সম্পত্তি পাবে এমন দাবি করেননি। আর এখন আমরা পাকা দালান করছি এমন সময়ে তারা এখানে সম্পত্তি দাবি করা হচ্ছে। তারা সম্পত্তি পেলে বিধি অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে আসলেই তো এর সমাধান হয়ে যায়। মাঝখানে লুটপাটের ঘটনা কেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।