সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন প্রধানমন্ত্রী

বললেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সব মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে

করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এবং সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে নানা সমালোচনা হবে, বিরোধী দলও সমালোচনা করবে উল্লেখ করে সরকারি কর্মকর্তাদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সঠিক সিদ্ধান্ত নেন, তৃণমূলের সাধারণ মানুষ যদি যথাযথ সেবা পায়, তাহলে সমালোচনায় খুব একটা গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন হবে না। সমালোচনা হলে, তা কতটুকু যথাযথ, তা যাচাই করা, কোথাও কোন ঘাটতি রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেয়া যেতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশসাশন পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ অভিমত ব্যক্ত করেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের প্রভাবে সারাবিশ্বে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। এজন্য হয়তো আমাদের পত্রপত্রিকা নানা কথা লিখবে টক শোতে নানা কথা বলবে, বিরোধী দলেরা নানা কথা বলবে। হ্যাঁ বিরোধী দল বলবেই কারণ বলাটাই তাদের কর্তব্য এবং তারা বলে যাক। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ^াস থাকতে হবে। আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি কি না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি না এবং দেশের তৃণমূলের সাধারণ মানুষ যথাযথ সেবাটা পাচ্ছে কি না; আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, তাহলে কে কি করলো সেদিকে আমাদের খুব একটা নজর দিতে হবে না।’

সমালোচনা শুনে কোথাও কোন ঘাটতি থাকার বিষয়টি পরীক্ষা করে নেয়া যেতে পারে মর্মেও অভিমত ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান। তবে কেউ যেন বিভ্রান্ত বা হতাশাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘হতাশ হওয়ার মতো কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই আমাদের চলতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটা নিয়েই আমরা চলবো। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এবং সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং আমাদের সেগুলো অতিক্রম করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ডলারে আদান প্রদান বন্ধ করে দেয়া, যে কারণে আজকে বিশে^র অনেক উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী।

আজকে সার কেনা, খাদ্য কেনা বা জ¦ালনি তেল কেনার মতো বিষয়ে আমরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। সমগ্র বিশ^ই একটা দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে একটি দেশকে শিক্ষা দেয়ার ফর্মুলায় আজকে বিশে^র উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো অনেক উন্নত দেশও বিপাকে পড়ে গেছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু অনেক উন্নত দেশে অনেক অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ¦ালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।’

উন্নত অনেক দেশে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি তেল সাশ্রয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশ এখনও অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থায় আছে। তবে আপদকালীন চিন্তায় সবাইকে আরও সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে এবং যেকোন প্রকার অপচয়কে রোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশের মাটি এত উর্বর, যেখানে বীজ ফেললেই গাছ ও ফল হয়, সে দেশে মানুষ খাদ্যের জন্য কষ্ট পেতে পারে না। কাজেই আমাদের যেটুকু সম্পদ তাকে যদি আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি, আমাদের মানবসম্পদ এবং মাটি সেটাকে কাজে লাগিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো বলে বিশ^াস করি।’ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার সরকার সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ সফলভাবে বাস্তবায়ন করাটা তৃপ্তিদায়ক।’ এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদও জানান তিনি।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বিশে^ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে তার সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।

অতীতে দক্ষিণ জনপদের অবহেলিত জনগণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি মানুষও আর অবেহেলিত থাকবে না এবং কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।’ ভূমিহীন-গৃহহীণ মানুষকে বিনামূল্যে ঘর তৈরির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবার ঠিকানা গড়ে দেব। শুধু ঘর নয়, তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগও করে দিচ্ছে সরকার।’

ইতোমধ্যে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন উপজেলা হিসেবেও ঘোষণা প্রদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে পুরো বাংলাদেশকেই আমরা এমনিভাবে ইনশাআল্লাহ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করতে পারবো, প্রত্যেক মানুষের একটা স্থায়ী ঠিকানা থাকবে।’ তাহলে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখা সহজ হবে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১-এর উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশও গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। এর আগে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২ , ০৯ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন প্রধানমন্ত্রী

বললেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সব মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এবং সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে নানা সমালোচনা হবে, বিরোধী দলও সমালোচনা করবে উল্লেখ করে সরকারি কর্মকর্তাদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সঠিক সিদ্ধান্ত নেন, তৃণমূলের সাধারণ মানুষ যদি যথাযথ সেবা পায়, তাহলে সমালোচনায় খুব একটা গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন হবে না। সমালোচনা হলে, তা কতটুকু যথাযথ, তা যাচাই করা, কোথাও কোন ঘাটতি রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেয়া যেতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশসাশন পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ অভিমত ব্যক্ত করেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের প্রভাবে সারাবিশ্বে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। এজন্য হয়তো আমাদের পত্রপত্রিকা নানা কথা লিখবে টক শোতে নানা কথা বলবে, বিরোধী দলেরা নানা কথা বলবে। হ্যাঁ বিরোধী দল বলবেই কারণ বলাটাই তাদের কর্তব্য এবং তারা বলে যাক। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ^াস থাকতে হবে। আমরা সঠিক পথে আছি কি না, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি কি না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি না এবং দেশের তৃণমূলের সাধারণ মানুষ যথাযথ সেবাটা পাচ্ছে কি না; আমরা যদি সেভাবে চিন্তা করি, তাহলে কে কি করলো সেদিকে আমাদের খুব একটা নজর দিতে হবে না।’

সমালোচনা শুনে কোথাও কোন ঘাটতি থাকার বিষয়টি পরীক্ষা করে নেয়া যেতে পারে মর্মেও অভিমত ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান। তবে কেউ যেন বিভ্রান্ত বা হতাশাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘হতাশ হওয়ার মতো কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই আমাদের চলতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটা নিয়েই আমরা চলবো। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এবং সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং আমাদের সেগুলো অতিক্রম করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ডলারে আদান প্রদান বন্ধ করে দেয়া, যে কারণে আজকে বিশে^র অনেক উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী।

আজকে সার কেনা, খাদ্য কেনা বা জ¦ালনি তেল কেনার মতো বিষয়ে আমরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। সমগ্র বিশ^ই একটা দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে একটি দেশকে শিক্ষা দেয়ার ফর্মুলায় আজকে বিশে^র উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো অনেক উন্নত দেশও বিপাকে পড়ে গেছে। আমাদের দেশে যেমন মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু অনেক উন্নত দেশে অনেক অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ¦ালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।’

উন্নত অনেক দেশে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি তেল সাশ্রয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশ এখনও অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থায় আছে। তবে আপদকালীন চিন্তায় সবাইকে আরও সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে এবং যেকোন প্রকার অপচয়কে রোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশের মাটি এত উর্বর, যেখানে বীজ ফেললেই গাছ ও ফল হয়, সে দেশে মানুষ খাদ্যের জন্য কষ্ট পেতে পারে না। কাজেই আমাদের যেটুকু সম্পদ তাকে যদি আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি, আমাদের মানবসম্পদ এবং মাটি সেটাকে কাজে লাগিয়েই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো বলে বিশ^াস করি।’ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার সরকার সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ সফলভাবে বাস্তবায়ন করাটা তৃপ্তিদায়ক।’ এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদও জানান তিনি।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বিশে^ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে তার সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।

অতীতে দক্ষিণ জনপদের অবহেলিত জনগণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি মানুষও আর অবেহেলিত থাকবে না এবং কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।’ ভূমিহীন-গৃহহীণ মানুষকে বিনামূল্যে ঘর তৈরির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবার ঠিকানা গড়ে দেব। শুধু ঘর নয়, তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগও করে দিচ্ছে সরকার।’

ইতোমধ্যে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন উপজেলা হিসেবেও ঘোষণা প্রদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে পুরো বাংলাদেশকেই আমরা এমনিভাবে ইনশাআল্লাহ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করতে পারবো, প্রত্যেক মানুষের একটা স্থায়ী ঠিকানা থাকবে।’ তাহলে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখা সহজ হবে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১-এর উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশও গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। এর আগে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।